(মায়ের মার নিষ্ঠুর হলেও নিন্দার কারণ মেলে না,সৎমায়ের আদরেও জাগে কৃএিমতার সন্দেহ)
যে-কোনো যৌথকর্মে সিদ্ধির ও সাফল্যের জন্য নেতা চাই। যে নেতার থাকবে রুচি-বুদ্ধি-জ্ঞান-সাহস-আত্নপ্রত্যয়,সুস্পষ্ট ও সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য,লক্ষ্য ও কর্মসূচী- এক কথায় নেতার থাকবে দৃঢ় চরিএ ও মনীষা -Intellect O Integrity.
১৯৮৪ সালে ঈদ সংখ্যা ইওেফাকে (১৫ই আষাঢ়)তরুন কবি মোফাজ্জল করিমের 'ইতিবাচক সালতামামি' নামের একটা কবিতায় ইদানিংকার বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতির ও সরকারী কৃ্তির ব্যঙ্গাত্নক ফিরিস্তি রয়েছে। কবিতাটির কয়েকটি চরণ এরুপঃ আমরা কাজকে তরল কথার সিলিন্ডারে পুরে ফেলেছি/এবং অসংখ্য আশ্বাসের কারখানা স্থাপন করেছি। /ভার্সিটি কোণ ছেড়ে গা ঝেড়ে ভীরু প্রেম সড়কে বসেছে। /আমরা প্রতিনিয়ত নিজেকে হত্যা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
'
পৃ্থিবীতে এমনও ধর্ম আছে কয়েকটি মশা-মাছি পিঁপড়ে হত্যা করা পাপ। ইসলাম বরন করেছে নিম্নবর্নের,নিম্নবর্গের ও নিম্নবৃওির লোকেরাই পূর্ব পঞ্জাব থেকে উওর-দক্ষিন ও পূর্ব ভারত অবধি। ১৮৭০ সনের পর থেকে ওয়াহাবী-সিপাহী পরাজয়ের পরে সিভিলিয়ান W.W. Hunter এর মুখে উচ্চারিত হয়-'One Hundread and fifty years ago it was impossible for a Muslim to be poor.' ইট-পাথরের মন্দির-মসজিদ-গির্জা করে ধনী লোকেরা। জীর্ন হলে মেরামত করার মতো ধনী লোক মেলে না। ফল জীর্ন মন্দির-মসজিদ পরিত্যক্ত হয়।
সেই পরিত্যক্ত মন্দিরের পাথর মুসলিমেরা মসজিদে লাগিয়েছে।
ধর্মের উদ্ভব হয়েছে প্রয়োজনে। নকশালপন্থী আজিজুল হক বলেন-"ইতিহাসে এক সময় ধর্মের অস্তিত্ব ছিলো না। অথচ মানুষ ছিলো,ভবিষ্যতেও ধর্ম থাকবে না,মানুষ থাকবে। মানুষ আরো বহুকাল ইশ্বর মানবে,বিজ্ঞানে তত্বে,তথ্যে ও সত্যে সহজে আথা স্থাপন করবে না,যদিও বা বিজ্ঞানীর আবিস্কার-উদ্ভাবন-সৃষ্টির আদর কদর তাদের কাছে বেশি।
মানুষ নিজে স্বাধীন হতে চায়,বড় হতে চায়,মান যশ খ্যাতি ক্ষমতা পেতে চায়,কিন্তু অন্যকে রাখতে চায় অধীনে,আয়ত্বে,দাবিয়ে।
এদিকে,শিবনারায়ন রায় বলেছেনঃ তিনি(রবীন্দ্রনাথ) কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে কিছুই চর্চা করেননি। সম্পূর্ন অবহেলা করেছেন--রবীন্দ্রনাথের সমস্ত লেখা পড়লে কোথাও দেখা যাবে না তিনি কোরান দেখেছেনে। এতবড় সংখ্যাক একটা প্রতিবেশী,তাদের যে কি বিশ্বাস সেটা জানার কোন আগ্রহ ছিল না।
'ফান্ডামেন্টালিজম' কথাটির উদ্ভব ফ্রান্সে।
