আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যাক্রো ব্লগিং :: সমকালীন এলার্জি

পাখি এক্সপ্রেস

পরকীয়ার কারণে সন্তান হত্যা আসলে হওয়া উচিত পরকীয়ার কারণে শিশু হত্যা। বিশেষ আবেগী দৃষ্টিতে দেখার কোন সুযোগ নেই। এক ধরনের পরিবর্তন দেখছি। এ ধরনের হত্যা কেবলমাত্র পরিবর্তনের ঝাঁকুনি, অন্য কিছু নয়। মানুষ কিছু মিথ থেকে বেরিয়ে আসছে।

সম্পর্কের বৈজ্ঞানিক এবং যুক্তিযুক্ত পরিচয় পাশ কাটিয়ে কিছু সাইনবোর্ডধারী সম্বোধন যে কতটা অযৌক্তিক! তা প্রমাণ হতে বেশি দেরি নেই। এখন অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী পরিবর্তনের জন্য। মূল্যবোধের উন্নয়ন; যা আগেই হওয়া উচিত ছিলো। বাধা ছিলো ধর্মাচ্ছন্নতা। বেঁচে থাকার রাজনীতি থেকে ধর্ম উচ্ছেদ না হলে মূল্যবোধের উন্নয়ন হবে না।

কারণ ধর্মের টার্মস অব কন্ডিশন ভয়াবহ রকমের বেশি। ধর্ম বরং বিশ্বাসের আশেপাশেই থাকুক। যতটুকু হলে স্বর্গ নিশ্চিত হবে (কারণ পুরোপুরি উচ্ছেদ করতে অনেকেই ইচ্ছুক না)। পরিবর্তনের কথা বলি, সম্পর্ক কেন্দ্রিক মিথ থেকে বের হওয়ার আগে মূল্যবোধের উন্নয়ন ছিলো জরুরী। কিন্তু যেহেতু সেটা হয়নি, সেহেতু অত সহজে হবেও না।

সুতরাং কিছু মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এসব নিয়ে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেশপ্রেমিক নাগরিকের কেবলমাত্র বুকের পাথর নামা ছাড়া আর কিছুই হবে না। কারণ যুদ্ধাপরাধীদের গজানো মোটা মোটা শিকড় উৎপাটন করতে পারবে না সরকার। এমনকি তাদের বাণিজ্যিক অস্তিত্বও নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না। শিকড় গজানোর সময় প্রতিটি সরকার কর্তৃক দুর্নীতিই এর কাল হয়েছে।

এখন একনায়কতন্ত্র কায়েম করা ছাড়া বিষাক্ত শিকড় উৎপাটন সম্ভব নয়। কিন্তু জনগন সকল স্বৈচারার কর্মকান্ডের বিপক্ষে দু’পায়ে খাড়া আছে। বড় দু’টি রাজনৈতিক দলের সাহায্য নিয়ে জামায়াত এখন তাদের চেয়েও বড়ো হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের আর কোন রাজনৈতিক দল এতোটা শক্তিশালী নয়। কিন্তু পুরো বিষয় পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, কেবলমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেই আওয়ামীলীগ আগামীবারের ক্ষমতাগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারবে না।

কারণ, ব্যর্থতা যে অনেক বেশি। অথচ ছাত্রলীগকে দিয়ে ধর্মাশ্রয়ী জংগীবাদী কার্যক্রম সম্পর্কে জগনকে সচেতন করানোর কাজটি করিয়ে নেয়া যেত। ড্যাপ ড্যাপ খেলা সরকারের নাকের ডগায় কালের কন্ঠ আর বাংলাদেশ প্রতিদিন নামক পত্রিকা দু’টি দেশের পত্রিকা পাঠকদের মগজ ধোলাই করে যাচ্ছে। গাজীপুরে কিছু মানুষকে দিয়ে বিক্ষোভ করিয়ে সেটাকে গণবিস্ফোরন বলে চালিয়ে দিচ্ছে। অথচ সরকারের হাতে একটি ললিপপও নেই যে চুষবে।

বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া এখন রাজউকের দুর্নীতির ময়না তদন্তে নেমেছে এবং তা কেবলই ড্যাপ ঠেকানোর জন্য। প্রতিদিন তাদের পত্রিকায় “ড্যাপ আত্মঘাতী” “ড্যাপ ধ্বংসাত্মক” এ ধরনের ডায়ালগ পড়তে পড়তে টায়ার্ড। দেশের এখন সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। সরকার কখনোই বসুন্ধরা গ্রুপের বিপক্ষে যেতে পারবে না। কারন বসুন্ধরা গ্রুপের মতো জায়ান্ট গ্রুপগুলোর কাছেই দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বেশি ঋণী, জনগনের কাছে নয়।

আসলে বাংলাদেশের আয়তন অত বেশি না। বসুন্ধরা গ্রুপ এক সময় বাংলাদেশের মালিকানা দাবি করার মতো শক্তিশালী হলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না। বুঝি না, কিভাবে একটি শিল্পগোষ্ঠী রাষ্ট্রের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে যায়। শুয়োর পালন কর্মসূচী ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা ও পৃষ্ঠপোষকতা করার জন বিএনপি এবং আওয়ামীলীগকে জনগনের আদালতের মুখোমুখি করানো উচিত। ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যারা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে হুমকীর মুখে নিয়ে গেলো, দীর্ঘ সময় ধরে তাদেরকে বহন করে যেতে হবে।

শীর্ষ দু’দল দেশপ্রেম নিয়ে ব্যবসা করতে গিয়ে জামায়াতসহ বেশ কিছু জংগীঘনিষ্ঠ ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা নেয়ার কারণেই এখন আমাদেরকে শুনতে হচ্ছে “নিজামীরা কোন অপরাধ করেনি, অখন্ড পাকিস্তানের জন্য কাজ করা কোন অপরাধ নয়”। বড় দু’দলের শুয়োর পালন কর্মসূচীর সমস্ত কুফল এখন জনগনকেই ভোগ করতে হচ্ছে। ছাত্রলীগ ধর্মীয় জংগীরা তবুও সাংবিধানিক আইনে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি পাচ্ছে। ছাত্রলীগের চলমান কুকর্ম হয়তো তাদেরকে সে বিচার প্রাপ্তির সুযোগও দেবে না। এভাবে চলতে থাকলে দেশের মানুষ তাদেরকে লাথি মারতে মারতে মারবে।

নগরের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন গতকাল বনানী বাস স্টপিজে দেখলাম উত্তরা, টংগী, গাজীপুরগামী মানুষ রাত ১০টায়ও অস্বভাবিক ভিড় করে আছে। কেউ কেউ হয়তো ২ ঘন্টারও বেশি একটি বাসের সামান্য খালি স্থানের আশায় দাড়িয়ে আছে। ঝুলে যেতে পারলেই হয়। অথচ আবার সকাল ৭টায় তাকে অফিসে আসার বাস ধরতে হবে। শহরের যানজট প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত সময় কেড়ে নিচ্ছে খুব নির্মম তরিকায়।

যার প্রভাব দাম্পত্য জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনেও পড়ছে অশ্লীল এবং বিশ্রীভাবে। বেঁচে থাকা যত কঠিন হবে, দুর্নীতিসহ অন্যান্য অপরাধের পরিমানও ততটা বেড়ে যাবে। নগরের যানজট অর্ধেক কমানো গেলে মানুষের বেড়ে যাবে দ্বিগুন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যও কারো কাছে বোঝা হবে না। উত্তরা থেকে মিরপুরগামী একটি বাস ২ ঘন্টায় এসে পৌঁছোয়।

কেবলমাত্র ট্রাফিক জ্যাম ছাড়া আর কোন জ্যাম না থাকলে এ বাসটি আধঘন্টায় আসা সম্ভব। থাকুক না, ১ ঘন্টায় আসলেও হয়। যাত্রী কিন্তু বরাবরই রাত ১১ পর্যন্ত ভিড় করে আছে। অথচ তারা ঘরে ফেরার কথা বিকেলে অথবা সন্ধ্যায়। মানুষকে অতশত ভাতা টাতা না দিয়ে যানজট অর্ধেক কমালেই নগরের উৎপাদন দ্বিগুন বেড়ে যাবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.