ফেসবুক আইডি:নাই
বিদেশী গোয়েন্দা সংস্খার কাছে বাংলাদেশ বিষয়ে স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের দায়ে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে করা হয়েছে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্খার প্রধান!
যুদ্ধাপরাধ তথা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্খার সদস্য মেজর (অবঃ) এ এস এম শামসুল আরেফিন ১৯৯১ সালে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্খা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং)-এর কাছে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী বিষয়ে গোপনীয় তথ্য পাচারের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। তখন তিনি সামরিক গোয়েন্দা সংস্খায় কর্মরত ছিলেন। বিদেশে তথ্য পাচারের দায়ে ১৯৯১ সালের জুন মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পর মেজর এ এস এম শামসুল আরেফিন ভারতের কাছে গোপন তথ্য পাচারের কথা স্বীকারও করেন। গত ২৫ মার্চ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এই মেজর (অবঃ) শামসুল আরেফিনকে।
তদন্ত সংস্খা থেকে আব্দুল মতিনের বিদায়ের পর তাকেই এখন তদন্ত সংস্খার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মেজর (অবঃ) শামসুল আরেফিনের গ্রেফতার এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বিষয়ে তৎকালীন ইংরেজি পত্রিকা দৈনিক টেলিগ্রাফে ১৯৯২ সালের ২৩ আগস্ট একটি খবর ছাপা হয়। খবরটির হেডলাইন ছিল ‘ভারতের কাছে গোপন তথ্য পাচারের দায়ে বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন এক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা’।
টেলিগ্রাফের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিদেশে বাংলাদেশ বিষয়ে গোপন তথ্য পাচারের জন্য মেজর (অবঃ) শামসুল আরেফিন বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। বাংলাদেশ বিষয়ে যেসব গোপন তথ্য তিনি বিদেশে পাচার করেছেন তার মধ্যে কিছু প্রতিরক্ষাবিষয়ক তথ্যও রয়েছে।
১৯৯১ সালের ৮ এপ্রিল ও ১৫ মে ভারতের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছে তিনি বাংলাদেশ বিষয়ে গোপন কাগজপত্র তুলে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ৭ জুন এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা হয়। ভারতীয় দূতাবাসের ভিসাবিষয়ক কর্মকর্তা ডি কে চক্রবর্তীর কাছে তথ্য তুলে দেন বলে মেজর (অবঃ) শামসুল আরেফিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে স্বীকার করেছেন। ১৯৯১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে যে ঘূর্ণিঝড় হয় তাতে ১০৭টি যুদ্ধবিমান, ১৬টি হেলিকপ্টার ও ২৬টি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস হয় বলে ভারতীয় কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন বলে স্বীকার করেন তিনি। ’
রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্খার দায়িত্ব পালনকালে দেশের বিরুদ্ধে স্পর্শকাতর তথ্য বিদেশী আরেকটি গোয়েন্দা সংস্খার হাতে তুলে দেয়ার দায়ে গ্রেফতার এবং অভিযোগ স্বীকার করার পরও রহস্যজনক কারণে পরে মুক্তি পান মেজর (অবঃ) শামুসল আরেফিন।
সম্প্রতি সরকার যুদ্ধাপরাধ তথা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্খার সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। গতকাল তাকে এ তদন্ত সংস্খার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।