আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিনবদলের সস্তা শ্লোগানে ভাঙ্গা রের্কডার আর কতদিন বাজাবে

হট নিউজ

এক হরতালে সরকার কাহিল হয়ে পড়েছে। ফলে বিরোধীদলের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। শতশত নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষের জন্য গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো আপতিত হয়েছে বিদ্যুৎ-গ্যাস ও পানি সংকটের মতো দুর্বিষহ সংকট। সরকার এসব বাস্তবতা অস্বীকার করে তাদের বিগত দেড় বছরের কর্মকান্ডে সাফল্যের উপাদান খুঁজে হয়রান।

নির্বাচনের সময় মাত্র দেড় বছর আগের দেয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরকার সরে গেছে। জনগণ সরকারের কর্মকান্ডে শুধু হতাশই নয়, যারা ‘দিনবদলের' সস্তা শ্লোগানে বিভ্রান্ত হয়ে লাইনবেঁধে নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন তারা অনুতাপে বুক চাপড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগের খাসলত যে কখনও পরিবর্তন হবে না, এ ব্যাপারে জনগণ নতুন করে উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন। দুঃশাসন অন্যদিকে শাসকদলের নানা সংগঠনের ক্যাডারদের দুর্বৃত্তপনা-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ জনগণ সরকারের বিরোধী দল ও মত দলনের ফ্যাসিবাদী জিঘাংসায় অবতীর্ণ হয়েছে। বহুদলীয় রাজনীতির গণতান্ত্রিক ধারা পদদলিত করে সরকার আইউব-ইয়াহিয়ার পথে স্বৈরতান্ত্রিক নিপীড়ককে তাদের শাসন-শৈলী হিসেবে এস্তেমাল করে চলেছে।

চিরুনি অভিযান চালিয়ে শিবির উৎখাতের নামে নজীরবিহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে আতঙ্কজনক অস্থিতিশীলতা তৈরি করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে গণতন্ত্রের স্বপক্ষ শক্তি ও আধিপত্যবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতকে দমন ও নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্র তৈরির লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধীদলের নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশী সন্ত্রাস চালিয়ে সংসদীয় বহুদলীয় রাজনীতিকে বিপন্ন ও কলঙ্কিত করা হচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর দায় অন্যায়ভাবে জামায়াত-শিবিরের ওপর চাপিয়ে সরকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশ থেকে জামায়াত-শিবির উৎখাতে ফ্যাসিবাদী তান্ডব শুরু করেছে। প্রতিবেশী দেশের সাথে জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাস্তবায়নের পথে বিরোধিতাকারীদের নির্মূল করার ব্লু প্রিন্ট অনুযায়ীই সরকার এই নির্যাতন নিপীড়নের অফেনসিভ স্ট্র্যাটেজি বেছে নিয়েছে।

একদিকে শাসন-প্রশাসনে সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করা এবং জনগণের দৃষ্টিকে ডাইভার্ট করার কূটকৌশল এস্তেমাল করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদী ইসলামী দলকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের থাবায় আত্মকেন্দ্রিক ও ডিফেনসিভ পলিসি নিতে বাধ্য করে দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র প্রতিরোধের বৃহত্তর আন্দোলন বানচাল করতে চায়। এই অবস্থায় বিরোধী দলসমূহের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সামিল হয়ে দেশ রক্ষার ইতিহাস নির্ধারিত দায়িত্ব পালন সময়ের দাবি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, বিরোধী দলের আন্দোলনে সরকার ভীত নয়। একই সাথে তিনি বলেছিলেন, বিরোধী দলের আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি বরদাশত করা হবে না।

দুই-তৃতীয়াংশ সংসদীয় আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসা যেকোনো সরকারই বিরোধী দলের নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ভীত হতে পারে না। কিন্তু সরকার যখন বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশকেও সহ্য করতে না পেরে পুলিশী তান্ডবে ভীতির সঞ্চার করে, তাহলে তাতে সরকারের ভীতিই প্রমাণ হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.