আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাগল বিজ্ঞানী - ৫

আমি তোমাকেই বলে দেব, কি যে একা দীর্ঘ রাত আমি হেটে গেছি বিরান পথে! আমি তোমাকেই বলে দেব, সেই ভুলে ভরা গল্প; কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়!

[ধারাবাহিক সাই ফাই] প্রিন্স এবং নিয়াজ তাদের রহস্যের খোজে গোয়েন্দা সংস্থার অপিসে বসে আছে। প্রিন্স দ্রুত কম্পিউটারের কিবোর্ডে হাত চালাচ্ছে। নিয়াজ কিছুক্ষন পর বলল, "তোর কি মনে হয়, তোর বাগটা পৃথিবীতেই আছে?” + “থাকবে না কেন!?” কম্পিউটারে কাজ করতে করতে জবাব দেয় প্রিন্স। = “যদি এটা বর্হিজাগতিক কিছু হয়!” + “তুই কি বলতে চাচ্ছিস, বিজ্ঞাণী এ.ডি. জ্যাকসনের সাথে কতকগুলো এলিয়েন কাজ করছে!” মৃদু হেতে বলে প্রিন্স = “না আমি সরাসরি তা বলছি না, কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে বাগটা পৃথিবীতে নেই। ” + “এইযে দেখ, দক্ষিণ আমেরিকার ম্যাপ সেটিং করলে বিপারটি জ্বলছে।

তার মানে আমাদের বিপার পৃথিবীতেই আছে, এবং দক্ষিণ আমেরিকার কোন এক যায়গায়। ” = “তাই!!! তাহলে তো এবার ওদের অবস্থান বের কারা আরো সহজ হয়ে গেল। ” খুশি হয়ে বলে নিয়াজ + “তা বটে। কিন্তু সিগন্যাল খুব দূর্বল দক্ষিণ আমেরিকা গিয়ে বিপার সেট করলে হয়ত সঠিক অবস্থানটা নির্ণয় করা সম্ভব হবে। ” কয়েকদিনের মাঝেই ওরা কলম্বিয়ার একটা হোটেলে উঠল।

সেখান থেকে বিপার সেট করতেই স্পস্ট সিগন্যাল পাওয়া গেল। সিগন্যাল দেখে ওরা বেশ অবাক হল সিগন্যাল আসছে, আমাজন বনের কোন এক যায়গা থেকে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেখা গেল যায়গাটা অন্যান্য স্থানের চেয়ে তুলনা মূলক ভাবে সমতল, পাশে নদী আছে এবং যতটুকু বুঝা গেল জীপ বা কোন গাড়ি নিয়ে যায়গাটাতে যাওয়া যাবে। ছোট খাট টিলা আর লম্বা লম্বা গছের জন্য যায়গাটা তুলনা মূলকভাবে দূর্গম। সকরারের সাহায্য নিয়ে এয়ার ফোর্সের দুটি হেলিকপ্টার যায়গাটি পর্যবেক্ষনে গেল।

কিন্তু হঠাৎ মিসাইলের আঘাতে কপ্টারদুটো ভুপাতিত হল। ব্যাপরটি নিয়ে যখন প্রতিরক্ষা দপ্তরে তোলপাড় চলছে, এমন সময় একটা ভিডিও মেইল এল, ওপেন করে দেখা গেল বিজ্ঞানী এ.ডি. জ্যাকসন হাসি মুখে বসে আছে, হতে রিমোট টাইপের কিছু একটা। কয়েক সেকেন্ড নিরবতা ভেঙ্গে জ্যাকসন বলল, “যেভাবেই হোক তোমরা আমাদের আস্তানার লোকেসনটা যানতে পেরেছ। একসময় না একসময় এটা সবাই জানতেই পারত, কিন্তু এত তাড়াতাড়ি তোমরা তা বের করে ফেলবে এটা আমরা কল্পনা করিনি। তাই বলে ভেবনা আমাদের নিরাপত্তা অংশটা জোরালো না।

তোমরা যদি এরপর কোন অভিযান চালানোর চেস্টা কর, তবে তার দ্বায়-দ্বায়িত্ব তোমাদেরই নিতে হবে। আমি চাইনা কিছু নোংরা গিরগিঠি মারতে। ” মেইলটি পেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ে বেশ তোল পাড় শুরু হয়ে গেল, আকাশ পথে অভিযানের চিন্তা বাদ দিয়ে এবার স্থল পথে গোপনে মিসন চালানোর কথা ভালল সরকার। মিসনের দ্বায়িত্ব দেয়া হল রহস্যের খোজে গোয়েন্দা সংন্থার ওপর। রককে এই ব্যাপারে বলতেই ও মিসনে যেতে রাজি হয়ে গেল।

