Großansicht des Bildes mit der Bildunterschrift: জার্মানিতে থাকা তুরস্কের কয়েকজন অভিবাসীজার্মানিতে সংখ্যাগরিষ্ঠদের চাকরি পেতে বেশ বেগ পেতে হয়৷ যদিও জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলো ‘বিভিন্ন দেশের মানুষ একসঙ্গে কাজ করছে’ – এ পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছে, কিন্তু তারপরও চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷
জার্মানির চাকরির বাজারে যে কাজ খুঁজছে, তাঁর নাম যদি হয় তুর্কি তাহলে তাঁর কাজটি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম৷ সে তুলনায় একজন জার্মান নামধারীর চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি৷ আবেদনকারীর নাম দেখে সাক্ষাতকারের জন্য ডাকা হয়৷
এসব বৈষম্য দূর করতে জার্মানিতে এগিয়ে এসেছে অ্যান্টি ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সি৷ তারা জানিয়েছে, এই বৈষম্যের কারণে অনেক আবেদনকারীর আবেদনপত্র শুরুতেই চলে যায় ময়লার ঝুড়িতে৷ Bildunterschrift: Großansicht des Bildes mit der Bildunterschrift: এই ছবিটিকেই খুঁজছেন আপনি৷ ছবিটির তারিখ 08/09 এবং কোড:5292 পাঠিয়ে দিন ঠিকানায় অথবা এসএমএস করুন 0088 0173 030 2205, ভারত: 0091 98309 97232 নম্বরে৷ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জিততে পারেন আকর্ষণীয় সারপ্রাইজ গিফট…
এ সমস্যাগুলো এড়াতে অ্যান্টি ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সি হাতে নিয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ৷ তবে নতুন কোন আইন প্রণয়নের পক্ষপাতি তারা নয়৷ আন্তর্জাতিক বড় পাঁচটি কোম্পানি এই সংস্থার বিভিন্ন পদক্ষেপ অনুযায়ী প্রতিটি আবেদনপত্র খুঁটিয়ে দেখার ব্যাপারে রাজি হয়েছে৷ এর মধ্যে ল'রেয়াল এবং প্রোক্টর এ্যান্ড গ্যাম্বেলও রয়েছে৷
অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে জার্মানিতে চাকরির আবেদনপত্রের সঙ্গে এক কপি ছবি, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, বিবাহিত নাকি অবিবাহিত – এসব তথ্য দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন৷ অ্যান্টি ডিসক্রিমেনেশন এজেন্সির পরিচালক ক্রিস্টিয়ান লুডার্স জানান, ‘‘এটি অনেক পুরনো একটি নিয়ম৷ তা অনেক দিন ধরেই চলে আসছে এবং তার আর কোন পরিবর্তন হয়নি৷''
লুডার্স আরো জানান, ‘‘অনেক সময় দেখা গেছে একজন মহিলা যার দুটি বাচ্চা রয়েছে সে-ও আবেদন করেছে৷ তাঁকে সাক্ষাতকারে ডাকা হবে সে সম্ভাবনা খুবই কম৷ তবে আমার মনে হয় যোগ্য কাউকে খুঁজে পেতে হলে এ প্রক্রিয়াগুলো বাতিল করতে হবে৷ জার্মানির এই মুহূর্তে দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন৷ আমাদের অর্থনীতি চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিয়েছে৷''
অ্যান্টি ডিসক্রিমেনশন এজেন্সি একটি জরিপ চালিয়েছে বন শহরের ইন্সটিটিউট ফর দ্যা স্টাডি অফ লেবারের সঙ্গে৷ সেই জরিপে দেখা গেছে পিএইচডি সফলভাবে সম্পূর্ণ করেছে এমন একজন আবেদনকারীও প্রায় ২৩০ বার প্রত্যাখিত হয়েছে৷ এর কারণ ছিল তার নামের শেষে ছিল আলী৷ এরপর সে ‘আলী' থেকে নামটি পরিবর্তন করে ‘এ্যালেক্স'-এ৷ গ্রহণ করে জার্মান স্ত্রীর নাম৷ ব্যাস, চাকরি পেতে তাঁর আর কোন সমস্যা হয়নি৷
২০০৬ সাল থেকে অ্যান্টি ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সির কাছে প্রায় দশ হাজার অভিযোগ এসেছে৷ সবগুলোই পরিস্কারভাবে দেখিয়ে দিয়েছে জার্মান সমাজে, চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য কত গভীরে৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।