যে জানেনা এবং জানে যে সে জানেনা সে সরল, তাকে শেখাও। যে জানেনা এবং জানেনা যে সে জানে না, সে বোকা-তাকে পরিত্যাগ কর।
মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতন নিয়ে দিগন্ত টেলিভিশনের প্রতিবেদন।
-------------------------------------------------------------------------------
মানুষ আশায় আশায় থাকে- একদিন সুদিন আসবে। সেই দিন অতীতের সব গ্লানি মুছে যাবে।
নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখবে মানুষ।
লক্ষ্মীপুর জেলার মজু চৌধুরী হাটের মেঘনাপাড়ের শিশুরাও এই স্বপ্ন দেখছে। ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই তারিখে এই স্বপ্নের বীজ রোপিত হয়েছিল তাদের প্রাণে। সেই বীজ এখন অঙ্কুরোদগম হয়ে চারাগাছে পরিণত হয়েছে। এখন প্রয়োজন পরিচর্যা।
প্রিয় বন্ধুরা, স্কুলটি শুরুর প্রথম থেকেই আপনাদের সবার আন্তরিক সহায়তা এবং সমর্থন পেয়েছি। দেশে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবী ব্লগার বন্ধুরা নানানভাবে আমাকে সহায়তা করেছেন স্কুলটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। কোন রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা দান-অনুদান ছাড়া কেবল সবার ভালবাসার মাধ্যমেই আমরা দুই বৎসর ধরে এগিয়ে গিয়েছি। মেঘনাপাড়ের এই শিশুদের প্রাণে শিক্ষার ছোঁয়া লেগেছে। এখন প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে নেওয়া।
স্কুলে শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে মাশরুম প্রকল্প স্থাপন আমাদের কর্মোদ্দীপনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সারা বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষা বাস্তবায়ন খুবই সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা সম্মিলিত প্রয়াসে আরও এগিয়ে যেতে পারি। আমরা প্রমাণ করে দিতে পারি কোন দান-অনুদান কিংবা শর্তের বেড়াজালে বন্দী না হয়েও আমরা এগিয়ে যেতে পারি আমাদের লক্ষ্যকে অর্জন করতে।
আগামী ১৪ জুলাই মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি। দুই বৎসরের এই র্কাক্রমকে সামনে রেখে খুব শীঘ্রই আমাদের সুনির্দিষ্ট কিছু কর্মপরিকল্পনা নিয়ে হাজির হবো। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।