http://www.facebook.com/samimsikder
আজ কাল কেউ আর তেমন রুপকথার বই পড়ে না.বাঙলার রুপকথায় যে কত মজাদার আর জনপ্রিয় গল্প আছে ,অনেকে ভাবলেই অবাক হয়ে যাবে.এখন কার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বিদেশি রুপকথার গল্প পড়ে তাও ইংরেজিতে.কিন্তু একসময় বাংলা রুপকথার গল্প ইংরেজিতে অনুবাদ করে বিদেশিরা পড়ত,যেমন কবি জসিম উদ্দিনরে "শ্রেষ্ঠ বাংলীর হাসির গল্প" যা ইংরেজিতে অনুবাদ হয়েছিল,এবঙ বিদেশে সমান জনপ্রিয় ছিল.
কিন্তু সময়ের বিবর্তনে আজ হারিয়ে গেছে সেই সব গল্প কবিতা এবং ঠাকুর মার ঝুলির মত রুপকথার গল্প.এই গল্প গুলো শুধু গল্প ছিলনা সাথে ছিল শিক্ষণীয় অনেক কিছু ,যা পড়ে ছোট ছেলে মেয়েরা তাদের চরিত্রকে সেই ভাবে গঠন করার চেস্টা করত.
বিদেশি রুপকথার গল্প থেকে কোন অংশে কম ছিল না আমাদের রুপকথার গল্প গুলো ........তেমনি একটি কবিতা আজ ব্লগের পোস্ট দিলাম,যা মনে করিয়ে দিবে বাংলা রুপকথার সেই পুরাতন আবেগ...
রূপ-তরাসী’
‘হাঁ-উ মাঁ-উ কাঁ-উ’ শুনি রাক্ষসেরি পুর
না জানি সে কোন্ দেশে-না জানি কোন্ দূর!
রূপ দেখতে তরাস লাগে, বলতে করে ভয়,
কেমন করে’ রাক্ষসীরা মানুষ হয়ে রয়!
চ-প্ চ-প্ চিবিয়ে খেলে আপন পেটের ছেলে,
সোনার ডিম লোহার ডিম কৃষাণ কোথায় পেলে!
কেমন করে’ ধ্বংস হল খোক্কসের পাল-
কেমন করে উঠ্ল কেঁপে নেঙ্গা তরোয়াল!
পায়ের নিচে কড়ির পাহাড় হাড়ের পাহাড় চুর-
রাজপুত্র কে গিয়াছে পাশাবতীর পুর?
হিল্ হিল্ হিল্ কাল্-নিশিতে-গর্জে কোথায় সাপ-
সাজার পুরীর ধ্বংস কোথায় হাজার সিঁড়ির ধাপ!
আকাশ পাতাল সাপের হাঁ কোথায় পাহাড় বন,
থর্ থর্ থর্ গাছের ডালে বন্ধু দুজন!
চরকা কোথায় ঘ্যাঁর্ঘ ঘ্যাঁর্ঘ-পেঁচোর কিবা রূপ,-
মণির আলোয় কোন্ কন্যার অগাধ জলে ডুব’।
“হী হী হী!” হরিণ-মাথা রাক্ষস আকার।
আমের ভিতর রাজার ছেলে লুকিয়ে ছিল কে,
রাজকন্যা, নিয়ে এল সাগর পারে গে’!
কবে কোথায় রাক্ষসীর হাড় মুড্ মুড্ করে
রাজার ছেলের রসাল কচি মুন্ডু খাবার তরে!-
রাক্ষসের বংশ উজাড় রাজপুত্রের হাতে-
লেখা ছিল সে সব কথা ‘রূপতরাসী’র পাতে!
ঠাকুরমার ঝুলি, দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।