আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

(??)কাকতালীয় বর্তমান.!!!!!!!!!!!!!!!



ভাবছিলাম এবার কি হবে???? একটি কাকতালীয় ঘটনা বা কোইন্সিডেন্সের জন্য মনে মনে প্রস্তুত ছিলাম!! কো-ইন্সিডেন্স প্রাত্যহিক ব্যাপার নয়. কদাচিৎ এমন ঘটে। ব্যক্তিগত জীবনে দু একবার পর পর এমনটা ঘটলে চমকে উঠ ভাবতে হয়, “কোথাও কোন সমস্যা হলো কিনা!” সাম্প্রতিক সময়ের কিছু কো-ইন্সিডন্সে বা কাকতালীয় ঘটনা কৌতুহলের জন্ম দিচ্ছেনা মোটেও, ঘৃণা ও আশংকায় শিউরে উঠতে হয়। ঘটনা ১: ২৫শে ফেব্রুয়ারী ২০০৯, বাংলাদেশের স্মরণকালের ইতিহাসের সবচেয়ে রোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞ ঘটে ঢাকার পিলখানায়। ঘটনার শুরুতে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি সাহায চাওয়া ও জবাবে তার দেয়া আশ্বাস সত্ত্বেও এই দুহাত দূরের পিলখানার হত্যাকান্ডরোধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলস্বরূপ এই দেশ হারিয়েছে ৫৬জন বীর সেনানী সহ আরো অনেক বীর সীমান্তরক্ষী।

১৯৭১ মুক্তযিুদ্ধে হানাদার বাহিনীও পারেনি একসাথে এতো জন বীর বাঙ্গালি সোননীকে হত্যা করতে! রাজধানীর সুরক্ষিত এলাকায় এই হত্যাযজ্ঞ রোধের ব্যর্থতা, বিডিআর ম্যাসাকারের এই দায়ভার কার তা আর বলার অপক্ষো রাখেনা। মানুষের মনে ক্ষোভ আর ঘৃনা স্পষ্ট হয়ে উঠে। ২০১০ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি, দেশের ইতিহাসের কলংকময় অধ্যায়ের প্রথম বার্ষীকিত খুব হঠাৎ করে আগুন জ্বলে উঠে পার্বত্য এলাকায়!!!! ফলাফল- নীরিহ নিরাপরাধ বাঙালী ও পাহাড়িদের অসহায় মৃত্যু!! আরো বড় ফলাফল- পিলখানা ম্যাসাকারের সেই কৃষ্ণ অধ্যায় থেকে দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘুরে যায় পার্বত্য অন্চলে। ঘটনা-২ ৩০শে মে- জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু দিবস। নাহ্, এটাই তাঁর মৃত্যুর পর প্রথম বছর নয়--বরং বলা যায় ভীষণ রকম সস্তা খেলা ও নোংরামী ও বিকৃত উৎসবের মাধ্যমে আরেকজন জনপ্রিয় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষীকি পালনের নামে যে দলীয় তান্ডব চলে তারপর এটা ছিলো জিয়াউর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।

৩০শে মে কখনও কোন বাড়াবাড়ি করা হয়না বিধায় দুদলের কর্ম ও মানসিকতার পার্থক্যটি এবার বড় প্রকট হয়ে উঠতো... হঠাৎ নিষদ্ধি হয়ে যায় “ফেস বুক” নামের জনপ্রিয় সাইটটি। সেই সাথে ঘোষণাও আসে, “সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধের”। অর্থাৎ- উদ্দেশ্য হাসিল হলেও আবার উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। ফলাফল: শুরু হলো তোলপাড়, সমালোচনা ও গণ প্রতিবাদ। আরো বড় ফলাফল- জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী থেকে জনমানুষের দৃষ্টি ফিরে গেলো বাকস্বাধীনতার অধিকারের লড়াইয়ে।