ফায়দা লুটেছে সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন সকার,আর বিপর্যস্ত হয়েছে তৃ্তীয় বিশ্বের সমাজ-সংকৃতি-প্রগতি ও প্রাগ্রসর চিন্তক-ভাবক-শিল্পী-সাহত্যিক। ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন কলার ও কলাকারের।
বিয়ে প্রথা চালু করতে হয়েছে কাড়াকাড়ি,মারামারি,হানাহানি নিবারনের জন্য। আজকাল শহুরে শিক্ষিত লোকেরা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ও প্রচারনায় উচ্চকন্ঠ। নারীকে যখন মূল্যবান ভোগ্যবস্তুর মতো করে ভাবল মানুষ,তখন থেকেই তার মনে রিরংসাপ্রসূত ইর্ষা অসূয়া অসহিষ্ণুতা জন্ম নিল।
দেহ মন চেতনা স্বামীর অনুগত করেই নারীজীবন সার্থক করতে হয়। (?)দুনিয়ার সমস্ত ধর্ম গন্থে নারীর স্থান পুরুষের নীচে। আগে হাটে বাজারে বেশ্যালয় ছিল,তখন পাড়ায় গৃহস্থের মেয়েরা থাকত হামলামুক্ত। ধর্ষন ছিল না বললেই চলে।
আর্থিক স্বনির্ভরতাই নারীকে নিপীড়ন্মুক্ত করবে।
নারীমুক্তি লক্ষ্যে নারীর শিক্ষার ও অর্থকর পেশার ব্যবস্থা করা জরুরী। যদি দেশ-জাত-বর্ন-ধর্ম-বংশ-ভাষা-সংস্কৃতি-যোগ্যতা, আর্থিক-শৈক্ষিক-সামাজিক অবস্থা ও অবস্থান নির্বিশেষে কেবল ছেলেমেয়েদের প্রেম-পছন্দের মিলন বা পরিনয় প্রথা এ দেশেও চালু হয়,তাহলেও নারীর অনেক সমস্যার সমাধান মিলবে।
কম্যুনিষ্টজগতের ব্যক্তির সমাজের প্রকৃ্ত মন-মনন এবং জীবনযাএার গতি-প্রকৃ্তি সম্বন্ধে জানা দুঃসাধ্য ছিল বাইরের লোকের পক্ষে। মার্কসবাদই দুনিয়েতে প্রথম মানব-মহিমা বুঝে মানবমুক্তির পথ জানিয়েছে। মার্কসীয় পদ্ধতি এখনো উৎকর্ষে অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
মার্কসবাদে প্রত্যয়ী কেউ কেউ উচ্চকন্ঠে উচ্চারন করে বলেছেন, 'মার্কসবাদে ভুল নেই। '
নিঃসঙ্গ,নিঃসহায় নির্বান্ধব রাশিয়া টিকে থাকার দায়েই মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিযোগী হয়েছিল। ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জীবনে যেমন আমরা ঘরের কথা বাইরে বলি না,বাইরের লোকের কাছে গোপন রাখার চেষ্টা করি পরিবারের সম্মান রাখার ও নিন্দা এড়ানোর জন্য তেমনি রাশিয়াও তার ঘরের কথা কাউকে জানতে দেয়নি। আমাদের উপমহাদেশের অধিকাংশ কম্যুনিষ্ট-মার্কসবাদ কিংবা লেনিনবাদ কিংবা মাও-সে-তুঙ পরিব্যক্ত তত্ব উপলব্দির চেষ্টা করেননি।
সহায়ক গন্থঃ
বার্ট্রান্ড রাসেল যখন অকপটঃ মোঃ আব্দুল আজিজ
মেয়েদের ব্রতকথাঃ শ্রী কালী কিশোর বিধ্যাবিনোদ
ম্যানহাটনঃ আবদুল্লাহ আল-মামুন
নাৎসী নেতা হিটলারঃ আবু আদনান
নির্বাচিত প্রবন্ধঃ আহমদ শরীফ
কুমারী মাটির দেশঃ রাবেয়া খাতুন
আরগ আলী মাতুব্বর রচনা সমগ্রঃ (১,২,৩)পাঠক সমাবেশ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।