বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility
মিশন গাঙচিল-১
মিশন গাঙচিল-২
৩য় অংক-
ইতিমধ্যে পৌছে গিয়েছে ওরা ১১ জন বেইসওয়ান এ ।
AH64-apache হেলিকপ্টার থেকে বলছে বাংলার ৫(বৈমানিক), আমি বাংলার ৫ বলছি, প্রবেশ কোড নাম আলফা২, আমি আবার বলছি আলফা২,ওভার । বেইসওয়ান কন্ট্রোলরুম থেকে উত্তর আসছে, কোড গ্রহন করা হয়েছে, আই রিপিট কোড গ্রান্টেড, রজার এন্ড এফারমেটিভ । তোমরা চেক স্পটে নামতে পার ।
তারপর AH64-apache হেলিকপ্টার চেক স্পট এ ল্যান্ড করে তারপর সবার আঙ্গুলের ছাপ, চোখের মণির রং, কথার উচ্চারণ পরীক্ষা করা হয় কয়েক মিনিটের মধ্যে ।
এরপর মিস. শাহানা অনুমতি দেন মূল বেইসওয়ান এ প্রবেশ এর জন্য । সবাই একে একে পরিচিত হয় । এক পর্যায়ে রিপিটার এর সাথে হাত মিলাচ্ছে । তখন রিপিটার তার রূপের প্রশংসা করে । জবাবে মিস.শাহানা আফরিন বলেন, ধন্যবাদ ।
আর বাকিরা মুচকিঁ মুচকিঁ হাসতে থাকে । মিস.শাহানা বলেন আজ আপনারা আরাম করুন । কাল মিশন শুরু হবে ।
কাল বাদুড়েঁ...
মাদার নৌ জাহাজ Littoral Combat Ship (LCS) High-Speed Surface Ship নিয়ে পৌছিয়েছে আনুমানিক টার্গেট উড়িষার ৫০০ গজের মধ্যে । সেখান থেকে নৌ স্পিড বোট-Combat Boat 90H করে বরকতের নেতৃত্বে হিরো এনওয়ান ও বদি রওনা দিয়েছে ।
আকাশে রাতের তারা ঝিকিমিকি করছে । মাদার শিপে আছে রুস্তম টু, চার্লি ডি, রিপিটার,কেএফজি । রুস্তম টু ধীরে ধীরে ৫০০ গজের ভিতরে প্রবেশ করছে । আর এদিকে বরকত মাঝ নদীতে স্পিড বোট নামিয়ে তার দল সহ টার্গেট উড়িষার দিকে সাতরাতে থাকে । পানি প্রচন্ড ঠান্ডা এই জন্য বিশেষ সুইমিং স্যুট পরতে হয়েছে ।
এই দিকে টহলরত কোন নৌকা না দেখে খুবই অবাক হল বরকত । আর মিশন ডিটেইলস এ সালাম কোন শত্রু নৌবহর এর কথা বলে নি । মনে মনে বরকত চিন্তা করছে, কি আজব শত্রু যে, তাদের কোন প্রতিরক্ষাই নেই ! যাহোক সাতঁরিয়ে পাড়ে পৌছাল । বরকত দ্বীপে পা রাখতেই বুঝল যে কিছু একটা ভুল আছে, এই দ্বীপের মাটি খুবই নরমও বালুময়, মনে হচ্ছে গতকালই তা গজিয়ে এই বিশাল নদীর মাঝখানে । তারপর ছোট্ট ডিভাইস থেকে ডিজি ম্যাপ ইন্ডিকেটর এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থান শনাক্ত করল ।
তারপর সেখানে রিমোট বোমা স্থাপন করে । কিন্তু পরক্ষনেই দ্বীপের ছোট্ট বাড়িটার অবয়ব পরিবর্তন হয়ে যায় । অথার্ত যান্ত্রিকভাবে দ্বীপের ছোট্ট কুটির খুলে যায় । আর আশ পাশের মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি করে । বরকত বিপদের গন্ধ পেয়েই বলে হিরো এনওয়ানকে যে দ্রুত স্পিড বোট নিয়ে বদি যেন পাড়ে আসে কারণ এখন সাতঁরানোর কোন সময় নাই ।
