সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য। আমার চলমান মেইল এড্রেস ঃ shimantodhk2010@gmail.com ,
বিশেষ দৃস্টব্যঃ যারা পোস্টের হেডিং এর সাথে কন্টেটের মিল পাবেন না। তারা গালা গালী না করে পরের পোস্টের জন্য অপেক্ষা করুন। পোস্টটি দুই পর্বে শেষ হবে।
আজকে থেকে ৫ বছর আগের ঘটনা।
আমি চট্রগ্রামে থাকতাম। কোনো এক সকলে, আগ্রাবাদ চৌমহনি মোড়ে আমার চোখের সামনে একটি লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরন করে। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি বিহবল হয়ে যাই। রাস্তার সাথে লেপ্টে যাওয়া মাথা, চারিধারে ছিটকে পড়া মগজ আর রক্তে ভেসে যাওয়া রাস্তা। ওফফফফফফ আমি এখনো ভাবতে পারিনা।
আমি ভার্সিটি না গিয়ে আবার বাসায় চলে আসি। ওই ঘটনার পরে আমার স্বাভাবিক হতে ৭ দিন সময় লেগেছিলো।
কিন্তু আমি স্বাভাবিক এখনো হতে পারিনি। এখনো মাঝে মাঝে ঘুমে সেই দুঃস্বপ্ন দেখি। কিন্তু কাউকে বলি না।
প্রতিদিন অফিসে যেতে হয়, কিন্তু রাস্তা পার হতে এখনো অনেক ভয় পাই। সবচেয়ে বড় কথা আমি মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখি।
ঘটনা ১৭ মে রাত আনুমানিক ২টা। আমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ভারতীয় সৈন্যরা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাস্মীরে ঢুকে পড়েছে, ১৯৪৭ সালে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া কাস্মিরের ভুমি পুনিরুদ্ধারের জন্য।
বাধা হয়ে দাড়ালো, শক্তিমান পাক বাহিনী। শুরু হলো যুদ্ধ। ভয়ঙ্কর বিভতস সেই যুদ্ধ। একে অপরকে হিংস্র জানোয়ারের মতন মেরে ফেলছে। মানুষ হিসেবে কোনো পক্ষের ভিতরেই ন্যূনতম মানবিকতা দেখাচ্ছে না।
সর্বাত্নক যুদ্ধের পর্যায়ে শুরু হলো পারমানবিক যুদ্ধ। এক দেশ অপরের উপরে, একের পর এক পারমানবিক মিসাইল নিক্ষেপ করে যাচ্ছে। চোখের পলকে বৃহত এবং বিশালাকার শহর নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যেতে লাগলো। পাপরের মতন উড়ে গেল সব ইমারত।
হঠাৎ পাকিস্তান থেকে নিক্ষিপ্ত পরমানু ওয়ার হেড লক্ষ্য ভ্রস্ট হয়ে ঢাকা শহরের কোনো এক প্রান্তে আঘাত করলো।
চোখের নিমিষেই শেষ হয়ে গেল লক্ষ লক্ষ মানুষের সাজানো সংসার। শেষ হয়ে গেলো কোটি মানুষের ঘামে ভেজা পরিশ্রম করে বেচে থাকার স্বপ্ন।
আমি ধরফর করে জেগে উঠলাম। এটা ছিলো একটা দুঃস্বপ্ন । আমি ঘেমে গেছি।
আমার জ্বর ছেড়ে দিয়েছে, কারন ঘুমানোর আগে এস প্লাস খেয়ে শুয়েছিলাম। কয়েকদিন শরীরটা ভালো যাচ্ছিলো না। ৫ বছর আগে দেখা দুর্ঘটনা এখন বিভিন্ন ভয়ঙ্কর স্বপ্ন হয়ে দেখা দেয়।
আসুন এবার একটু আলোচনাতে যাই। ছোট বেলা থেকেই আমি অনেক উদার মনের।
কিন্তু কেন জানি বড়দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে আমি বিভ্রান্ত হতাম। কেউ আমাকে প্রশ্ন করলে বাবু তোমার দেশের বাড়ি কোথায়? আমি ঝট পট উত্তর দিতাম বাংলাদেশে। অনেকেই হাসতো। আমার অনেক সাথীদের জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিতো বরিশাল বা কেউ বলতো নোয়াখালী। আমার সরল মনে প্রশ্ন জাগতো, আমার দেশের নাম বাংলাদেশ, তাহলে যদি কেউ প্রশ্ন করে তোমার দেশ কোথায়? তাহলে আমার বলা উচিত বাংলাদেশে।
কেন বরিশাল,নোয়াখালী বা সিলেট হবে?কেন এলাকা ভিত্তিক জেলা ভিত্তিক মানুষের পরিচয় হবে??কেন চট্রগ্রামের লোক, আরেক জনকে নোয়াখাইল্যা বলে ছোট করবে। নোয়াখাইলির ছেলেরা কেন বরিশালের মেয়েদের বিয়ে করতে চায় না। চট্রগ্রামের লোক কেন নিজ জেলার মানুষ না হলে বইঙ্গা বলে সম্বোধন করবে। ছোটবেলা থেকেই বড়রা ও সমাজের মানুষেরা আমার মনে বিভেদের দেয়াল ধীরে ধীরে তুলে দেয়।
আস্তে আস্তে আমি বড় হলাম।
এখন আমি অনেক বড়। জীবনে অনেক কিছু দেখে বুঝলাম দেশের মানুষ আসলে এখন সমাজের একজন হয়ে গেছি। আমার মন আর শিশুর মতন সরল নেই। সকলের মতই আমিও নানাবিধ বিধিনিষেধের জালে আবদ্ধ।
সমাজের মানুষ জন ও অনেক বিভক্ত।
ধর্ম থেকে শুরু করে জেলা ভিত্তিক এমনকি পিতার পদবিও বিভক্ত।
যেমনঃ রাজীব কুমার হিন্দু, কোনো কারনে তার সাথে ঝামেলা বাধলে অন্য আরেক মুসলিম ব্যাক্তির কাছে গিয়ে, জামাল সাহেব বলবেন ঃ আরে বুঝলেন না মিয়া ভাই। শালা একটা ডান্ডির বাচ্চা। মালাউনের জাত। কোনো ভরসা নাই।
কোন সময় টাকা পয়সা নিয়া কাইটা পরবো, ভারতে যাইয়া বাড়ী কইরা থাকবো। হাতের নাগালেই পাবেন না।
অনেক হিন্দুই আবার এই দেশটাকে নিজের দেশ বলে মনে করতে পারে না। গোপনে গোপনে অনেকেই টাকা পয়সা জমিয়ে ওই পাড়ে পাঠিয়ে দেয় জমি জমা বা অনান্য সম্পত্তি কিনার জন্য। ভবিষ্যত নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে।
এটি আমাদের দেশের অর্থনীতীর জন্য চরম ক্ষতিকর। তাদের ছেলে মেয়ে বড় হলে শিক্ষা দিক্ষার জন্যেও অনেক হিন্দু পরিবার ভারতে তাদের মাসী বা পিসির বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
তেমনি ভাবে কোনো মুসলিম ছেলের মা, তার সন্তানের জন্য পাত্রী খুজতে গে
লে চিন্তা করবে ওই মেয়ের বাড়ি কই। দ্বিতীয় কথা ওই মেয়ের বাপ কি করে।
**** আগামী পর্বে সমাপ্ত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।