ভারতের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করতে দেশের আমদানিকারকদের পরামর্শ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সরকারও পেঁয়াজ আমদানির সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সচিবালয়ে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন।
বাণিজ্যসচিব বলেন, ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের উৎসাহী করা হচ্ছে। পেঁয়াজ আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলা, বন্দর ও শুল্কায়নে সহযোগিতা বাড়ানোসহ ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘দাম বাড়ানোর জন্য কেউ ইচ্ছে করে পেঁয়াজ গুদামজাত করল কি না, তা-ও আমরা খতিয়ে দেখছি। ’
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিন অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মুর্তজা রেজা চৌধুরী, মনোজ কুমার রায়, অমিতাভ চক্রবর্তী, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হোসেন মিঞা, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রক এম এ সবুরসহ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যসচিব বলেন, রমজানের পর পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। কারণ, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
দেশে এখন পেঁয়াজের মজুত সন্তোষজনক। আশা করা হচ্ছে, পেঁয়াজের বাজার অস্থির থাকবে না। অল্প সময়ের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ গতকাল ৭০ থেকে ৭২ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঠিক এক সপ্তাহ আগে ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা।
আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে। ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।
মাহবুব আহমেদ বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেও পেঁয়াজ আমদানি করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে, যেন অল্প সময়ের মধ্যে যেকোনো দেশ থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা যায়। এ লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর দেশে সন্তোষজনক পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে।
প্রতিবছরের মতো পেঁয়াজের আমদানিও স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো আমদানি হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কেউ যাতে পেঁয়াজ মজুত করে রাখতে না পারেন, সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার তদারকি আরও জোরদার করেছে। এ ধরনের অপতৎপরতার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তৎপরতা বাড়িয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।