আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাকে অর্থহীন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) থেকে ৯১-ই ধারা বাতিলের সুপারিশের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন মিলনায়তনে সিইসি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন এখন নিজেকে যথেষ্ট শক্তিশালী ভাবছে কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নটি সিইসির উদ্দেশে হলেও তাঁকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বলেন, ইসি যথেষ্ট শক্তিশালী।
গত রোববার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভায় আরপিও থেকে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা সম্পর্কিত ধারা ৯১-ই বাতিলের সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ ইসি মিলনায়তনে সিইসি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেন।
এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, আবদুল মোবারক, জাবেদ আলী ও মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ এবং ইসি সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সিইসি বলেন, ৯১-ই ধারা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘণের গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা যাবে। সেক্ষেত্রে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে একজনের প্রার্থিতা বাতিলের ফলে যদি একজন বৈধ প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তবে সেই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এ বিধান স্ববিরোধী।
কারণ পুনরায় তফসিল ঘোষণা করলে প্রার্থিতা বাতিল হওয়া প্রার্থী আবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া প্রথমবার ঘোষিত তফসিলে যিনি বৈধ প্রার্থী, দ্বিতীয়বার তফসিল ঘোষণা করা হলে বিষয়টি তাঁর জন্য বিনা অপরাধে গুরুদণ্ড হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার প্রচারণা চালাতে গিয়ে তাঁকে দ্বিগুণ ব্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।