হিরো এন ওয়ান সংকেত পাঠায় আর বদি তখনই পাড়ের দিকে আসতে থাকে বোট নিয়ে । কিন্তু হাতে কারও সময় নাই । কিছুক্ষণেই সম্পূর্ণ দ্বীপটির ভোলই পাল্টে যায় । মনে হয় একটা জ্বল জ্যান্ত দ্বীপ দূর্গ ! যার বিরুদ্ধে আসলেই যোদ্ধ করা কঠিন । কিন্তু তাদের এমনই চেহারা ছিল যে দূর থেকে কি কাছে থেকেও আসল রূপ কল্পনা করা যেত না ।
এজন্যই হয়ত কোন টহল ব্যবস্থা রাখে নাই । তাদের দূর্গই যথেষ্ট প্রতিহত করার জন্য । স্পিড বোট এসে গেছে হিরো এনওয়ান ও বরকত উঠে গেল । সংকেত পাঠিয়ে দিয়েছে মাদার শিপে ।
মাদার শিপে বসা চার্লি ডি বলছে, বেইসওয়ান বেইসওয়ান কোড নাম আলফা ২ ইটস চার্লি ডি আই রিপিট ইটস চার্লি ডি, ওভার ।
বেইসওয়ান থেকে উত্তর আসছে, আমি শুনতে পাচ্ছি,রজার,তাতক্ষনিক খবর দাও,ওভার ।
চার্লি ডি বলছে, উড়িশা ভোল পাল্টেছে, এটা জল জ্যান্ত দূর্গ, আই রিপিট, আমাদের সহায়তা প্রয়োজন, ওভার ।
বেইসওয়ান থেকে বলছে,এফারমেটিভ, বদি কোথায়? ওভার ।
চার্লি ডি বলছে, নেগেটিভ, আউট ।
৪র্থ অংক-
সালাম মনে মনে বলছে, air strike করার সময় এসে গেছে ।
সালাম: বাংলার ৫ বাংলার ৫ ইটস সালাম, বেইসওয়ান আলফা ২। পজিশনে তৈরী হও , ওভার ।
বাংলার ৫: Roger এন্ড Out ।
সালাম: চার্লি ডি, ইটস সালাম বেইসওয়ান আলফা ২ বরকতকে পারমিশন দাও বোম বিস্ফোরিত করার জন্য, আই রিপিট ইটস সালাম বেইসওয়ান আলফা ২ বরকতকে পারমিশন দাও বোম বিস্ফোরিত করার জন্য, ওভার ।
চার্লি ডি: রজার এন্ড আউট ।
চার্লি ডি: বরকত বোমা বিস্ফোরিত কর, ইটস চার্লি ডি ফ্রম মাদার শিপ, ওভার ।
বরকত: রিমোট কাজ করছে না । এনি হাউ তা অকেজো হয়ে গিয়েছে । তা জ্যন্ত দূর্গের খুব ভিতরে আছে । বুঝতে পারছিনা, ওভার ।
চার্লি ডি: ঠিকাছে, নির্দিষ্ট দূরত্বয়ে গিয়ে পরবর্তী নির্দেশ পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর, আউট ।
বরকত: উইলকো, আউট ।
চার্লি ডি: ইটস চার্লি ডি মাদার শিপ টু বেইসওয়ান আলফা ২, ওভার ।
সালাম: শুনছি, ওভার ।
চার্লি ডি: রিমোট কাজ করছে না অজানা কারনে আর জ্যান্ত দূর্গের স্তর অনেক পুরো, ওভার ।
সালাম: ওকে, স্ট্রাইক এ যাও, বরকতকে বল স্ট্রাইক এ যেতে, তোমাদের সাপোর্ট এ বাংলার ৫ আসছে । আশা করি জটিল আক্রমণ পরিচালিত হবে, ওভার ।
চার্লি ডি: রজার এন্ড আউট ।
সালাম: বাংলার ৫ ইটস বেইসওয়ান জঙ্গী বিমান- F-16 নিয়ে আকাশ থেকে ভূমিতে স্ট্রাইক এ যাও, আই রিপিট বাংলার ৫ ইটস বেইসওয়ান জঙ্গী বিমান- F-16 নিয়ে আকাশ থেকে ভূমিতে স্ট্রাইক এ যাও, ওভার ।
বাংলার ৫: Roger এন্ড Out ।
চার্লি ডি: বরকত ইটস মাদার শিপ চার্লি ডি আক্রমন কর কালাশ্নিকো হ্যান্ডমিসাইল এর মাধ্যমে, আই রিপিট, ডিস্ট্রোয় উড়িশা,ওভার ।
বরকত: রজার এন্ড আউট ।
৫ম অংক-
