একইসঙ্গে বিচারক বাদীর পক্ষে দাখিল করা নারাজি আবেদন খারিজ করেন। গত ২৩ এপ্রিল জিনাত আদালতে নারাজি দাখিল করেন চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে।
২০১২-এর ৫ ডিসেম্বর প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে রমনা থানায় মামলাটি করেছিলেন ইমনের বান্ধবী জিনাত কবির। অভিযোগের ভিত্তিতে ইমনকে গ্রেফতার করে রমনা পুলিশ। ওই সময় রমনা থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন ৬ ডিসেম্বর তিনি জিনাতকে বিয়ে করেন।
১১ ডিসেম্বর ইমন জামিনে মুক্তি পান। জিনাতের আইনজীবী নুর ইসলাম খান ইমনের জামিনে আপত্তি নাই মর্মে ঐদিন আদালতকে জানিয়েছিলেন।
এরপর ইমন জামিনে বের হওয়ার কিছুদিন পরেই বিয়ে অস্বীকার করেন। এরপর তিনি এ বিয়ে বাতিলের জন্য মামলা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে।
এ মামলার রায় প্রসঙ্গে জিনাতের আইনজীবী নুর ইসলাম জানিয়েছেন, ইমনকে অব্যাহতির বিষয়ে মামলার নথিপত্র দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, ইমন ও জিনাত দুজনেই সংস্কৃতিকর্মী। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের দেখা ও বন্ধুত্ব হয়। এক পর্যায়ে জিনাত ইমনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় জিনাত ক্ষুদ্ধ হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলা প্রমাণের মতো পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কিন্তু জিনাত নারাজি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, তার পক্ষের সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাই করেনি পুলিশ।
এছাড়া মামলার পর বাদিনীর মেডিকেল পরীক্ষাও করা হয়নি।
নারাজিতে আরও অভিযোগ করা হয়, পুলিশ ইমনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
এ বিষয়ে ইমনের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।