ঘটনা -৩ শত নিপীড়ন ও হুমকীর মুখেও সরকার ও শেখ হাসিনা পরিবারের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার পত্রিকাটি বন্ধ করে ভীষণ রকম জনরোষের স্বীকার হয় সরকার!! গুটি কয়েক মগজধোলাইকৃত দলীয় ক্রীতদাস ব্যতীত দলমত নির্বিশেষে প্রতবিাদী হয়ে উঠে বিশ্বের বিভিন্ন কোন থেকে সকল বাংলাদেশী। মানুষের বাকস্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতার প্রতি এমন সরাসরি আঘাতে তীব্র ঘৃণার সন্চার হয় জনগনের মনে। একটি ভীষণ অনিশ্চিত পরিনতির আশংকা হয় অনেকের মনে। “আমার দেশ” পত্রিকাটি যাঁরা কখনও পড়েননি তাঁরাও প্রতিবাদী হয়ে উঠেন এই ফ্যাসীবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের গুটিকয়েক নির্লজ্জ পদলেহী ছাড়া আর সকলে সংবাদ পত্র, ইন্টারনেট সর্বত্র শুধু এই ঘৃনার প্রকাশ জানান। বিরুদ্ধ মত প্রকাশের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়ায় ফুঁসে উঠেছে সারা দেশ!! তাই মনে মনে প্রস্তুতি ও কৌতুহল-আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ায় দলমত নির্বিশেষ সারা দেশে মানুষের মনে যে ঘৃনা ও ক্ষোভের সণ্চার হয়েছে, এই ক্ষোভ ও ঘৃনা থেকে বাঁচতে সাধারন মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরাতে (!)কাকতালীয় ভাবে কি ঘটবে এবার??।

এমন সময় আবারও (??)হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠে... নাহ! এবার পার্বত্য চট্রগ্রামে নয়। খোড ঢাকার নিমতলী এলাকায় ভয়াবহ অগ্নকিান্ড!! অসহায় মানুষের আর্তনাদ আর পোড়া শরীরের গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। এসব ভয়ংকর দৃশ্যের অসুস্থ প্রচারে মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে দেশবাসী। অগ্নিকান্ডের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে (?)শর্টসার্কিট। পর পর কিছু কাকতালীয় ঘটনার পর মন সন্দেহপরায়ণ হয়ে উঠে, কতোখানি শর্টসার্কিট অথবা প্ল্যান্ড সার্কিট বুঝতে পারছিনা।

এই অগ্নিকান্ডের ফলাফল, ঝলসে যাওয়া রক্ত, মাংশ হাড় আর চামড়ার ঝাঁঝালো গন্ধের সাথে সজন হারাদের গগনবিদারী আহাজারী...এই নির্মমতায় শিউরে উঠেছে পুরো জাতি। নিমতলীর হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে পুরনো ঢাকার সীমানা পেরিয়ে সমগ্র দেশে। আরো বড় ফলাফল: সংবাদ পত্র ইন্টার নেটের মতো মাধ্যম সহ জনমনে এখন “আমার দেশ” বন্ধের প্রতিবাদ বা ঘৃনা প্রধান আলোচ্য বিষয় নয় বরং খুব হঠাৎ করে ঝলসে যাওয়া এক ঝাঁক নীরিহ প্রাণের জন্য বেদনার অশ্রু আজ আলোচিত বিষয়!! নিমতলীর এই মর্মান্তিক অগ্নকিান্ড হয়তো নিতান্ত একটি দুর্ঘটনা; তবে সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন আলোচিত ও সমালোচিত ঘটনা যখনই সরকারের ভাবমূর্তি ও অবস্থান দুর্বল করে তুলে সাথে সাথে কাকতালীয়ভাবে ভিন্ন একটি জাতীয় সংকটের সৃষ্টির একাধিক উদাহরনের পর এখন আপাতঃ দৃষ্টিতে দুর্ঘটনা মনে হওয়া এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পছিনে কোন দূরভিসন্ধির উপস্থিতি অসম্ভব মনে হচ্ছেনা!! এমন ভয়াবহ নির্মমতা একের পর ঘটেই যাচ্ছে, হোমরা চোমরা ব্যক্তবির্গ সাময়িক শোক প্রকাশ, স্বান্তনা বাক্য, আশ্বাস ও দুফোটা চোখের জল ফেলে দায়িত্ব পালন করছেন। আর আমরা বোকা জনতা অস্থিরতার মাঝে কাকতালীয়ভাবে ঘটে যাওয়া সংকট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি.. নিজের অবচেতনে আবারও অপক্ষো করি আরেকটি কাকতালীয় বর্তমানের!! এ এক কেমন কাকতালে বসবাস আমাদের!!!! এ কেমন কাকতালীয় বর্তমান!!!!! * আমাদের দেশের রাজনৈতিক কূটচালের নোংরামী ও নৃশংসতায় অতীষ্ট মন এখন এদের ঘৃনারও যোগ্য মনে করেনা। ভীষণ রকম হতাশা ও ক্ষোভ থেকেই হয়তো এমন লেখা এমন ভাবনার জন্ম”


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।