একের পর এক আকাশ থেকে উড়িশার দিকে মিসাইল পড়ছে । বাংলার ৫ খুব কৌশলের সাথে জ্যন্ত দূর্গের উপর খুব কাছ দিয়ে উড়ে দিয়ে পেট থেকে বোমা ছাড়ছে । তাছাড়া মিসাইল দিয়ে ঝাঝড়া করে দিচ্ছে উড়িশাকে ।
এদিকে বোট থেকে সাপোর্ট দিচ্ছে বরকত তাদের বিরুদ্ধ অনেক পাহাড়ী যোদ্ধাদের দূর্গ থেকে মেশিন গান দিয়ে আক্রমন পরিচালনা করছে । ব্যাপারটা খুবই ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যাচ্ছে । কারন হয়ত বরকতের স্পিড বোট যে কোন সময় বিস্ফোরিত হয়ে যেতে পারে । এদিকে নৌ জাহাজ-Littoral Combat Ship (LCS) High-Speed Surface Ship নিয়ে রুস্তম টু বরকতকে ব্যাকআপ দেবার চেষ্টা করছে । আকাশে বাংলার ৫ ত্রাস সৃষ্টি করে রাখছে সন্ত্রাসী দূর্গকে ।
একারণেই হয়ত বরকতের স্পিড বোট এখনও টিকে আছে বা মাদার শিপ এখন লড়তে পারছে । এদিকে বেইসওয়ান এ মেজর এক্স অনুমতি চাচ্ছে মূল আক্রমণ পরিচালনা করার জন্য । সালাম চাচ্ছিল মিশন গাঙচিল নি:শব্দে করার জন্য । কিন্তু হল না কিন্তু ব্যাপারটা বাদুড়েঁই নিপ্টাতে হবে না হলে সকাল হলে সমস্যা হতে পারে কিন্তু ওরা ১১ জন যদি মেজর এক্স এর কাছে দায়িত্ত্ব দিয়ে দেয় তাহলে ওরা ১১ জন এর কতর্ব্য নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে । মেজর এক্স ১ ঘন্টা সময় দেয়, না হলে তারা আক্রমনে যাবে ।
সালাম এর হাতে সময় নাই । এদিকে হঠাৎ জঙ্গী বিমান- F-16 এ শত্রুদের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপকারী এন্টি এয়ার ক্রাফট এর শেল এ আক্রান্ত হয়েছে ।
বাংলার ৫: সালাম ইটস বাংলার ৫ বেইসওয়ান আলফা ২, ফাইনাল এ্যাটাক এর অনুমতি চাচ্ছি, ওভার ।
সালাম: তুমি কি করতে চাচ্ছ বাংলার ৫, ওভার ।
বাংলার ৫: তাদের মূল কন্ট্রোল রুম নির্দিষ্ট করতে পেরেছি ।
আমার হাতে সময় নাই, ইঞ্জিনে আগুন লেগেছে আমি মিসাইল ছুড়তে ছুড়তে, মূল নিয়ন্ত্রন কক্ষের দিকে এগিয়ে যাব, ওভার ।
সালাম: নেগেটিভ, বেইসওয়ান এ ফিরে আস, তোমার জীবনের মূল্য অনেক, ইটস মাই কমান্ড, ওভার ।
বাংলার ৫: নেগেটিভ, আমার মিশন-গাঙচিল, যতক্ষননা আমি উড়িষাকে ডাউন করতে পারবত ততক্ষণ আমি মাটিতে নামব না । কারণ আমি এই শপথ নিয়েই আমি ওরা ১১ জন এ যোগ দিয়েছি যে, শেষ নিশ্বাস ত্যাগ পর্যন্ত আমি বাংলাদেশকে সার্ভ করব এন্ড আউট ।
সালাম এখন প্রচন্ড ভয় পাচ্ছে বাংলার ৫ নিজের জীবনের বিনিময়ে মিশন-গাঙচিলকে বাস্তবায়িত করতে যাচ্ছে ।
কিন্তু তা অনুচিত । বাংলার ৫ বাংলাদেশের সেরা পাইলট তাদের জীবিত থাকা প্রয়োজন সে বেচেঁ থাকলে আরো মিশনে যোগ দিয়ে দেশকে শত্রু মুক্ত রাখতে পারবে । কিন্তু এইভাবে তার মৃত্যু সহ্য করা যায় না । তাই সালাম চিন্তা করল হেলিকপ্টার-AH64-apache নিয়ে নিজেই রওনা দিবে কারন ওরা ১১ জন প্রত্যেকে মাল্টি সারফেসে প্রশিক্ষিত । কিন্তু হেলিকপ্টার-AH64-apache মাদার শিপে করে নিয়ে গিয়েছে ।
