এক ছিলো পন্ডিত,সে সবাইকে বুদ্ধি পরামর্শ দেয়। একদিন এক রাজনীতিবিদ তার কাছে এসেছেন। সে বলল"পন্ডিত মশায় আমার নির্বাচন এলাকায় বেশ কিছু তরুন আমার বিরুদ্ধে প্রচারনা করছে,এখন আমি কি করব?" পন্ডিত মশায় জানতে চাইল,তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কি? সে বলল আমার বিরুদ্ধে গত বছরে ক্লাবে কিছু অনুদান ছিলো সেই গুলো একাই খেয়ে ফেলেছি। পন্ডিত একটু চিন্তা করে বলল"তা অবশ্যই অন্যায়। যা হোক আপনি তাদের পাওনা গুলো ফিরে দাও এবং বল ভবিষ্যতে এই রকম কোন ঘটনা ঘটবেনা।
তোমাদের জন্য আগামী দিনে ভাল কিছু করব। তোমাদের মতামতের মুল্য সবসময় দিবো। " রাজনিতিবিদ পন্ডিতকে বলল " ঠিক আছে আমি তাই কর!" সে এলাকায় এসে চিন্তা করল আচ্ছা কত টাকা দিতে যেন হবে? দু'হাজার টাকা! আমি যদি একহাজার টাকা পুলিশকে দেয় তাহলে তো আমার আরও এক হাজার টাকা রক্ষা পায়। সালা পন্ডিত কি বুদ্ধি দিল। পুলিশকে দিয়ে ওদের এলাকা ছাড়া করব।
তখন আর কেউ আমার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবেনা। সে থানায় গিয়ে ওসি সাহেবকে একহাজার টাকা দিয়ে বলল "আমার নির্বাচন যেন পক্ষে থাকে আর কিছু অবুঝ পোলাপান আছে ওদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। "ওসি মহাখুশিতে টাকাটা পকেটে রাখলেন। ওসি ভাবলেন এক হাজার টাকা হলে আমার অন্তত একদিনের বাজার খরচ হবে। আর কন্সটেবলকে ৫০/- টাকা দিলে ওরা পান বিড়ি খাবে আর একবার গ্রামে ঢুমেরে এলে পোলাপান এলাকা থেকে ভয়ে পালিয়ে যাবে।
পরেরদিন পুর্বপরিকল্পনা মতে পুলিশ সেই অভিযুক্ত গ্রামে গিয়ে পোলাপানদের বকাবকি করল, এবং বলল আমরা এই ঘঠনা জন্য থানা থেকে এসেছি তাই খরচ হিসেব করে বুঝে দিন নয়লে সব ক'টারে হাড্ডি ভেঙ্গে তারেক জিয়ার মত অবস্থা করব। আর আজকের মধ্যে এলাকা থেকে পালিয়ে যাও যদি ক্রসফায়ারে না পড়তে চাও। যুবকরা কোন ভয় পাচ্ছেনা, তারা অভিযোগের কাগজপত্র দেখতে চাইল,কিন্তু পুলিশ তা উপস্থাপন করতে পারলনা,এদের মধ্যে থেকে একজন ডিজিএফ এর লোক ছিলেন ওনি সরাসরি পুলিশ লাইনে ফোন করে এদের ধরিয়ে দেয়,ওসি খুব চালাক ছিলেন ওনি উপর থেকে ফোন পাওয়ার সাথে সাথে নিজেই চাদা বাজির অভিযোগে পুলিশকে গেপ্তার করল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।