মিনারেল ওয়াটার নামে আমরা যা খাচ্ছি তা কি আদৌ বিশুদ্ধ? পরীক্ষায় দেখা গেছে, বাজারে জারে বিক্রি করা এসব পানির ৯৯ শতাংশই বিশুদ্ধ নয়, দূষিত।
একশ্রেণীর অসত্ ব্যবসায়ী এ পানির রমরমা ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন। ওয়াসা ও নলকূপের সাধারণ পানি সংগ্রহ করে বিশুদ্ধ না করেই জারে ও বোতলে ভরে তারা বিক্রি করছেন। প্রতি জার পানি বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৭০ টাকায় এবং টি স্টল ও হোটেলে প্রতি গ্লাস বিক্রি হয় ১ টাকায়। এমন ভেজাল পানি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্রি হচ্ছে মিনারেল ওয়াটার নামে।
গতকাল মতিঝিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বোতলজাত পানির ২৪ কোম্পানিকে জরিমানা করে হাতেনাতে সেটাই প্রমাণ করলেন।
অভিযানে অংশ নেয়া কর্মকর্তারা জানান, পানির গুণমান পরীক্ষা করা হয় সঙ্গে থাকা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরিতে। এখানে পানির দুই ধরনের পরীক্ষা করা হয়। এগুলো হলো টোটাল ডিজল্ভ সলিড (টিডিএস) ও পিএইচ। পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় যেসব পদার্থ থাকে তার গুণমান পরীক্ষার নাম টিডিএস।
আর পানির ক্ষার বা অম্লত্বের পরিমাণ পরীক্ষা করা হয় পিএইচ পদ্ধতিতে।
বিএসটিআই পরিদর্শক আবু সাঈদ জানান, অভিযানে পানি ও বোতলের পরিচ্ছন্নতা, উত্পাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখসহ অন্যান্য বিষয়ও পরীক্ষা করা হয়।
বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক কেএম হানিফ বলেন, ভেজালবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা গেছে, একশ্রেণীর বোতলজাত পানি ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে অননুমোদিত ও অনির্ধারিত স্থান থেকে অনিরাপদ পানি বোতলজাত করে তা সরবরাহ করছে, কিন্তু দায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধরা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় বিএসটিআই ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে।
সূত্র: দৈনিক আমারদেশ, (রেজাউল হক কৌশিক)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।