আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০৩ সাল থেকে তারা দেশব্যাপী প্রতিটি নিয়োগ পরীৰার প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্য করে আসছে। বিসিএস ২৪, ২৫ ও ২৭ তম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সর্বাধিক বিক্রি হয়েছে।


সরকারি বিজি প্রেস ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ক্যাডার ও নন ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ পরীৰার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিল। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে পিএসসির কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা ও সরকারের অন্যান্য প্রশাসনেরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা জড়িত। গতকাল সোমবার গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ বিজি প্রেসে তলস্নাশি চালিয়ে প্রেসম্যান (মেশিনম্যান) আবদুল জলিলকে গ্রেফতার এবং তার স্যুটকেসে রাখা প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্যের ২৮ লাখ টাকা উদ্ধার করে। এই নিয়ে গতকাল পর্যনৱ প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্যের উদ্ধারকৃত টাকার পরিমাণ ৪৮ লাখে দাঁড়ালো। এর আগে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিৰক নিয়োগ পরীৰার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা তেজগাঁও সরকারি বিজি প্রেসের কম্পিউটার অপারেটর (কম্পজিটর) গোলাম মোসৱফা, সরকারি মুদ্রণালয়ের অফিস সহকারী হামিদুর রহমান ওরফে শেখ জিয়া, পিএসসি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ও বিজি প্রেসের সহকারী পরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করে।

এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অন্যতম হোতা বিজি প্রেসের কম্পিউটার অপারেটর শহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। গোয়েন্দা সংস'া বিজি প্রেস ও পিএসসির গ্রেফতারকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকল ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার অনুরোধ জানিয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এসকল গ্রেফতারকৃত ও পলাতক কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার সার্কুলার জারি করেছে। পিএসসি ও বিজি প্রেসের আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ও বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে তদনৱকারি কর্তৃপৰ নিশ্চিত হন যে, ২০০৩ সাল থেকে তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও পরিদফতরের প্রতিটি নিয়োগ পরীৰার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিলেন।

১৯৯৩ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁস শুরম্ন হয়। তবে ঐ সময় প্রতিটি নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁস করা সম্ভব হয়নি। বছরের দুই/একটি নিয়োগ পরীৰার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা সম্ভব হত। তবে ২০০৩ সাল থেকে প্রতিটি নিয়োগ পরীৰার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয় বলে গ্রেফতারকৃত মোসৱফা ও হামিদুল তদনৱকারি কর্তৃপৰকে জানিয়েছেন। তারা ও সিন্ডিকেটের সদস্যরা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

কত অযোগ্য ও মেধাহীন লোক তাদের এই ফাঁস করা প্রশ্নপত্র নিয়ে নিয়োগ পেয়েছে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। তাদের অনেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও পরিদফতর এবং আইন-শৃঙ্খলা রৰা বাহিনীর জুনিয়র কর্মকর্তা থেকে শীর্ষ পদে কর্মরত আছেন। এদের সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পারে বলে গ্রেফতারকৃত ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা জানান যে, প্রতিরৰা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিৰা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, কাস্টমস, পুলিশ, স্বাস'্য, খাদ্য অধিদফতর, সমাজসেবা অধিদফতরসহ সকল ক্যাডার সার্ভিস, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ পরীৰার প্রশ্নপত্র তারা ফাঁস করেছেন। যেভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ধরা পড়ে পুলিশের একটি গোয়েন্দা সংস'া প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার তথ্য পান বছর খানেক পূর্বে।

এই নিয়ে ঐ সংস'ার প্রধান একটি টিমকে দায়িত্ব দেন। টিমটি একটানা ৬ মাস কাজ করার পর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিৰক নিয়োগ পরীৰার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার তথ্য প্রমাণ পায়। প্রশ্নপত্র নিয়ে বিজি প্রেসের কম্পিউটার অপারেটর মোসৱফা ও জিপি প্রেসের হামিদুল রংপুরে অবস'ান করছিলেন বলে তথ্য পায় ঢাকার ঐ গোয়েন্দা সংস'া। রংপুরে একটি হল রম্নমে কয়েকশ পরীৰার্থীও উপসি'ত ছিলেন বলে তারা জানতে পারেন। এই সংবাদ রংপুরের পুলিশ সুপারকে জানিয়ে দেয় গোয়েন্দা সংস'া।

