প্রায় ১১ বছর পর একটি নিরাময় কমিটি গঠন করে , চাদাঁ তুলে কবিকে লন্ডন এবং ভিয়েনায় নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে চিকিৎসা ব্যর্থ হলে কবি পত্নী তাকে নিয়ে কলকাতা ফিরে আসেন।
খিলখিল কাজী বলছিলেন, এই সময়ে তার বাবা কাজী সব্যসাচীর লেখা চিঠি থেকে দেখা যায় কবিকে বার বার বািড় পালাটতে হয়েছে , চিকিৎসা এবং অর্থের অভাবে কষ্ট পেতে হয়েছে । তিনি বলেন , সেসময় কাজী সব্যসাচী পাকিস্তানে পালিয়ে এসে বার বার পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে চিঠি লিখে জানান তার বাবাকে পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র মুসলমান হিসাবে দেখা হচ্ছে , তারা পাকিস্তানে আসতে চান। কিন্তু এর কোন সাড়া সেসময় কবি পাননি।
কবির চিঠিতেও দেখা যায়, কবি এ কে ফজলুল হকের কাছে টাকা চেয়ে পাঠিয়েছেন , না পেয়ে লিখেছেন যে শুধু হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়ে তার ঐক্যের কথা নিয়ে তাকে শুধু ব্যবহারই করা হল উনি কিছুই পেলেন না।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কবিকে পরিবারসহ ৭২’ এ ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানান শেখ মুজিবর রহমান। ঢাকায় এসে কবি বেশ ভালো সময় কাটান। নির্বাক হয়ে গেলেও এসময় তিনি কাছের লোকদের চিনতে পারতেন । ইশারায় ভাব প্রকাশ করতে পারতেন ।
বতর্মানে কবির ছেলে কাজী সব্যসাচীর পরিবার ঢাকায় এবং কাজী আনিরুদ্ধের পরিবার কলকাতায় বসবাস করছেন ।
তবে নজরুলের গান নিয়ে খিলখিল কাজী বলেন , নজরুল তার কাছের মানুষ দেরকে বিভিন্ন সময়ে বলে গেছেন তার গানে কোন কেরামতি তিনি পছন্দ করেন না। মূল গানের স্বরলিপি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও তিনি চেষ্টা করেছেন ।
বিবিসি বাংলা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।