প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ক্ষমতা বিলোপে সুপারিশের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে জানানো হবে। আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা বিলোপের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা এখনো কাজ করছি। ’
২০০৮ সালে প্রার্থিতা বাতিলসংক্রান্ত ৯১-ই ধারা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এর ফলে নির্বাচনের চিরাচরিত দৃশ্যপট বদলে যায়। এই বিধির ফলে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়া কমেছে। সভা-সমাবেশ ও মাইকের ব্যবহার, তোরণ নির্মাণ, দেয়াললিখন, রঙিন পোস্টার ও বিলবোর্ড সাঁটানো বন্ধ হয়েছে। কমেছে নির্বাচনের দৃশ্যমান ব্যয়। নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নাজেহাল, নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্মের ব্যবহার, কালোটাকা ছড়ানো, যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, চাঁদা-অনুদান গ্রহণ ইত্যাদি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফলে নির্বাচনী সংঘর্ষের মতো রক্তক্ষয়ী ঘটনাও কমে এসেছিল। কারণ, আরপিওর এই ধারা প্রয়োগ করে নির্বাচন কমিশন যেকোনো ‘বেয়াড়া’ প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে পারত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।