Everyone is entitled to my opinion.
আর মাত্র দুই সপ্তাহ পর বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন। একারণে বাংলাদেশ এবং ব্লগগুলোর ভার্চ্যুয়াল আবহাওয়া বেশ সরগরম। গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছে। ইশতেহারের মূল স্লোগান হচ্ছে "দিনবদলের সনদ"। তাই স্বভাবিক ভাবেই আমরা ধরে নিতে পারি যে আওয়ামি লীগ আগামি দিনগুলোতে আমাদের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে - দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এবং সেই সাথে সাথে রাজনৈতিক চর্চ্চার।
আর যেহেতু ব্লগের বেশিরভাগ রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে আওয়ামিলীগের জেতার সম্ভাবনা বেশি তাই আমার কিছু প্রত্যাশার কথা আমি শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলতে চাই।
ইশতেহারে যে কথাগুলি বলা হয়েছে সেগুলি নিয়ে আমার তেমন বক্তব্য নেই। যদি সেসব প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেন তাহলে তো খুবই ভালো। আমার বক্তব্য যেগুলি আপনি বলেননি সেগুলি নিয়ে। আমি আশা করব আপনি নিচে বর্ণিত আপনার পুরোনো অভ্যাস গুলি ত্যাগ করে নিজেকেই পরিবর্তন করবেন এবং আমাদের সুস্হ রাজনীতির পথ দেখাবেন:
১) যত্রতত্র, যেকোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আগে বন্গবন্ধুর নাম লাগিয়ে তাকে আর বিতর্কিত করবেন না।
২) নিজের দলে গডফাদার বা সন্ত্রাসি থাকলে তাদের বিচার করার ব্যবস্হা নেবেন। প্লিজ বলবেন না যে -জয়নাল হাজারি ছিলো, আছে, এবং থাকবে।
৩)বিরোধী দলের গুন্ডারা আপনার দলের ছেলেদের উপর নির্যাতন করলে প্লিজ বলবেন না - ওরা একটা লাশ ফেললে তোমরা দশটা লাশ ফেলে দেবে। বরং বলুন, দেশে আইনের শাসন আছে, দেশের প্রচলিত আইনে ওদের বিচার করা হবে।
৪) প্লিজ লাঠি বৈঠা নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার উপদেশ দেওয়ার বদলে বলবেন তোমরা শান্তিপূর্ণ-সুশৃঙ্খল ভাবে মিছিল করো।
রাজনৈতিক চর্চ্চার এই প্রসন্গ আসাতে আজকের নিউইর্য়ক টাইমস্ পত্রিকায় প্রকাশিত একটা ছোট্ট খবরে চোখ আটকে গেলো। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে সপরিবারে উঠে যাবেন। কিন্তু সমাস্যা হচ্ছে মেয়েদের স্কুল শুরু হবে জানুয়ারির ৫ তারিখে। তাই বারাক ওবামা হোয়াইট হাউস্কে অনুরোধ করেছিলো ব্লেয়ার হাউসে (প্রেসডেন্টের গেস্ট হাউস্) সে সময়ের আগেই উঠতে চায়। কিন্ত, হোয়াইট হাউস ওবামাকে না করে দিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ি inauguration-র মাত্র ৫ দিন আগে নতুন প্রেসিডেন্ট ব্লেয়ার হাউসে উঠবেন। আর তাছাড়া ঐ সময় প্রেসিডেন্ট বুশের কোনো এক গেষ্ট থাকবেন। কিন্তু কে সেই গেষ্ট যাকে নতুন প্রেসিডেন্টের জন্যও স্হানান্তর করা যাবে না! মিসেস্ বুশের মূখপাত্র বলেছেন তখন কোনো সরকারি গেষ্ট থাকবেনা বা কোনো পারিবারিক গেষ্টও থাকবেনা। কিন্তু তারা বলছেনা কে সেই গেষ্ট। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে কোনো বিদেশি গেস্টও তখন থাকবেনা।
কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্চে ওবামার অফিস থেকে বলা হয়েছে তারা বিকল্প আবাসনের চেষ্টা করছেন এবং আশা করছেন বাচ্চারা স্কুল মিস্ করবে না। তারা এও বলছে যে, হোয়াইট তাদের সব প্রয়োজন মেটাতে সবরকম সহযোগিতা করছে।
তাই শেখ হাসিনা কে বলব আপনি বন্গভবনে উঠলে এই ধরনের দৃষ্টান্ত উপস্হাপন করবেন এবং সম্পূর্ন নতুন এক রাজনৈতিক সহনশীলতার পরিবর্তন নিয়ে আসবেন।
সূত্র: নিউইর্য়ক টাইমস্
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।