রংপুরের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সেই হল রম্নমে অভিযান চালিয়ে বিজি প্রেসের মোসৱফা ও জিপি প্রেসের হামিদুল এবং ১৬৭ জন পরীৰার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। রিমাণ্ডে এনে মোসৱফা ও হামিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরম্ন করলে দীর্ঘদিনের এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের তথ্য এবং বিজি প্রেস ও পিএসসির জড়িতদের নাম, ঠিকানা প্রকাশ করে দেয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকায় বিজি প্রেসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলীকে গত রবিবার রাতে আগারগাঁও থেকে এবং শেরেবাংলানগরের বাসা থেকে পিএসসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই দুই কর্মকর্তার স্বীকারোক্তিতে গতকাল প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্যের ২৮ লাখ টাকাসহ পুলিশ বিজি প্রেসের অভ্যনৱরে মেশিনম্যান আবদুল জলিলকে গ্রেফতার করতে সৰম হয়। জলিল গত রবিবার আরও ৭ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছে বলে পুলিশকে জানায়।

তারা প্রশ্নপত্র মোবাইল ফোনের মেমোরিতে করে নিয়ে নেন। কিন' তিন সেট প্রশ্নপত্রের এক সেট তারা ছাপানোর সময় নিয়ে নেন তাদের পকেটে। বিজি প্রেসের অভ্যনৱরে গোপন শাখায় যারা কাজ করে তাদের ইউনিফর্মে পকেট থাকে না। কম্পিউটার অপারেটর শহিদুল প্যান্টের কোমরের লুপের সেলাই খুলে তার ভিতরে করে প্রশ্নপত্র নিয়ে নিতেন। এইভাবে তারা দীর্ঘদিন প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছেন।

পুলিশ পলাতক শহিদুলের স্ত্রী লাবণীকে গ্রেফতার করেছে। তিনি কয়েকদিন আগে ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকা জমা রাখেন। এই টাকা প্রশ্নপত্র ফাঁসের বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছেন। রংপুরে ৩৮টি জেলার পরীৰার্থী উপসি'ত ছিলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিৰক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁস করার জন্য ১০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয় সিন্ডিকেট। এজন্য তাদের নিয়োজিত এজেন্টের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলাসহ ৩৮টি জেলা থেকে ৩০০ পরীৰার্থীকে আনা হয়।

প্রত্যেক পরীৰার্থীর সঙ্গে ৫ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা করে দেয়ার মৌখিক চুক্তি হয়। তাদের মধ্যে ১৫০ জন পরীৰার্থী চুক্তি অনুযায়ী এজেন্টের কাছে টাকা পরিশোধ করেছে এবং বাকি ১৫০ জন অর্ধেক পরিশোধ করে বলে গ্রেফতারকৃতরা জানান। এজেন্ট আছে ৬৪টি জেলায় বিজি প্রেস ও পিএসসির নিয়োগ পরীৰার প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্য সিন্ডিকেটের নিয়োজিতএজেন্ট ৬৪ জেলায় রয়েছে। এসব এজেন্টের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বিক্রি করা হয়ে থাকে। কোন পরীৰার্থীকে সরাসরি হাতে প্রশ্নপত্র দেয়া হয়নি।

বর্তমানে এমসিকিউয়ের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের উত্তর দেয়া হয়। প্রশ্ন উত্তরের সেট পরীৰার্থীদের মধ্যে ৭/৮ জনের একটি দলকে সঠিক উত্তর দেয়ার বিষয়টি শিখিয়ে দেয়। এই দলটি বাকি পরীৰার্থীদের সঠিক উত্তর সম্পর্কে শিখিয়ে দেয়। পরীৰার হলে শুধু সঠিক উত্তরের সামনে পরীৰার্থী চিহ্ন দিয়ে দেয়। প্রতিটি জেলায় এদের ৪ থেকে ৫ জন করে এজেন্ট রয়েছে।

এই এজেন্টের মাধ্যমে ২০০৩ সাল থেকে তারা দেশব্যাপী প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্যে করে আসছে বলে তারা জানায়। বিসিএস ২৪, ২৫ ও ২৭তম পরীৰার প্রশ্নপত্র প্রায় জেলার প্রার্থীর নিকট এজেন্টের মাধ্যমে সর্বাধিক বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি পরীৰায় ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা কামিয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস'া তথ্য পেয়েছে। পিএসসিতে রয়েছে আলাদা এক ভাগ্নে সিন্ডিকেট চারদলীয় জোট সরকারের আমলে পিএসসি’র এক বিতর্কিত সাবেক সদস্যের ভাগ্নে মামার ৰমতা বলে গড়ে তোলে শক্তিশালী আলাদা সিন্ডিকেট। এটা সেখানে ভাগ্নে সিন্ডিকেট হিসেবে পরিচিত।

