ধন্যবাদ সবাইকে।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অংগীকার ছিল যুদ্ধাপরাধের বিচার করা। সে অনুযায়ী তারা কাজও শুরু করেন। কিন্তু এ বিচার কাজকে তারা কতটা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে। কারণ, এমন গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর একটি কাজে সকল সিদ্ধান্তই হবে সুচিন্তিত।
তাহলে কিভাবে তারা তদন্ত সংস্থার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিলেন এমন এক ব্যক্তিকে যার অতীত ইতিহাস পরে 'উদঘাটন' করতে হলো। সাধারণ একটা চাকুরীর ক্ষেত্রেও তো প্রার্থীর অতীত ইতিহাস, কর্মকান্ড যাচাই বাছাই করা হয়। তবে কি মতিন সাহেবের ক্ষেত্রে এমন কিছু করা হয়নি? শুধু অতীত কর্মকাণ্ড নয় তার Body fitness, কথা বলায় Smartness কোন কিছুতেই কি তাকে এ পদের যোগ্য মনে হয়? আমার ধারণা, সরকারের উচ্চপদে অধীষ্ঠিতগণ উচ্চ জ্ঞান বুদ্ধিরও অধীকারী হবেন। কিন্তু মাঝে মাঝে তাদের কথাবার্তা আচার-অচরণ দেখে মনেহয়- সাধারণ মানুষের Common sense ও তাদের থেকে বেশী। মাঝে মাঝে আমাদের মাননীয় আইন প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য শুনে ভিমড়ী খাওয়ার অবস্থা হয়।
সম্প্রতি হাইকোর্টে নিয়োগ প্রাপ্ত বিচারকদের যোগ্যতার বহর দেখে মনে হলো- হাসবো না কাঁদবো। বিএনপি দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দিয়েছে কাজেই, আমরাও দেব। ঠিক আছে-মেনে নিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য আইনজীবি/ব্যক্তির এমনই অভাব? নাকি বর্তমানে সকল অযোগ্য লোকই রাজনীতি নামের বাহনে চড়ে বসে? সাধারণ নাগরিক হিসেবে প্রশ্ন- যাদের বিচারক হ্ওয়ার নূ্নতম যোগ্যতার অভাব রয়েছে- তারা আমাদের কি বিচার করবে? এর বিচার নিশ্চয়ই আল্লাহ করবেন। ইয়া আল্লাহ এদের কিছু জ্ঞান-বুদ্ধি দাও-আমীন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।