ওয়াশিংটন, সেপ্টেম্বর ১৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)-- ইরানকে মোকাবেলা করতে সৌদি আরবের সঙ্গে ৬০ বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্রচুক্তির প্রস্তাব শিগগিরই কংগ্রেসে তুলবে যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা প্রশাসন।
মার্কিন কর্মকর্তারা সোমবার একথা জানিয়েছেন।
অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়া নতুন এ অস্ত্র বিক্রি চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রশক্তির আঞ্চলিক ক্ষমতা বাড়ানোই মূল লক্ষ্য।
নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমি আশা করছি প্রাথমিকভাবে সৌদি আরব ৩০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনবে।
তবে তা দ্বিগুণও হতে পারে বলে জানান তিনি।
নতুন এ চুক্তির আওতায় নতুন ৮৪ টি বোয়িং এফ-১৫ যুদ্ধ বিমান সৌদিআরব পাবে এবং ঐ যুদ্ধ বিমানগুলোর ৭০ টিকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন করা হবে। তাছাড়া সিকোরস্কি এয়ারক্র্যাফটের নির্মিত ৭২ টি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারও পাবে সৌদি আরব।
'সেন্টার ফর অ্যা নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি'র বিশ্লেষক অ্যান্ডু এক্সুম চুক্তিটি সম্পর্কে বলেন, "এটি বড় ধরনের চুক্তি। "
তিনি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র যা করতে চাইছে তা পরিস্কার। এটি মূলত আমাদের মিত্রদের সঙ্গে একাট্টা হয়ে এবং তাদের মধ্য দিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা।
"
ইরানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়তে থাকায় আঞ্চলিক শক্তি বৃদ্ধির এ পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশেষত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষম হয়ে ওঠা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চিন্তিত। সেকারণে ওয়াশিংটন আরব দেশগুলোর ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে পশ্চিমারা এখনো সন্দিহান। তাদের ধারণা, এর মধ্য দিয়ে ইরান পরমাণু বোমা বানানোর চেষ্টা করছে।
যদিও ইরান বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এএইচ/এলকিউ/ ২০৩৫ ঘ.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।