পরবর্তীকালে এই সদস্যের দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রকাশ পায়। পিএসসির এই ভাগ্নে সিন্ডিকেট প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে আসছিল। জড়িতদের বাড়ি যেন মন্ত্রীর বাসভবনকে হার মানায় গ্রেফতারকৃতদের বাসায় পুলিশ প্রবেশ করে অবাক হয়ে যায়। তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী এবং জুনিয়র কর্মকর্তাদের বাসা শিল্পপতিদের বাসভবনকেও হার মানায়। বিদেশী সোফা ও টাইলস সান শওকত দেখার পর পুলিশের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়।

এছাড়া তাদের ব্যাংক একাউন্টে কোটি কোটি টাকার সন্ধান এবং বাড়ি ও জায়গার পরিমান বেশ। প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন পরীৰার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা উদ্ধারে গোয়েন্দা সংস'ার এত বড় সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এতবড় জাল জালিয়াতির ঘটনা ধরায় গোয়েন্দা দলটির প্রশংসা করেন। শিৰামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শিৰা মন্ত্রণালয়ের শক্তিশালী চক্র জড়িত ওয়াদুদ আলী, রংপুর ।

। রংপুরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিৰক নিয়োগ পরীৰার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট চক্রের আরো এক প্রভাবশালী কোটিপতি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত রবিবার রাতে ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ও বিজি প্রেসের সহকারি পরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ আলীকে গতকাল রংপুরে নিয়ে এসে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রবিবার রাতেই তাদেরকে ঢাকা থেকে রংপুরে নিয়ে আসার পর গতকাল বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন আক্তারের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

একই সঙ্গে আনা হয়েছে বিজি প্রেসের পলাতক কর্মচারি শহিদুলের স্ত্রী কোহিনুর বেগম ওরফে লাবনীকেও। তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রংপুরের পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর গতকাল বিকেলে তার সম্মেলন কৰে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিজি প্রেসের আরো দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হবে বলেও পুলিশ সুপার জানান। তবে তদনেৱর স্বার্থে তাদের নাম জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

এনিয়ে এ ঘটনায় ১৭১ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এদিকে শিৰা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম গোলাম ফারম্নকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গতকাল বিকেলে রংপুর এসে পৌঁছেছেন। তারা রংপুর সার্কিট হাউজে অবস'ান নিয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিয়া আব্দুলস্নাহ, জেলা প্রশাসক বিএম এনামুল হক, পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরসহ মামলার তদনৱকারী কর্মকর্তা ও ডিবি’র ওসি আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক তথ্য ও ধারণা নেন। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত সচিব এসএম গোলাম ফারম্নকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদনৱ করতে রংপুরে এসে প্রাথমিক তথ্য ও ধারণা নিয়েছি। আশা করছি, আমরা তদনেৱর নির্ধারিত ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে পারবো।

ওই কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, শিৰা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মফিজুল ইসলাম, সংস'াপন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সামছুল কিবরিয়া চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল হান্নান শেখ ও শিৰা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আলমগীর। অপরদিকে গতকাল মামলার তদনৱকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। ডিবি’র এসআই মাসুদের স'লে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডিবিতে নতুন যোগ দেয়া ওসি আব্দুল মান্নানকে। তদনৱকারী কর্মকর্তা জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট চক্রের যে ৮ সদস্যকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল গতকাল রিমান্ড শেষে তাদের মধ্যে ৬ জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে মামলার স্বার্থে সংস'াপন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারি হামিদুল ইসলাম ওরফে শেখ জিয়া ও বিজি প্রেসের কম্পিউটার অপারেটর গোলাম মোসৱফাকে গতকাল আবারো ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

এছাড়া রবিবার রাতে রিমান্ডে নেয়া হয় আরো ১১ জনকে। বাকি ১৪৮ জনকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। (দৈনিক ইত্তেফাক)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.