নৌ জাহাজ-Littoral Combat Ship (LCS) High-Speed Surface Ship এ আগুন লেগেছে । শত্রু পক্ষের আক্রমণে ঝাঝড়া হয়ে যাচ্ছে এই মাদার শিপ । আর কতক্ষণ ধরে রাখতে পারবে তার ঠিক নাই । কিন্তু ধরে রাখা মূল কথা নয়, মূল কথা শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া । এদিকে নৌ স্পিড বোট-Combat Boat 90H থেকে বরকত, বদি ও হিরো এনওয়ান নৌ জাহাজ-Littoral Combat Ship (LCS) High-Speed Surface Ship এ চলে এসেছে ।
কারণ তাদের স্পিড বোট এ যে কোন সময় বিস্ফোরিত হতে পারে । তারপর হিরো এনওয়ান হেলিকপ্টার-AH64-apache করে জ্যন্ত দূর্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে উড়ে গিয়েছে । আর দাড়াঁতে পারছে না মাদার শিপ শত্রুদের নিক্ষিপ্ত শেলে কেপেঁ উঠছে । যদিও বিশেষভাবে নির্মিত হয়েছে নৌ জাহাজ-Littoral Combat Ship (LCS) High-Speed Surface Ship যাতে ভারী আঘাতও সহ্য করতে পারে আর তাতে হেলিপেডও আছে । কিন্তু এদিকে জঙ্গী বিমান- F-16 এর ইঞ্জিনের অবস্থাও খারাপের দিকে এগুচ্ছে ।
বাংলার ৫ খুবই সুইফ্ট উড়ে মিসাইল নিক্ষেপ করছে কিন্তু শত্রুদের প্রবল বাধার মুখে ভিতরে ঢুকতে পারছে না তাতে আগেই জঙ্গী বিমান ধ্বংস হবার সম্ভাবনা আছে । কিন্তু জটিল পাইলট বাংলার ৫ তার চৌকসতায় এত গুলো এন্টিএয়ারক্রাফ্ট গান গুলো পাগলের মত ছুড়ছে শেল কিন্তু সঠিক ভাবে লাগাতে পারছে না । কিন্তু এমননা যে লাগছেও না । ওরা ১১ জন আসলেই পারবে? সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাড়াচ্ছে ।
এদিকে প্রতিপক্ষের মুর্হমুহু আক্রমনে ভূপাতিত হয়েছে হেলিকপ্টার-AH64-apache ।
হিরো এনওয়ান বেচেঁ গিয়েছে । এই টার্গেট উড়িশা কোন সাধারণ দ্বীপ নয় বরং এখানে কোন কালেই দ্বীপ ছিল না । শত্রুদের আধুনিকত কৃত্তিম প্রযুক্তিতে একটি সামরিক দূর্গকে দ্বীপে রূপান্তর দেওয়া হয়েছে চোখে ধোকাঁ দেবার জন্য । কিন্তু বিডিআকাশ এর স্যাটালাইট দিয়ে নির্দিষ্ট করতে সক্ষম হয ।
যেখানে ওরা ১১ জন এর অবস্থা বেশামাল তখনই রাতের আকাশে থেকে কি এক অদ্ভুত পাখি উড়ছে ! তা ঠিক পাখিও না রাডারএ ধরা পড়ছে না ।
কিছু একটা হবে । সেখানে থেকে কিছু নিক্ষেপ করে টার্গেট উড়িশাকে তুনাধুনা করছে । হ্যাঁ এটি অল্টার F-117 নিয়ে উড়ি বেড়াচ্ছে ।
অল্টার: বাংলার ৫ ইটস অল্টার, বেক টু বেইসওয়ান, আই এম ইন ইউর পজিশন,ওভার এন্ড ডোন্ট রিপিট এন্ড আউট ।
বাংলার ৫ বেশিক্ষণ বেইসওয়ান এ ফিরে গেল, কারণ সে অল্টার এর উপর বিশ্বাস রাখে ।
