'স্বার্থ'
শব্দটা নিয়ে আমার ভিন্ন মত রয়েছে।
আমার বন্ধুদের সাথে অনেক আগ থেকে এটি নিয়ে প্রায়শ তর্ক হয়।
স্বার্থপর বলতে আমরা বুজি নিজের স্বার্থে কোন কাজ করা।
স্বার্থ আর উদ্দেশ্য সমার্থক শব্দ। স্বার্থপর মানে উদ্দেশ্যমূলক আর নিঃস্বার্থ মানে উদ্দেশ্যহীন।
আমার কথা হলো, একজন সুস্থ মস্তিস্কের লোক কোনো কাজ স্বার্থ ছাড়া করেনা। অর্থাৎ পাগল আর শিশু ছাড়া সবাই স্বার্থপর।
তারা বলে, মা কি স্বার্থপর নাকি অসুস্থ মস্তিস্কের?
আমি বলি, মা ও অসুস্থ হতে পারে তবে একজন সুস্থ মা তার সন্তানের সুখকে নিজের সুখ মনে করে।
এখানে নিজের সুখ বলে একটা কথা থেকে যায়। আমি সেটাকেই স্বার্থ বলি।
আমরা কাউকে তখনি স্বার্থপর বলি যখন দেখি সে অস্বাভাবিক কিছু আশা করে।
যেমন, কোন মা তার সন্তানের পরিচর্যা করে আনন্দ পায় বলে আমরা এটাকে নিঃস্বার্থ বলি। কিন্তু মা যখন তার বিনিময়ে কন লৌকিক সুবিধা নিতে চায় তখন আমরা তাকে স্বার্থপর বলি।
যদিও নিজের মায়ের ক্ষেত্রে এমনটি সচরাচর দেখা যায়না তবে কাজের বুয়াদের ক্ষেত্রে এটি লক্ষণীয়।
বন্ধু বলে, মনের শান্তিকে তুই স্বার্থ বলছিস?
আমি বলি, সিনেমা হলে টাকা খরচ করছ নিঃস্বার্থে?
সে বলে, তাহলে পাগল কি পাগলামি করে শান্তি পায়না?
আমি বলি, পাগল কি জানে যে সে পাগলামি করছে?
দান/উপহারের মাঝে স্বীয় সন্তুষ্টি বিদ্যমান অন্যথায় তাকে বাধ্যবাধকতা বা লোকদেখানো বলা চলে।
বলুন, স্বীয় সন্তুষ্টির মাধ্যমে কি পুণ্যলাভের আশা করা যায়?
আরে ভাই, আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে আপনাকে বর দিবে আর সেটাই কি আপনার লক্ষ্য নয়?
সন্তানের হাঁসি মুখ দেখতে ইচ্ছে হয় বলেইত তার জন্য কষ্ট করি।
বন্ধুকে ভালবেসে তার জন্য একটি শার্ট কিনলেন। পথিমধ্যে সেটা চুরি হয়ে গেল। আপনার কি স্বার্থ উদ্ধার হল?
ভুমিকায় লেখক বলেন, এই লেখা থেকে যদি কারো উপকার হয় তবে তা সার্থক।
শত্রুর সব কাজে স্বার্থ খুঁজি, বন্ধুর সব কাজ নিঃস্বার্থ ভাবি।
এটাই জগতের নিয়ম। আসলে এই নিয়মটিই ঠিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।