সীমান্তে বাঙলাদেশীদের হত্যা, টিপাইবাধ, ফারাক্কা, সীটমহল, তালতলার চর দখল দেখে ভারতের বিরুদ্ধে মন বিষয়ে উঠছে। ব্লগে এই নিয়ে বিভিন্ন লেখা লেখি হচ্চে। কেউ কেউ ভারতের চেৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করছেন। তাদের বক্তব্যশুনে মনে হয় ভারত হলো পানিভাত একটা দেশ এর সাথে সম্পর্করাখার কোন মানে নেই। স্বাধীনতার সময় তাদের যে একটি বিশাল অবদান রয়েছে অনেকে তা স্বীকারও করতে চান না।
কৃতজ্ঞতা তো পরের কথা।
ভারত আমাদের সাথে যে আচরণ করছে, আমাদের মেজাজ তাতে ভাল থাকার কথা নয়। দাদাগীরি অসহ্য লাগে। চরম সত্য কথা। এই অজুহাতে একটি বাস্তবাতাকে অস্বিকার করা যায় না।
ডকট্রিন অব নেসাসিটি বলে যদি কিছু থাকে তা হলে আমাদের উচিত ভারতের সাথে ভাল সম্পর্ক রেখে চলা।
একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত রুগ্ন অর্থনৈতিক দেশের পক্ষে বিশাল জনগোষ্ঠির, অর্থনৈতিকভাবে সুস্থ, সংগঠিত, ভৌগলিক বিবেচনায় আমাদের বন্ধি করে রাখা একটি দেশের বিপক্ষে যাওয়া কোন বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করি না।
বিরোধে না জড়িয়ে, তাদের সাথে তালমিলিয়ে, নিজেরা স্বাবলম্বী হই। শিক্ষা - দীক্ষায়, অর্থনিতী - প্রযুক্তিতে। মাত্র ৩০ বছর পূর্বে মালয়শিয়া দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের মত একটি গরীব রাষ্ট্র ছিল্।
তারা যখণ পেরেছে আমরাও একদিন পারবো। টাইম ইজ ওল্ড জিপসী ম্যান। আজ এখানে, কাল ওখানে। আমাদের কাছেও একদিন আসবে। তখন না হয় দাদাদের বলব, এখন সময় আমাদের...
একটা প্রাসঙ্গিক গল্প
বিদেশ ফেরত ছেলের পিতা করিম সাহেব নতুন ২তলা বিল্ডিং এর উপরে উঠে তার প্রতিবেশীকে ডাকছেন, রহিম সাহেব ও রহিম সাহেব।
প্রতিবেশী রহিম সাহেব বুঝতে পারলো তার নতুন তৈরী ২তলা বিল্ডিং এর অহমিকা। তিনি তার ডাকে কোন উত্তর দিলেন না।
এরপরই নিজের ছেলেকে বিদেশ পাঠালেন ২বছর পর রহিম সাহেবও ৩তলা একখান বাড়ি করে ৩ তলা থেকে তার প্রতিবেশি করিম সাহেবকে ডাকছেন, ও করিম সাহেব, করিম সাহেব, ২ বছর আগে আমাকে ডেকেছিলেন কি জন্য, এই বার বলুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।