ফের তৃণমূলে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। একইভাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সফর করবেন ৭৫টি সাংগঠনিক জেলা। তবে বিরোধীদলীয় নেতা রাজবাড়ী, ঢাকার আশপাশের গাজীপুর, নরসিংদীসহ কয়েকটি জেলা ও বিভাগীয় শহরে জনসভা করবেন। তৃণমূলে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে আন্দোলন জোরদারে জনমত গঠন ছাড়াও মাঠের নেতাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়াই এ সফরের মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদেরও দেওয়া হবে নানা দিকনির্দেশনা। এরই অংশ হিসেবে কেন্দ্র থেকে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে সার্বিক দিকনির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যায়ে পাঠানো হবে চিঠিও। সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও সাংগঠনিক সফর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। চলতি সপ্তাহ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে এ সফর। তবে সাংগঠনিক সফর নিয়ে টিম লিডারদের সঙ্গে আগামীকাল রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকে বসবেন বেগম খালেদা জিয়া। সফরসূচি এবং এ-সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় চূড়ান্ত হবে সেখানেই। বৈঠকে সফরের সার্বিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকনির্দেশনা দেবেন বিরোধীদলীয় নেতা।
জানা গেছে, দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, আন্তর্জাতিক সম্পাদকসহ সম্পাদকদের মধ্য থেকে ৫৩ জনকে দলনেতা করে টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিমে স্থানীয় বিএনপি ছাড়াও সম্পৃক্ত করা হবে ১৮ দলের নেতাদের। জেলা সফরের সার্বিক বিষয় তদারক করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুগ্ম-মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে গতকাল সকালে বৈঠকও করেন তিনি। সেখানে সাংগঠনিক সফর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের তৃণমূল সফরে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সভায় দিকনির্দেশনা দেন বিএনপির মুখপাত্র।
তৃণমূলে চিঠি : নির্বাচন সামনে রেখে আগেভাগেই তৃণমূলের নেতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে আজ দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হচ্ছে জেলা নেতাদের কাছে। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, থানা ও উপজেলা নেতাদের মধ্য থেকে পোলিং এজেন্ট নির্বাচিত করে তাদের দেওয়া হবে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ। চলতি মাসেই নেতাদের তালিকা সংগ্রহ করে সেপ্টেম্বরজুড়ে চলবে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নেবেন সাবেক সচিবসহ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট বিএনপি নেতারা। তৃণমূল সফর প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। কিন্তু এ নিয়ে গড়িমসি করছে সরকার। নেতা-কর্মীদের আন্দোলনমুখী করতেই কেন্দ্রীয় নেতাদের তৃণমূল সফর। সেখানে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করা নিয়েও দিকনির্দেশনা নেতা-কর্মীদের দেওয়া হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সাংগঠনিক সফর একটি রুটিন কাজ। তবে তৃণমূলে সংগঠনকে গতিশীল করে আন্দোলন জোরদার করা এবং নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।