আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

করতলে দিগন্ত, দৃষ্টিতে তুমি-

"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"

করতলে দিগন্ত, দৃষ্টিতে তুমি- মেঘবতী, কালকের দিনটা ছিল বৃষ্টিমুখর। তুমুল বৃষ্টির কারণে জল থৈ থৈ অবস্থা। আহ্! ছোট্ট একটা ডিঙি পেলে কিশোরবেলার মতো নাবিক হবার চেষ্টা করা যেত। তাতো আর হবার নেই। কোন সুযোগও নেই।

সময় এবং বয়স একে একে সবকিছু কেড়ে নিয়ে গেল। পুরোনো স্মৃতিটুকু এখন অবসর সময়ের সঙ্গী। আলসেমি কাটিয়ে সেদিনের অসমাপ্ত মেইলটা শেষ করা যায় কিনা চেষ্টা করা যাক। তবে সুর কেটে গেলে মূর্চ্ছণার আমেজটা আর আগের মতো থাকেনা সেটা তুমিও জানো। “আমি কোনদিন কিছু ছিলাম না এবং আমার কোন অভিলাষ ছিলনা অথচ আমার ভেতরে পৃথিবীর তাবৎ স্বপ্ন....”।

আমাদের প্রতিদিনের স্বপ্নগুলো যদি অবারিত দিগন্ত ছুঁয়ে যেতে পারতো-- যদি আমাদের ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো রঙিন সূতোয় মোড়ানো রুমালের মতো ভালবাসার চিহ্ন হয়ে যেত-- যদি আমাদের চেনা-জানা ভাললাগাগুলো ময়ূরী আকাশের নীচে সন্ধ্যা প্রদীপ হয়ে জ্বলতো--এবং যদি আমাদের হৃদিক সম্পর্কগুলো বহতা নদীর মতো চিরদিন স্রোতস্বিনী হতো-- আমরা কি তবে শ্রাবণের মেঘের মতো প্রতিদিন ভেতরে ভেতরে এমন ঝরে যেতাম? আমাদের হৃদপিন্ড কি তবে এরকম গলে পরা বরফের মতো ক্ষয়ে যেতো দুঃখ ও বিনাশে? স্পর্ধিত মধ্যাহ্নের মতো জীবনও ডুবে যায় মহাকালের অতলে। প্রজ্জ্বলিত সূর্যের সাথে মিল রেখে আমরাও হারিয়ে যাই কোথাও-- কোন এক অজানা দিগন্তে। এই যে বেঁচে থাকা, একগুচ্ছ সৌরভহীন রক্তজবার মতো কাউকে বেঁধে রাখা মনের বাঁধনে, একা গাঙচিল হয়ে উপকূলে কান পেতে বসে থাকা ভালবাসার শিলাপাত শোনার ব্যাকুল আশায়--সেখানেওতো ক্ষিপ্রগতির বিদ্যুৎ এসে ছিন্নভিন্ন করে দেয় আমাদের কোমল অনুভূতি। কেঁপে ওঠা ল্যাম্পপোস্টের মতো দুলে ওঠে আমাদের মন। আমরা আহত হই বিপর্যস্ত সময়ের কাছে।

অগ্নিকোণের কোন তল্লাট থেকে ছুটে আসে প্রবঞ্চক হাওয়া- এলোমেলো করে দেয় আমাদের নাক্ষত্রিক প্রেম। গাণিতিক অর্থে দুজনেই শূন্য বসাই মনের ঘরে। তবুও ভালবাসি আমরা। পলিমাটির সৌরভ ছড়াই মৃত্তিকার প্রযত্নে। শুকনো পাতার বনভূমিতে জমা করি সজল মেঘ- আকুল হাহাকারে প্রান্তর ভরিয়ে দেই বর্ণিল আবেগে- বৃষ্টির মোহনীয় ছন্দে।

শিশির এবং রৌদ্রের নমনীয়তায় আবার উচ্চারণ করি মানুষের জন্য ভালবাসা। বেঁচে থাকা যদি জীবন হয় আর জীবনের মানে যদি হয় ফুল ফোটানোর খেলা- তবে অজস্র প্রতিকূলতায় আমরা রোপণ করি কৃষ্ণচূড়া, বিষণ্ণতার অর্গল ভেঙ্গে কাছে টানি শুভ্র গোলাপ। হে মেঘবতী, লিখবো লিখবো করেও লেখা হয়ে ওঠেনা অনেকদিন। প্রবাহমান জীবন থেকে কিছু হারিয়ে গেলে অথবা মনের কোমল অনুভূতির দীপ্ত আলোকছটা কিছুটা স্তিমিত হলে জীবনের গতি ও পথ বদলে যায়। অনীহা কিংবা আড়ষ্টতা এসে জেঁকে বসে মগজে ও মননে- তবুও কখনো কখনো ইচ্ছে করে কথার নকশিকাঁথায় ঢেকে দিই কারো চিরচেনা অবয়ব- কতটুকু ঢাকা হয় জানিনা।

আষাঢ়ের ঘনকালো মেঘের আড়ালে সূর্যের মতো কেউ লুকিয়ে থাকে মনের দিগন্তে- তাই হয়তো এই অপলক চেয়ে থাকা। হয়তো আবারো দেখা হবে- চেনা কোন পথে কিংবা অচেনা কোন বন্দরে। -প্রিয়তমেষু

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।