বার জনের কমান্ডো বাহিনি আর প্রিন্স, নিয়াজ এবং রক রওনা হল ওরা। একটি কাচা রাস্তা ধরে এগিয়ে গেল ওরা, রাস্তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত গাড়ি চলাচল করে। একটি যায়গায় এসে রাস্তা দুই ভাগ হয়ে গেল। নিয়াজ গাড়ি থেকে নেমে কি যেন একটা পরীক্ষা করল, তারপর বলল আমাদের বামে যেতে হবে। কিন্তু কিছুদুর যেতেই লম্বা চওড়া বিশাল একটা পাথর তাদের পথ আগলে দাড়ালো।

নিয়াজ খুব অবাক হল, প্রিন্স বলল “কিরে এতো দেখি ভুল রাস্তা। ” = “আরে নাহ্ . .. ... বাম দিকের রাস্তার গাছগুলোর পাতাতে ধুলা লেগে ছিল, কিন্তু ডান দিকে ততটা ছিল না। মানে এইটাই রাস্তা। ” + “তাহলে এই পাথর কেন?” = “মনে হয় ভিতর ফাপা” কথা বলে পাথরটাতে কয়েকটি টোকা দিয়ে শব্দ পরীক্ষা করল নিয়াজ, তারপর খুজে খুজে পাথরের গায়ে একটা ফুটো বের করল। মুচকি হেসে নিয়াজ ফুটোতে হাত ঢুৃকিয়ে দিল, হাতে দড়ির মত একটা কিছু ঠেকল।

ঠান্ডা দড়িটা ধরে টান দিল সাবধানে, কিছুটা বেরিয়ে এলে নিয়াজের চোখ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল; সবাই দেখল নিয়াজ একটা সাপের লেজ ধরে আছে। নিয়াজ সাপের লেজটা ছেড়ে দিয়ে লাফিয়ে পেছনে সরল। প্রিন্স ছুটে এল, “কিরে কামড় দেয় নিতো?” = “না, কামড় দেয় নি। ” + “আগেই সাবধান হওয়া উচিত ছিল। সাপটা কই গেল?” = “ফুটোতেই ঢুকে গেছে আবার।

ঠিক আছে আমরা এখানেই কিছুটা সময় বিশ্রাম নেব তারপর আবার শুরা করব। যেহেতু আমরা একটা রাস্তার ওপর আছি, সেহেতু যেকোন সময় কেউ চলে আসতে পারে। আমাদের জিপদুটিকে গাছ দিয়ে ঢেকে দাও। ” ওরা যখন জিপদুটিকে যখন ঢেকে দিচ্ছে, এমন সময় নিয়াজের সাউন্ড ডিটেক্টরে আরেকটি জিপের শব্দ ধরা পড়ল। তাড়াতাড়ি করে ওরা লুকিয়ে গেল।

একটা জিপ এসে থামল পাথরটার কাছে। জিপ থেকে দিুই জন নামল, তারপর যেখানে নিয়াজরা যেখাতে ওদের গাড়ি রেখেছে কিছুক্ষন সেদিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল। একজন এগিয়ে দিয়ে পরীক্ষা করতে চাচ্ছিল, আরেক জন বাধা দিল। তবু প্রথম জন ঐ দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল, আর দ্বিতীয় জন সরাসরি গিয়ে ঐ ফুটোটায় হাত ঢুকিয়ে দিল। প্রিন্সরা অবাক হয়ে দেখল সাপের লেজটা বেরিয়ে আসছে।

কিছুটা বেরিয়ে আসতেই ঘটাং করে একটা শব্দ হল তারপর পাথরটা সরে দিয়ে সেখানে একটা শুড়ঙ্গ দেখা গেল। ড্রাইভার জিপটা নিয়ে ভেতরে চলে গেল বের হয়েও এল কিছুক্ষন পর। তারপর তিনজন মিলে দক্ষিনের একটা নদীর দিকে হাটতে লাগল। নদীর তিরে এসে একটা ঘন ঝোপের ভেতর থেকে একটা ছোট্ট বোট বের করল। বোট টা সার্ট দিতে যাবে এমন সময় নিয়াজ কমান্ডো বাহিনিকে বলল ওদের এরেস্ট করতে।

কিন্তু ওরা ধরা না দিয়ে ফায়ার করতে শুরু করল। ছোট্ট একটা গোলাগুলি হল। গোলাগুলি শেষে দেখা গেল একজন কমান্ডো গুরুতর আহত হয়েছে, আর অপরিচিত লোক তিনটি মারা গেছে। পাগল বিজ্ঞানী-১ পাগল বিজ্ঞানী-২ পাগল বিজ্ঞানী-৩ পাগল বিজ্ঞানী-৪ পাগল বিজ্ঞানী-৬/শেষ অন্যান্য সাই ফাই

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.