আমি তোমাকেই বলে দেব, কি যে একা দীর্ঘ রাত আমি হেটে গেছি বিরান পথে! আমি তোমাকেই বলে দেব, সেই ভুলে ভরা গল্প; কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়!
এই পোস্টটা আরো আগে দেয়া উচিত ছিল, ব্যাস্ততার কারনে দিতে দেরি হয়ে গেল, তবু গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি চাঁপাই-এর আম এখনো শেষ হয়নি। বর্ষ শেষ হয়ে গেলেও চাঁপাই-এ আম শেষ হয় না। এক ধরনের আম আছে বিশাল সাইজ নাম আশ্বিনা, এই আম পাকে আশ্বিন মাসে। সুতরাং বুঘতেই পারছেন খুব একটা দেরি হয় নি।
আম, কাঁসা, পিতল, চমচম, নকশী কাঁথা ও রেশম এবং আলকাপ ও গম্ভিরা গানের জন্য বিখ্যাত হচ্ছে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা।
এর নামকরন সমন্ধ্যে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে পূর্বে এই অঞ্চল মুর্শিদাবাদের নবাবদের বিহার ভূমি ছিল। যতদুর যানা যায় নবাব আলীবর্দী খাঁর আমলে (১৭৪০-১৭৫৬) এই এলাকার নাম হয় নবাবগঞ্জ। কিন্তু চাঁপাই নামকরনের জন্য বেশ কটি মতবাদ প্রচলিত আছে
. নবাবগঞ্জের প্রথম ডাকঘরটি ছিল চাঁপাই গ্রামে অবস্থিত ছিল বলে চাঁপাই নবাবগঞ্জ বলে এ জেলা পরিিচতি লাভ করে।
. নবাবদের আমলে চম্পাবতী নাবে এক বাঈজী ছিল, যে ছিল নবাবদের প্রিয় পাত্র। তাঁর নৃত্যের খ্যাতি আশেপাশের অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
জনস্রুতি আছে তাঁর নামানুশারে চম্পাবাই থেকে চাঁপাই হয়ে গেছে।
. রাজা লক্ষীন্দরের বাসভূমি ছিল নবাবগঞ্জ, এবং তাঁর রাজধানি ছিণ চম্পক, এখান থেকেও চাঁপাই আসতে পারে বলে ধারনা করা হয়। তবে এ সম্পর্কে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক প্রাচীন স্থাপত্য। এই পোস্ট শুধু আমের দেশ চাঁপাই ঘুরে দেখার আমন্ত্রনের জন্যই দিচ্ছি না।
ফটো ব্লগের সাথে জুড়ে দিচ্ছি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ও ইতিহাস।
ছোট সোনা মসজিদ
জেলার পশ্চিম সীমান্তে শিবগঞ্জ, কানসাট (বিদ্যৎ বিদ্রহের জন্য পরিচিতি লাভ করেছে) এলাকায় অবস্থিত চারকোনা গম্ভূজ বিশিষ্ট্য ছোট সোনা মসজিদ। এর মোট গম্বুজ স্যংখ্যা ১৪ টি তার মাঝে ১২ টি গোলাকৃতি। মসজিদের অভ্যান্তরিন আয়তন ৭১’৯” দৈর্ঘ্য এবং ৪০’৬” প্রস্থ; তিনটি সারিতে বিভক্ত। বেনারস থেকে আগত শিল্পীদের দ্বারা কারুকার্য সম্পাদিত হয়েছিল।
ছোট সোনা মসজিদ
মসজিদের মূল দরজা
মসজিদ প্রাঙ্গনে বীরশেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর ও মেজর নাজমুল হক এর কবর
মসজিদের সামনে প্রাচীন করবস্থান
মসজিদ নির্মানকারির মাজার
মসজিদের পাশে অবস্থিত ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর স্বরনে নির্মিত সৃতি স্তম্ভ
পরের পর্ব আগামি কাল > > >
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।