আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাবিতে ফল দেরিতে 'দায়ী' শিক্ষকদের তালিকা



সুলাইমান নিলয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ফল প্রকাশে দেরিতে 'দায়ী' ২১ শিক্ষকের তালিকা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত তদারকি সেলেরও প্রধান। তালিকাভুক্ত নয়টি বিভাগের ২১ শিক্ষক সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পরীক্ষার উত্তরপত্র নিতে এবং সেগুলো জমা দিতে দেরি করেছেন। পরীক্ষার ফল দিতে দেরি হওয়ায় দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত ১০ এপ্রিল বিভাগে ভাংচুর করে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফল দেওয়ার দাবিতে বিভাগে ভাংচুর করে গত ১১ এপ্রিল।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত ২৯ এপ্রিল উপ-উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে ফল দাবি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন মাস পর ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। তালিকায় যেসব বিভাগের শিক্ষক রয়েছেন সেগুলো হলোѠভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান, নাট্যকলা, অনুজীব বিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফলিত পদার্থ ও ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সংস্কৃত ও পালি, নৃবিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান ও ভূতত্ত্ব। ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান: বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম নাজেম উত্তরপত্র জমা দিতে ছয় মাস ছয় দিন এবং অধ্যাপক ড. জিয়াউস শামস পাঁচ মাস ১৮ দিন দেরি করেছেন। উত্তরপত্রগুলো ছিলো ২০০৯ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের প্রথম বর্ষ সম্মান পরীক্ষার।

ফল দেওয়া হয় ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর। নাট্যকলা: বিভাগের ২০০৭ সালের চতুর্থ বর্ষ সম্মান পরীক্ষায় অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহিন ১৪টি উত্তরপত্র মূল্যায়নে অতিরিক্ত সময় নিয়েছেন ছয় মাস ১৫ দিন এবং মিসেস ওয়াহিদা মল্লিক নিয়েছেন ছয় মাস ১২ দিন অতিরিক্ত সময়। ২০০৯ সালের ১ ফেব্র"য়ারি এ পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশ হয় ডিসেম্বরে। অনুজীব বিজ্ঞান: বিভাগের ২০০৭ সালের ?94;তকোত্তর পরীক্ষার উত্তরপত্র জমা দিতে সহযোগী অধ্যাপক ড. জামালুন্নেসার দেরি করেন এক মাস ১৪ দিন।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং: বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ ২০০৭ সালের ?94;তকোত্তর পরীক্ষার উত্তরপত্র জমা দিতে দেরি করেন এক মাস ১৪ দিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০০৯ সালের নভেম্বরে এ পরীক্ষা শেষ হলেও এখনো ফল প্রকাশ হয়নি। ফলিত পদার্থ ও ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং: বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জহিরুল ইসলাম মজুমদার ২০০৭ সালের ?94;তকোত্তর পরীক্ষার উত্তরপত্র জমা দিতে দুই মাস তিনদিন, সহকারী অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাহমুদ উল্লাহ এক মাস ২৭ দিন, ড. এইচ এম আসাদুল হক এক মাস ১৪ দিন, ড. মামুনুর রশীদ এক মাস ১৪ দিন, মো. জহিরুল হক মজুমদার তিন মাস তিনদিন দেরি করেন। এ পরীক্ষা শেষ হয় ২০০৯ সালের অক্টোবরে। ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে চলতি বছরের মার্চে।

এখনো ফল প্রকাশ হয়নি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান: বিভাগের ২০০৯ সালের পঞ্চম সেমিস্টার পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন অতিরিক্ত দুই মাস ২৫ দিন সময় নিয়েছেন। এ পরীক্ষা শেষ হয় ২০০৯ সালের নভেম্বরে। ফল প্রকাশ হয় চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল। সংস্কৃত ও পালি: বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ ৪র্থ সেমিস্টারের উত্তরপত্র মূল্যায়নে অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী অতিরিক্ত সময় নেন দুই মাস ১৮ দিন।

নৃবিজ্ঞান: বিভাগের এম. ফিল. থিসিস মূল্যায়নে অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন খান আরেফিন অতিরিক্ত এক বছর আট মাস ১২ দিন সময় নিয়েছেন। সমাজ বিজ্ঞান: বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন ২০০৮ সালের সম্মান ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার উত্তরপত্র নিতে এক মাস চারদিন এবং জমা দিতে দুই মাস ১২ দিন দেরি করেছেন। ২০০৭ সালের এম এস পরীক্ষার উত্তরপত্র জমা দিতে তিনি দুই মাস পাঁচদিন দেরি করেন। অধ্যাপক সাদেকা হালিম চতুর্থ বর্ষের (সম্মান) উত্তরপত্র নিতে তিন মাস ২৬ দিন এবং জমা দিতে পাঁচ দিন দেরি করেছেন। ?94;তকোত্তরের উত্তরপত্র জমা দিতে তিনি চার মাস ছয় দিন দেরি করেছেন।

অধ্যাপক আমান উল্লাহ ফেরদৌস চতুর্থ বর্ষ সম্মানের উত্তরপত্র জমা দিতে দেরি করেছেন তিন মাস ১৮ দিন। ?94;তকোত্তরের উত্তরপত্র নিতে এক মাস সাতদিন এবং জমা দিতে চার মাস ২৭ দিন দেরি করেছেন। অধ্যাপক কামরুল আহসান চৌধুরী ?94;তকোত্তররের উত্তরপত্র নিতে এক মাস দুইদিন এবং জমা দিতে তিন মাস ১১ দিন দেরি করেছেন। অধ্যাপক সরদার আমিনুল ইসলাম উত্তরপত্র নিতে তিন মাস ছয়দিন এবং জমা দিতে এক মাস নয়দিন দেরি করেছেন। নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিসেস নাসিমা সুলতানা এ বিভাগের বাইরের পরীক্ষক হিসাবে নিয়োজিত।

তিনি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সম্মানের উত্তরপত্র নিতে দুই মাস ২৬ দিন এবং জমা দিতে এক মাস ১৮ দিন দেরি করেন। ভূতত্ত্ব: বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. আজিজুল হক উত্তরপত্র নিতে এক মাস ২১ দিন দেরি করেন। তালিকাভুক্ত শিক্ষকদের বিষয়ে কী হবে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য হারুন-অর-রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এ শিক্ষকদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় চেয়ারম্যান, পরীক্ষা কমিটির প্রধান এবং অনুষদের ডীনের সঙ্গে কথা বলা হবে। " শিক্ষকদের মতামত সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.