আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাকতালীয় সারপ্রাইজ

আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। স্বপ্ন দেখি,স্বপ্ন বানাই,স্বপ্নেই করি বসত।

বড় ভাইয়ার (কাজিন) সাথে দেখা অনেক দিন পর। কত দিন পর দেখা হল ওনার সাথে,এখন দুজনেই অনেক ব্যস্ত যে যার মত তাই খুব একটা দেখা হয় না। দুজন অনেক দিন পর এক সাথে হয়েছি আর তাই চুটিয়ে গল্প করছি,পুরাণ দিনের গল্প।

মুঠোফোনের তীব্র একটা শব্দ সব কিছু ঝাপসা করে দিল নিমেষেই। চোখ বন্ধ রেখেই হাতড়াতে লাগলাম কিন্তু মুঠোফোনটা মুঠোয় পেতে অনেকটা বেগ পেতে হল। আর ততক্ষনে লাইনটা কেটে গেছে আর তার সাথে আমার ঘুমও চলে গেছে। মাথাটা ঝিমঝিম করছে খুব,ইদানিং এই সমস্যা টা খুবই হচ্ছে। না,এখন আর এভাবে শুয়ে থাকা সম্ভব না।

উঠে ফ্রেস না হলে মাথা ঝিমঝিম করাটা কমবে না। উঠে পড়লাম কিন্তু মনে হচ্ছে নিজের ব্যালেন্স টা ঠিক রাখতে পারছি না আর চারদিকটা ঝপসা হয়ে আছে। আধো অন্ধকারে ঠিক মত কিছু দেখতেও পারছি না। কে যেন ডিম লাইনটা বন্ধ করে দিয়েছে। অন্ধকারে হাতড়াতে হাতড়াতে দরজার কাছে গেলাম,দরজা খুললাম,সকালের মিষ্টি রোদে চোখে এক প্রকার প্রশান্তির স্রোত বয়ে গেল।

এখন ফ্রেস হতে হবে,আধো আধো খোলা চোখে ব্রাশটা খুঁজে তাতে পেষ্ট লাগালাম। বসার ঘরে আম্মু কার সাথে যেন কথা বলছেন,এতক্ষন খেয়াল করি নাই। -মা কার সাথে কথা বল? -আয় দেখে যা কে আসছে। -দাড়াও ফ্রেস হয়ে যাচ্ছি। -আচ্ছা,জলদি আয়।

-আচ্ছা মা। এই বলে ফ্রেস হতে ঢুকলাম। ফ্রেস হয়ে এখন অনেকটাই ভাল লাগছে। আর দেরি না করে বসার রুমের দিকে পা বাড়ালাম। গিয়েই দেখি বড় ভাইয়া(কাজিন) বসে আম্মুর সাথে কথা বলছে।

আমায় দেখে হেসে উঠে বলল, -কি রে এত দেরি করে কেউ উঠে নাকি? ঘটনাটা একটু কাকতালীয় ছিল কিন্তু কম অবাক করারও ছিল না। যাকে স্বপ্নে দেখলাম,ঘুম থেকে উঠে দেখি সে আমাদের বাসায়। যাই হোক সারপ্রাইজ টা ভালই ছিল আমার জন্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।