বুধবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
ওই এতিমখানার শিক্ষার্থী মুরসালিন খানের পক্ষে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের একটি আবেদনে আদালতের এই আদেশ হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এতিমখানার ২৫০ জন শিক্ষার্থীর সাত দিনের খাবারের অর্থ প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আদালত এতিমখানার প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারিকে নির্দেশ দিয়েছে। এই আদেশ পালন করে আগামী সোমবারের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রতিবেদন হলফনামা আদালতে জমা দিতে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
“এই আদেশ পালনে ব্যর্থ হলে আগামী ২০ মে দুই বিবাদীকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
”
তিনি বলেন, গত চারদিন খাবার সরবরাহ বন্ধ আছে। তবে এতিমখানায় আরো দুই দিনের খাবার মজুদ আছে। এর মধ্যে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে সব শিক্ষার্থীর জন্য বৃহস্পতিবার দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছি।
“আপাতত আদালত ৭দিনের খাদ্য সরবরাহের জন্য আদেশ দিয়েছেন। পরে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে।
”
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ রুমী।
খাদ্য সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন পত্র পত্রিকার প্রতিবেদন যুক্ত করে এই আবেদনটি করা হয়।
‘স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা এতিমদের সঙ্গে এ কেমন আচরণ?’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এতিমখানার কার্যনির্বাহী কমিটি খাবারের অর্থ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি। কমিটির কর্মকর্তাদের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় অর্থ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দানশীল ব্যক্তিদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।