জীবনের শুরুটা মৃত্যুরই নামান্তর। জিজ্ঞেস করি!!
পড়ালেখার মর্ম বেদনা আমি বুজি! কত কষ্ট কইরা যে পড়ার টেবিলে বইতাম! আমার লগের পোলাপান দেখতাম ক্লাসে ১ম, ২য়, ৩য়....... হইত, আর আমি মনে মনে কইতাম হালার পুতেরা কি এমন পড়ালেখা করে যে প্রত্যকবার ১ম... ২য়.... ৩য় ........হয়। এইবার ঠিক করলাম ওরা যে মাস্টরের কাছে পড়ব আমি ও সেই মাস্টরের কাছে পড়ুম। তাইলে বোধ করি ওগো মত আমি ও মেরিট লিস্টে আইয়া পড়ুম। যেই ভাবা সেই কাম, গেলাম স্যারের কাছে, একি গিয়া দেহি পোলাপাল আর পোলাপান একটা মোরগের খাচার মত রুমে ২০-২২টা পোলাপান হইব, যাই হোক দুইডারে লাথি মাইরা এক চিপায় গিয়া বইলাম।
কতক্ষন বাদে দেহি স্যার আইল, উনার কোলে উনার মাইয়া, মাইয়া নাকি স্যারের কাছে ছাড়া কোথাও যায় না, তাই ওইডারে লইয়া উনি পড়ানো শুরু করলেন, আমি ও মনোযোগ দিয়া কি পড়াইব তা দেখতে লাগলাম, ওমা একি স্যার দেহি কতগুলান খাতা দিল, আর সবাই দেখলাম ওইডার উপর ঝাপাইয়া পড়ল,ক্ষুর্ধাত পশুর মত, কে কার আগে লেখতে পারব তাই নিয়া সবাই তারাহুড়া করতাছে। আমি কিছুই বুঝলাম না, একটারে জিগাইতে কয় আরে কথা কইস না, যা পারস তারাতারি লেখ, পরে পস্তাইবি। আমিও লেখা শুরু করলাম, ওমা এরা দেহি টাইপিং মেশিনের তে ও তারাতারি লেখে।
কোন কুল কিনারা না পাইয়া প্রথম দিন যা পারলাম লিখলাম। এইভাবে চল্ল তিন মাস পরে একদিন শুনি আমাগো কোর্স নাকি শেষ, ওমা তো স্যারে কি পড়াইলো যে কোর্স শেষ কইরা দিল! এক পোলারে জিগাইলাম কইল এত দিন যা লেকছোস তাই ছিল কোর্স, এবার এইডি মুখস্ত করবি।
আর পরীক্ষার আগের দিন আইসা স্যারের কাছে ইমপটেন্ট কিছু দাগাইয়া লইয়া যাইবি। আমি আগা মাথা কিছু না বুইজা টানা মুখস্ত করলাম। পরে পরীক্ষার আগের দিন স্যারের কাছে গিয়া দেহি পোলাপান আর পোলাপান, সবাই স্যারের দিকে চাইয়া রইছে, স্যার কিছু কইব! স্যার দেখলাম এত এত চাপটার বাদ দিয়া মাত্র পাঁচটা চাপটার দিয়া কইল এইগুলা পড়বি, আর যে প্রশ্ন গুলা দিলাম এইগুলা পড়বি, দেহি একগাদা ফটোকপি করা প্রশ্ন, সবাই দুইটাকার বিনিময়ে কিনতাছে। আমি ও কিনলাম। বাসায় গিয়া এইগুলাই পড়লাম।
পরীক্ষা দিতে গিয়া আমি তো টাসকি মাইরা গেলাম, একি পুরা হুবুহু মিল প্রশ্ন, শুধু একটু অমিল তা হইল প্রশ্নের ধারাবাহিকতা নাই, যেমন ফটোকপিওয়ালা প্রশ্নের ৫ নম্বর টা মুল প্রশ্নের ৯ নম্বর, এইরকম কিছু।
একটা কথা কইতে ভুইলা গেছি। অবজেকটিভ টাও স্যারে সবার বইয়ে দাগাইয়া দিছে, স্যারে নিজের বইটা লইছে আর আমাগো কইছে ওমুক পৃষ্টার তমুক লাইন দাগাও, তমুক পৃষ্টার ওমুক লাইন দাগাও। অবজেকটিভ দিয়া গিয়া দেহি ৫০টার মধ্য ৩৫টায় স্যারের দাগানি থেইক্যা আইছে, আর বাকীগুলা পান্তা ভাত। এলা কন, পড়ালেখা কত সহজ আছিল আমাগো সময়ে, তখন আমি বুঝলাম পোলাপান কেমনে ১ম......২য়.........৩য় হয়।
* আমার পরের পোষ্ট গুলোতে চরম কিছু সত্য কাহীনি প্রকাশ পাবে।
* যা আমি একান্ত ভাবে শিকার।
* পরবর্তীটা হইল মিশন: জিরো> ক্লাসের ফাস্ট বয় ই পীর হয়না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।