আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈশ্বরের রসবোধ ও ফুসফুসে মটরশুঁটি গাছ

soroishwarja@yahoo.com

ফুসফুসে মটরশুঁটি গাছ। বোঝেন ঠেলা। ঘটনা সত্য। বেচারা শিক্ষক। অবসর নিয়েছেন।

কয়েক মাস ধরে ভুগছেন শ্বাসকষ্টে। গেলেন চিকিৎসকের কাছে। ওমা! চিকিৎসকের কথা শুনে তো অবাক। বলে কী! ফুসফুসে নাকি মটরশুঁটির চারা গজিয়েছে! ম্যাসাচুসেটসের বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী রন এসভেডেন ফুসফুসের রোগ এম্ম্ফিজিমায় ভুগছিলেন। শ্বাসকষ্ট, কফ_ সব মিলিয়ে ৩১ মে অবস্থা খুব খারাপ হলো।

তাঁর স্ত্রী ন্যান্সি অ্যাম্বুলেন্স খবর দিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক এক্সরে করলেন। বাম ফুসফুসে একটা দাগ দেখা যায়। এই ফুসফুসটা অচল হয়ে গেছে। রন ভেবেছিলেন, টিউমার গোছের কিছু হবে।

চিকিৎসক বললেন, না তেমন কিছু নয়। ক্যান্সারের কোনো লক্ষণও নয়। যা দেখলেন তা দেখে তো অবাক। ফুসফুসের মধ্যে দিব্যি বেড়ে উঠছে একটি মটরশুঁটির চারা। রনকে বলা হয়, ফুসফুসে আধা ইঞ্চির মতো একটি মটরশুঁটির চারা আছে।

রন হয়ত মটরশুঁটি খেয়েছিলেন, সেটি ঠিক জায়গা দিয়ে ঠিক জায়গায় পৌঁছেনি। ফুসফুসে পৌঁছে একেবারে পাতা মেলে দিয়েছে। রনের চিকিৎসক ড. জেফ স্পিল্লেন বলেন, গিলে ফেলার জন্য এটা খুবই ছোট জিনিস, কিন্তু ফুসফুস থেকে বের করে আনার জন্য এটা তত ছোট নয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই চারা বের করার পরও রন রসবোধ হারাননি। অস্ত্রোপচারের পর প্রথম তাকে যে খাবার দেওয়া হয় তাতেও মটরশুঁটি ছিল।

তিনি দিব্যি তা খেয়েছেন। হাঁফ ছেড়ে বাঁচা রনের স্ত্রী ন্যান্সি বলেন, ঈশ্বরের যে এমন রসবোধ আছে তা কে জানতো! রনের ফুসফুসে গাছ গজানোর আগে ২০০৯ সালে আর্টিয়োম সিডরকিন নামের আরেক রাশিয়ানের ফুসফুসে ৫ সেন্টিমিটারের একটি গাছ গজিয়ে ছিল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।