লেখক/কবি
স্টেমফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সমপ্রতি শৈবাল কোষে সংযোগের মাধ্যমে অতিসামান্য পরিমান বিদ্যুৎ পেতে সক্ষম হয়েছেন। সূর্যের আলো কে গাছ রাসায়নিক শক্তিতে পরিনত করে আর এই শক্তি থেকেই এ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় বলে তারা জানতে পারে। গবেষকেরা মনে করছেন তাদের এই বিদ্যুৎই নিরাপদ জৈববিদ্যুৎ তৈরির প্রথম পদক্ষেপ। এধরনের জৈববিদ্যুৎ তৈরির সময় কার্বনডাইঅক্সাইডের মতো কোন ক্ষতিকর উপাদান বের হবে না।
নেনো লেটার জার্নালের মার্চ সংখ্যায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রের লেখক ওনহাইওং রাও বলেন তাদের জানা মতে জীবন- উদ্ভিদ কোষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এটাই প্রথম ঘটনা।
প্রফেসর ফ্রিট প্রিনজ এর সঙ্গে গবেষণা সহকারি হিসেবে কাজ করার সময় রাও এধরনের এক পরীক্ষা করেন বলে জানাগেছে।
স্টামফোর্ডের গবেষকেরা কোষের ভেতর প্রবেশের উপযোগি সোনার তৈরি নিখুত এক ক্ষুদ্র ন্যানোইলেক্ট্রড বানাতে সক্ষম হয়েছেন। বিজ্ঞানিরা এধরনের ইলেক্ট্রড শ্যাওলার কোষ আবরন এর ভেতর ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন। এভাবে আলো থেকে শক্তি গ্রহন করা জীবিত শ্যাওলা কোষ থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।
এভাবে আসলেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছেকিনা তা বুঝতে বর্তআনে একক কোষ নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানিরা।
উদ্ভিদ সুর্যের আলোকে রাসায়নিক শক্তিতে পরিনত করে চিনির ভেতর আবদ্ধ করে। কোষের ক্লোরপাস্ট অংশে এ পরিবর্তন ঘটে, এটি শ্যাওলা সবুজ হওয়ার কারন, একে কোষের চিনি তৈরির পাওয়ার হাউজ বলা হয়। এর ভেতরকার পানি থেকে প্রটোন ও ইলেক্ট্রন বেরিয়ে আসে। সূর্যেরআলো ক্লোরপ্লাস্টের ভেতর প্রবেশ করে এর ইলেক্ট্রন গুলোর শক্তি বাড়িয়েদেয়। আর একটি প্রটিন দ্রুত এদের শুষেনেয়, এভাবে ইলেক্ট্রোন ধারাবাহিক প্রটিনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চিনি তৈরি হতে থাকে।
ইলেক্ট্রোনের শক্তি পুরোপুরি শেষ হবার আগ পর্যন- প্রক্রিয়াটি চলতেই থাকে।
এই পরীক্ষায় বিজ্ঞানিরা আলোর দ্বারা সদ্য উত্তেজিত ইলেক্ট্রনকে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। সোনার ইলেক্ট্রোড ক্লোরপ্লাস্টের ভেতর স'াপন করে এদের মাধ্যমে সামান্য পরিমানে বিদ্যুৎ আহরন করা সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞানিরা বলছেন গবেষণার এ ফলাফল ব্যবহার করে ভবিষ্যতে নিরাপদে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় অক্সিজেন পাওয়াযাবে।
এবং সামান্য পরিমানেও কার্বনডাইঅক্সাইড বের হবে না।
তবে উৎপাদিত এই বিদ্যুতের পরিমান খুবই সামান্য। শতকোটি শ্যাওলা কোষ থেকে সংগ্রহ করা বিদ্যুৎদিয়ে কেবল একটি এএব্যাটারি চার্য করা যাবে। দেখাগেছে ইলেক্ট্রোডের ফুটো ও এর মাধ্যমে শক্তি সংগ্রহের কারনে শ্যাওলা মারা যায়। বর্তমানে জীবিত কোষে ইলেক্ট্রোডকে স'ায়ি করার চেষ্টা চলছে।
এভাবে ইলেক্ট্রোন সংগ্রহ বায়োফুয়েল জ্বালানোর চেয়ে লাভজনক হবে বলে মন-ব্য করেন বিজ্ঞানিরা। কারন বেশীরভাগ উদ্ভিদই সূর্যথেকে পাওয়া শক্তির মাত্র ৩ থেকে ৬ ভাগ মজুদ করতে পারে। অন্যদিকে কৃত্রিমভাবে তৈরি ফটোভোল্টিক সোলার সেলগুলোও সূর্যশক্তির মাত্র ২০ থেকে ৪০ ভাগ মজুদ করতে পারে। আর জীবিত কোষের ভেতর থেকে উত্তেজিত ইলেক্ট্রন ধরতে বর্তমান পদ্ধতিটি ২০ভাগের চাইতে বেশী কার্যকর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।