অল্টার এর উড়াধুড়া আক্রমণে শত্রু পক্ষ কুপোকাত । অল্টার এর লেজার গাইডেড মিসাইল একে একে এন্টিএয়ারক্রাফ্ট গানগুলোকে উড়িয়ে দিল । মনে হচ্ছে অল্টার আগে থেকেই এই ম্যাপকে স্টাডি করেছে, তাদের পজিশনকে স্টাডি করেছে । অল্টার খুবই রহস্যময় তার পদক্ষেপ সবার পরে হয় কিন্তু নিখুতঁ তার আরও একটি প্রমান মিশন-গাঙচিল ।
শত্রুপক্ষ কিছুই বোঝার আগে সব কিছু ভুন্ডুল হয়ে গেল ।
এদিকে বরকত বুঝতে পেরেছে সমস্যাটা কোথায়, শত্রুদের নির্দিষ্ট এলাকার তাদের নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া বাহিরের ফ্রিকোয়েন্সি কাজ করবে না । তাই মূল কন্ট্রোলরুমকে ধ্বংস করতে হবে তাহলেই রিমোট কাজ করবে আর তাতেই উড়িষা ডাউন হবে । এদিকে অল্টার একের পর এক লেজার গাইডেড মিসাইল নিক্ষেপ করে চলছে বিশেষ অংশে । যুদ্ধের চেহারাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ।
অল্টার কন্ট্রোল রুমকে টার্গেট করে খুব কাছ থেকে হিট করতে চাইছে ।
কারণ শত্রুদের ডিজাইনকৃত কৃত্তিম দূর্গটি খুবই নিখুত । তাই ঠিকভাবে হিট করা যাচ্ছে না । অল্টার একটা রিস্ক নিচ্ছে । বেইসওয়ান এ জানানোর সময় নাই । সব দিক থেকে গুলি বর্ষিত হচ্ছে কিন্তু তাতে অল্টার এর খেয়াল করার সময় নাই ।
খুব কাছ থেকে একটা একটা মিসাইল নিক্ষেপ করতে পারলেই হল । হ্যাঁ পেরেছে অল্টার, মনে মনে খুশি হল ।
অল্টার: বরকত, ইটস অল্টার, ইউ কেন প্রসিড, উড়িষা ডাউন, আই রিপিট উড়িষা ডাউন,ওভার ।
বরকত: ধন্যবাদ, রিমোট এর মাধ্যমে চালু করেছি(১৫ সেকন্ড সময় আছে)তুমি তাড়াতাড়ি নিজেকে সেইফ কর ওভার এন্ড আউট ।
কিন্তু এ একি তাদের দূর্গের মাঝ খান থেকে শক্তিশালী মিসাইল নিক্ষেপ করা হবে মনে হচ্ছে ।
হয়ত তা বেইসওয়ানকে টার্গেট করে নয়তো দেশের বিশেষ ব্যবস্থাপনা বা পারমাণবিক কেন্দ্রে !... মনে মনে বলছে অল্টর, না এটা হতে দেওয়া যাবে না তাছাড়া অল্টার এর কাছ আর কোন মিসাইলও অবশিষ্ট নাই । হয়ত এই মিসাইল, দূর্গের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা এটি, যখন কন্ট্রোলরুম অকেজো হয়ে পরবে । না বরকতের জন্য অপেক্ষা করা যাবে না । নিজেকেই কিছু করতে হবে, মাতৃভূমিই আগে, তাই অল্টার
জয় বাংলা জয় বাংলাদেশ, মাতৃভূমি আমার সোনার বাংলাদেশ । বলে ঝাপিয়ে পড়লো শত্রুর দূর্গের মধ্যবর্তী মিসাইল এর দিকে ... আর তার কিছুক্ষণ পরেই সম্পূর্ণ দ্বীপটি কেপেঁ উঠল বিস্ফোরনে ।
সালাম বেইসওয়ান থেকে শুধু নিশ্চুপ দশর্ক ছিল । কি বলবে বুঝতে পারছে না ।
চার্লি ডি: উড়িষা ডাউন, বেইসওয়ান আলফা ২, ইটস চার্লি ডি । আই রিপিট টার্গেট উড়িষা ডাউন, ওভার ।
সালাম: মিশন-গাঙচিল কমপ্লিট, বেইসওয়ানএ ফিরে আস ।
রজার এন্ড আউট ।
৬ষ্ঠ অংক-
বেইসওয়ান এ সবাই....
