ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে দেশ বিরোধীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হত্যা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসায় কতিপয় মীরজাফরকে। আইন করে হত্যার বিচার বন্ধ করা হয়।
ভাগ্যের কারণে তার দুই কন্যা দেশের বাইরে থাকায় বেচে যান।
বড় কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে বিচার শুরু হয়। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন বিচারের রায় কার্যকর করতে পারেননি। বিধায় তার আবার ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
শেষ পর্যন্ত ১২ জন খুনীর ফাসির রায় হয়। ভীতু খুনীরা বেশীর ভাগই পলাতক।
এদের মধ্যে ২ খুনীকে বিদেশ থেকে ধরে আনা হয় এবং চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ৫ খুনী ফাসিতে ঝুলে।
এখন আমার কথা হচ্ছে , বঙ্গবন্ধু হত্যার খন্ডিত বিচার করা হল কেন? মাত্র কি ১২ জন লোক কি এই হত্যায় জড়িত ছিল? সেটা কি ঠিক।
আমার ব্যক্তিগত অভিমত, কম করে হলেও ১০০ জন জড়িত ছিল যাদের ফাসি হওয়া উচিত। কেন তাদেরকে খুজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হল না? সেনাবাহিনীর প্রথম দিকের কম পক্ষে ১০ জন দোষী। সেই রাতে যারা ট্যাঙ্ক চালিয়ে ৩২ নম্বরের দিকে গিয়েছিল তারা কি দোষী নয়?
সরকারের অনেক আমলাও এ হত্যার সাথে জড়িত ছিল।
তাদেরকে কেন ছেড়ে দেয়া হল।
খন্ডিত বিচার করে আজ অনেকেই আত্নপ্রসাদ অনুভব করেছেন। যে কোন দেশেই কোন নাগরিক নিহত হলে তার বিচারের ভার রাষ্ট্রের। কিন্তু বাংলাদেশ এমনই এক দেশ যে সে তার তার নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয় না। কেউ নিহত হলে বিচার করে না।
তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনা যদি দেশের বাইরে থাকতেন তাহলে কি এই খন্ডিত বিচারও কোন দিন হত এই বাংলাদেশে? কি অদ্ভুত এক দেশ যেখানে পিতার হত্যার বিচার করার জন্য মেয়েকে প্রধানমন্ত্রী হতে হয়! কিন্তু কয়জন পিতা আছেন যে তাদের কন্যারা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন?
এদেশে জিয়া হত্যার বিচার হয়নি। মঞ্জুর হত্যার বিচার হয়নি। কেন এই সব হত্যার বিচার হয়নি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।