আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পায়ে পায়ে পথ...

রাত ও দিনের পার্থক্য সবাই বোঝে না

পৃথিবীতে মানুষের আবিভার্ঞ্চব বহুকাল আগে। আর আগমনের শুরু থেকেই জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ কাঁচা মাটির কণকাকীণর্ঞ্চ পথ ধরে ছুটে চলেছে অবিরাম। এই চলার পথে কোনো বাধাই চলার গতি মন্থর করতে পারেনি। কণকাকীর্ঞ্চণর্ঞ্চ পথ পাড়ি দিতে দিতে মানুষ একদিন ঠিকই মসৃণ পথের সন্ধান লাভ করেছে। সেই পথকে চলার জন্য আরও কতটুকু স¡াচ্ছন্দ্যময় করে তৈরি করা যায়, তাও আবিষার করেছে।

কাঁচা পথ হয়েছে পিচঢালা। সভ্যতার ক্রমবিকাশে চাকার আকৃতি পরিবতর্ঞ্চনের সঙ্গে সঙ্গে আবিষার হতে থাকে নানা ধরনের যানবাহন। পাশাপাশি এসব যানবাহনের চাকার উপযোগী করে নিমির্ঞ্চত হতে থাকে ছোট-বড় মসৃণ পথ। রাস্তা বা সড়ক কিংবা পথ সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমেই দুটি স্থানকে পরিচিত ও শনাক্ত করে। আর এ সংযোগের মাধ্যম বা ব্যবস্থা হতে পারে জনগণের চলাচলের জন্য সাধারণ পথ, প্রধান সড়ক বা মহাসড়ক।

আধুনিক রাস্তা হলো সাধারণভাবে সমতল, পাথর বা ইটের আস্তরণ দেওয়া অথবা সহজে চলাচল করার জন্য অন্য কোনো প্রকারে তৈরি চম[ৎ]কার ব্যবস্থা। বতর্ঞ্চমানে আধুনিক সড়কপথ যোগাযোগ, ভ্রমণ ও পণ্য পরিবহনকে আরও সহজতর করে মানুষের স¡াভাবিক জীবনযাত্রা ও বিশে¡র সাবির্ঞ্চক উন্নয়নকে ত্বরানি¡ত করেছে। উপযুক্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপরই নিভর্ঞ্চর করে মানুষের আথর্ঞ্চ-সামাজিক উন্নয়ন। শুধু ভারতীয় উপমহাদেশেই নয়, ইউরোপেও শতকরা ৪৪ ভাগ মালামাল ট্রাকের সাহায্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া হয়। শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ সড়কপথে নানা বাহনে চড়ে ভ্রমণ করে।

বিশে¡ ঠিক কবে আধুনিক রাস্তা নিমার্ঞ্চণ পদ্ধতি উদ্ভাবন হয়, তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও ঐতিহাসিকরা মনে করেন, যিশুখ্রিস্টের জন্মের ১০ হাজার বছর আগে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য নিধার্ঞ্চরিত পায়ে চলার পথ তৈরি হয়েছিল। খ্রিস্টপূবর্ঞ্চ ৪ হাজার অব্দে রাস্তা তৈরিতে প্রথম পাথরখণ্ড ব্যবহার শুরু হয়। ইতালিতে পাথরখণ্ড ব্যবহার করে সে সময় পরিকলিত রাস্তা তৈরি শুরু হয়েছিল। তবে ভারতে খ্রিস্টপূবর্ঞ্চ ৩ হাজার এবং পারস্যে খ্রিস্টপূবর্ঞ্চ ৫শ' অব্দে ইটের আস্তরণ বিছিয়ে রাস্তা নিমার্ঞ্চণ শুরু হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ইংল্যান্ডে কাঠ দিয়ে প্রথম পথ নিমার্ঞ্চণ করা হয় খ্রিস্টপূবর্ঞ্চ ৩৮০৭ কিংবা ৩৮০৬ অব্দে।

১৬০০ সালে ব্রিটেনে চাকাওয়ালা যান চলাচল শুরু হলে সে সময়ই প্রথম প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করা হয়। সেই শুরু। ১৭৫০ সালে ফ"ান, ইংল্যান্ড এবং মাকির্ঞ্চন যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করতে আধুনিক সমতল রাস্তা নিমার্ঞ্চণ করে। ১৭৯৬ সালে স্টিম ইঞ্জিন এবং ১৮৬৩ সালে পেট্র[ো]লচালিত ইঞ্জিন আবিষারের পর শুরু হয় নতুনভাবে যানবাহন ও পথ নিমার্ঞ্চণ কাজ। আর এসব কাজ আরও সুন্দর ও মসৃণ করতে আবিষৃত হয় নতুন যন্ত্রপাতি।

ফলে বন্ধুর পথেও চলা যায় স¡াচ্ছন্দ্যে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।