আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাছাকাছি কতদূর

জীবনও যখনও শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো..

বন্ধু, কেমন আছিস? এই কথাটি খুব সহজেই তোকে রিং করে জানতে পারতাম। কিন্তু ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু এটা সত্যি নয় যে, তোর খোজ খবর নিতে ইচ্ছে হয় না। বরং খুব জানতে ইচ্ছে করে। মোবাইল ফোনের বাটনে একটু উপর নিচে গেলেই তোর নম্বরটি ভেসে উঠবে।

তোকে রিং করিনা ঠিকই; কিন্তু প্রতি মুহূর্তেই; যখনই ফোন বুক থেকে তোর নম্বরটি উঠে আসে খুব মনে পড়ে তোর কথা। ফোন করলে শোনা যাবে তোর কথা, মনে হবে এই বুঝি পাশাপাশিই বসে কথা বলছি। কিন্তু এর চেয়ে তোকে চিঠি লিখি, এমনটি ভাবতেই বেশি পছন্দ আমার। তুই জানিস না এমন ভাবনা থেকে কতবার তোকে লেখার জন্য বুকে বালিশ চেপে খাতা কলম নিয়েছি। কিন্তু কোন না কোন কারণে হয়ে ওঠেনি।

এতটুকু নিরবিচ্ছিন্ন সময় হয়নি তোকে লেখার। আমার কেমন ইচ্ছে করে জানিস? ভাবি অনেকক্ষণ ধরে তোকে লিখবো; কষ্ট করে। লিখতে লিখতে কলমের চাপে হাতের আঙ্গুল দুটো ব্যথা হয়ে যাবে, তাও লিখবো। লিখবো আমার অনেক অনেক কথা, যা অনেক কাল ধরে কেবল আমার মাঝেই জমা হয়ে আছে। আর একটুকু জানতে চাইবো তোর কথা।

আচ্ছা বন্ধু, সত্যিই তুই কেমন আছিস? ভাল আছিস, বেঁচে আছিস জানি। কিন্তু তোর কোন খবর আমার জানা নেই। আচ্ছা তুইকি বিয়ে করেছিস, শ্বশুর বাড়ি কোথায়? বর দেখতে নিশ্চয় খুব সুন্দর। তোর কোন সন্তান হয়েছে? ওরা খুব দারুন না? জানিস বন্ধু কিছুই ভাল লাগে না। এতো যান্ত্রিকতায় কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসে।

আমাদের অনেক বন্ধু যাদেরকে নিয়মিত ফেসবুকে দেখতে পাই। নতুন করে আমরা নিজেদেরকে আবার ‘এড ফ্রেণ্ড’ করে নিয়েছি। কিন্তু তবু ওরা কত দূরে! অথচ প্রতিদিনই আমরা মুখোমুখি হই ফেসবুকের পাতায়। এর চেয়ে ঢের ভাল তোকে লিখছি। জানিস মনটা কত ভাল হয়ে গেছে, তোকে লিখতে পারছি ভেবে।

ভাল থাকিস। আবার কখনো যদি সুযোগ হয় তবে তোকে লিখবো। উত্তর দিস বন্ধু। তোর চিরচেনা বন্ধু

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।