অল্টারের এই আকস্মিক দূর্ঘটনায় সবাই চুপ । বাংলার ৫ নিজেকে দোষারোপ করছে, কেন সে বেইসওয়ান এ ফিরে আসল ।
সালাম: আমদের মিশন-গাঙচিল সফল হয়েছে, ভোর হবার আগেই সমাপ্ত হয়েছে । বাকি কাজ করবে মেজর এক্স ও তার কমান্ডোরা আমরা এখন হেড কোর্য়াটার এ ফেরত যাব ।
যদিও আমদের আপাচি হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে মিশনে কিন্তু আমাদের আরেকটি হেলিকপ্টার ধারে পাচ্ছি মেজর এক্স এর কাছ থাকে । নতুন মিশনে নতুন কিছু সংযুক্ত হতে পারে । সুতরাং এত চিন্তা করার দরকার নাই ।
এই কৃত্তিম দূর্গ নিউসিএলফ্রন্টের একটি অংঙ্গ সংগঠন রকেটটিমের ছিল । বিদেশী শক্তির সহায়তায় তারা এটি সংগঠিত করেছিল ।
এই কৃত্তিম দূর্গটির অস্তিত্ব টের পাওয়ার পরই ওরা ১১ জন এর উপর দায়িত্ব পরে একে ন্যস্বাত করার জন্য । এটি কোথায় তৈরী হয়েছে কিংবা কিভাবেই এখানে স্থাপন করা হয়েছে এই সম্বন্ধে কোন প্রকার তথ্য আমাদের তথ্য ব্যাংকে নাই । কিন্তু মূল বিষয় হল একে আমরা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি । আর অল্টার এর ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না ।
অল্টার আমাদের একজন ভাল সহকর্মী ছিল ।
তার আত্নাহুতিঁ ওরা ১১জনকে বরং বাংলাদেশের জন্য অস্বীকৃত অবদান হয়ে থাকবে । তার বিরত্বের কথা হয়ত কোন সংবাদ মাধ্যম বা টিভিতে প্রচার হবে না । জানবে না এই মিশনের বাহিরের জগৎ তবুও তার এই অবদান আমাদের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা তাকে অনেক মিস করব ...
[ঠ্যাংনোট]
মাদার শিপ= নৌ জাহাজ-Littoral Combat Ship (LCS) High-Speed Surface Ship
বাদুড়েঁ= রাতে/অন্ধকারে ।
সাবেক মেজর এক্স ও তার কমান্ডো= বাংলাদেশ আর্মির সাবেক মেজর ও সাবেক কমান্ডোদের দেশের চোখে বরখাস্ত করে গোপনে নতুন বিশেষ অপারেশনের জন্য গঠন করা হয়েছে ।
জ্যন্ত দূর্গ= উড়িষা ।
রজার= তথ্য গ্রহন ।
ওভার= কথা শেষ ও অন্যকে সুযোগ দেওয়া ।
আউট= কথার সমাপ্তি ।
উইলকো= নির্দিষ্ট কাজ সমাপ্ত করা হবে(ভবিষ্যতে) ।
এফারমেটিভ= অনুকূল/হ্যাঁ ।
নেগেটিভ= প্রতিকূল/না ।
নিউসিএলফ্রন্ট= নিও চাট গাওঁ লিবারেশন ফ্রন্ট । বাংলাদেশের একটি অংশকে স্বাধীনতার দাবীতে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসীদের দ্বারা তৈরী হয়েছে । যা বিদেশী শক্তির মদদ পুষ্ট ।
রকেট টিম= বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন । যা বিদেশী শক্তির মদদ পুষ্ট ।
----------------------------------------
নতুন সংযোজিত:
নৌ স্পিড বোট-Combat Boat 90H
নৌ জাহাজ-Littoral Combat Ship (LCS) High-Speed Surface Ship
আগের:
জঙ্গী বিমান- F-16 ও F-117
হেলিকপ্টার-AH64-apache
ট্যাংক-M1A1
জিপ-J8 Military Jeep Wrangle
আগ্নেয়াস্ত্র- HK416 ও L115A3
পিস্তল- fn57
ছোড়া- Microtech Combat Troodon Dagger
দেহরক্ষক- Miguel Caballero Polo
মস্তক আবরনী- Multifunctional Helmet with virtual image display, vga cam, voice recog. & mic.
জয় বাংলা জয় বাংলাদেশ,
মাতৃভূমি আমার সোনার বাংলাদেশ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।