দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...
চারি দিকে লবন জল েঘরা চিংড়ির ঘের মাঝ খানে ঝলমলিয়া। দূর দূরান্ত হতে মানুষ আসে এই ঝলমলিয়ার ঘাটে। আমরা যখন আমাদের জীবন ও জল একে একে বোতল বন্ধি করে রেখে করছি রাসায়নিক জীবন যাপন তখন পৃথিবীর কোন এক অদ্ভুত কোনায় এখনো মানুষ অবলিলায় পান করে চলে শাপলা ফোটানো মিষ্টি জল, কি নিরাপদ...
নানা অস্থিরতারা ভেতর দিয়ে পার করলাম ২০০৯। বছরের শেষ দিনটায় এসে বিষন্নতা যেনো আকড়ে ধরে ছিল! খুব মন খারাপ নিয়ে বাড়ী বসে ছিলাম।
কোথাও যাইনি। হাতে এক গাদা কাজ এলোমেলো অথচ কাজে মন বসাতে পারছিলাম না। যখনি এডিটিং প্যানেলে এসে বসি রাজ্যের ক্লান্তি এসে ভর করে। যথারীতি বছরের শেষ দিনটাও আমার ভীষন খারপ গেছে। কারো ফোন ধরিনি, ফেইস বুকে ব্লগে মানুষের কত আয়োজন! ভালোলাগছিল না কিছুই, আমি রাত জেগে কাজ করেছি।
গত বাইশ তারিখ রামপাল গিয়ে ছিলাম। ১ জানুয়ারী ঝলমলিয়া থেকে ফিরে ছবির হাটে অডিওভিজ্যুয়াল আর্টিস্টদের একটা প্রেজেন্টেশন হবে বছরের পয়লা দিনটা প্রায় পুরোটাই গেছে আমার সেই কাজে। বিকেলে তরিঘরি করে যখন ছবির হাটে পৌছুই প্রতি দিনের পরিচিত যায়গাটা একেবারে ভিন্ন রূপে অপেক্ষা করছিল আমার জন্য। বন্ধুরা ছুটে এসে জিজ্ঞেস করল শেষমেষ কাজটা আমি শেষ করতে পেরেছি কিনা। আমি তাদের আশ্বস্থ করে পকেট থেকে একটা ডিভিডি প্রজেক্শনের দ্বায়িত্বে যে ছিল তার দিকে বাড়িয়ে দি।
ঝলমলিয়া পৃথিবীর অদ্ভুত এক জনপদের নাম। গত ২২ ডিসেম্বর প্রায় ৫০ জনের একটি দল রামপাল বাগের হাটের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ি। শুরুতে যাবার তেমন ইচ্ছে না থাকলেও পরে কেমন করে যেনো রওয়ানা দিয়ে দিলাম! ভাগ্যিস ডিসিশানটা নিতে পেরেছিলাম নয়ত জানা হতো না কোন দিন এক দল সাধারন মানুষের অসাধারণ কিছু জীবন কথা।
কাল বিকেলে ছবির হাটে আমার তৈরী একটা প্রামাণ্যচিত্রের রাফকাট প্রেজেন্টেশন ছিল। কাল হয়ত কেউ কেউ ছবির হাটে গিয়ে শাপলা পুকুড় দেখে অবাক হয়ে ছিলেন, সেই শাপলা পুকুড় ঝলমলিয়ার জলে যাদের জীবন গাঁথা লবনাক্ত মাটি আর প্রকৃতির প্রতিকুলতা ভেদ করে টিকে থাকা এক দল মানুষের কথা নিয়ে তৈরি করেছি প্রামাণ্য চিত্র সনাতন জল ঝলমল।
ছবিটি কাল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনী শেষে দর্শকের মতামত জানতে পেরে আমি যারপর নাই খুশী হয়েছি।
বছরের শুরুতে নিজের তৈরী একটি কাজ দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখেছে দেখে খুব ভালো লাগছে। গত বছরটায় চলতে চলতে কেমন যেনো ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছিল সব কিছু, ভীষন মন খারাপ হয়ে গেছিল বছরের শেষটায় এসে। যাক সেই খারাপ লাগাটা ঝেড়ে ফেলে বছরটা শুরু করতে পেরেছি একটি কাজ দিয়ে।
বছরের প্রথম দিনই নতুন একটা কাজের প্রদর্শনী, এরচে আনন্দের কথা আর কি হতে পারে!
ব্লগ বন্ধুরা, গত রাতে মনটা ভীষন বিষন্ন ছিল। কোথাও ফোন করিনি, কাউকে ই-মেইল করিনি পড়িনি কারো পাঠানো কোন টেক্সট মেসেজ! নতুন বছর সারাটা দিন নাক ডুবিয়ে কাজ করে বিকেলেই যখন তার ফল পেলাম তখন সকল গ্লানী সকল জ্বরা ঝেড়ে ফেলে মনটা ভালো হয়ে গেছে একেবারে। নীচে সদ্য নির্মীত প্রামাণ্যচিত্র "সনাতন জল ঝলমল" এর একটা রাফ কাট দুই পর্বের মোট ব্যাপ্তি ১৮ মিনিট, ইচ্ছে হলে দেখতে পারেন না দেখলেও ক্ষতি নেই।
পর্ব এক: http://www.youtube.com/watch?v=2C-eLguK5uk
পর্ব দুই: http://www.youtube.com/watch?v=nNiezKbUptU
সনাতন জল ঝলমল // চিত্রগ্রহন, সম্পাদনা ও নির্মাণ: সাইফুল ওয়াদুদ হেলাল // দৈর্ঘ্য: ১৭:৩০ মিনিট // ফরমেট : এইচ ডি
সবাইকে নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভালো আছি, ভালো থাকুন।
শুভ নববর্ষ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।