স্মার্ট । খুব পরিচিত একটি ইংরেজী শব্দ । অভিধানে স্মার্ট এর দুই রকম অর্থ আছে । একঃ উজ্জ্বল, নবীন-দর্শন, কেতাদুরস্ত ইত্যাদি । দুইঃ তীব্র ব্যথা অনুভব করা বা তীব্র ব্যথা দেওয়া ।
সম্পুর্ন বিপরীতমুখী অর্থ অথচ বানান একই । যাক এসব বাদ এখন মুল বিষয় স্মার্টনেস । সবাই বলেন “বি স্মার্ট” । কিন্তু কিভাবে? চলুন জেনে নেই-
পোশাকঃ পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে হতে হবে যথেষ্ট রুচিবান । চলতি হাল ফ্যাশনে গা ভাঁসিয়ে পোশাক পরা স্মার্টনেস নয় ।
বরং আপনাকে যে পোশাকটি পরলে সুন্দর লাগবে সেটাই আপনার জন্য মানানসই । আর, টিভি ফিল্ম এর হিরো হিরোইনদের ফলো না করে নিজস্ব সমাজ-সংস্কৃতি বিবেচনায় এনে নিজস্ব্য মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে হবে । এতে আপনার স্বকীয়তা ফুটে উঠবে । যা স্মার্টনেসের অন্যতম শর্ত । একই সাথে কোথায় কোন পোশাক পরে যাবেন সেটিও খেয়াল রাখা উচিত।
যেমন ক্লাব পার্টিতে আপনি জিন্স, টি-শার্ট, ব্রেসলেট পরতে পারেন কিন্তু অফিসে নিশ্চয়ই এভাবে যাওয়া ঠিক হবে না । মেয়েদের বেলায় পরিমিত অলংকার শিথিলযোগ্য । তবে কখনই তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয় । পোশাকের রং এর ব্যাপারেও খেয়াল রাখা উচিত ।
ব্যবহারঃ ব্যবহারে বংশের পরিচয় ।
অবশ্য এখন বংশের পরিচয় না খুজলেও স্মার্টনেস এর গুরুত্তপুর্ন মাপকাঠি হলো ব্যবহার । বিনয়ী, ভদ্র আচরনই স্মার্টনেস এর লক্ষন । মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, হ্যান্ডসেক ইত্যাদি স্মার্টনেস এর প্রকাশ ঘটায় । ন্যাকামি বা আহ্লাদিপনা সর্বাংযে বর্জনীয় । কথোপকথনের সময় বাচনভংগি হবে স্মার্ট এবং কন্ঠ থাকতে হবে দৃঢ় ।
তবেই না বোঝা যাবে স্মার্ট । আর অবশ্যই যে কোন ধরনের মুদ্রাদোষ পরিহার করতে হবে । যেমন, মাথা চুলকানো, অংগভঙ্গি করা, মুখ দিয়ে শব্দ করা ইত্যাদি । মানুষকে অবমুল্যায়ন করবেন না। অযথা নিজেকে সর্বদা বড় ভাববেন না ।
আবার নিজেকে ছোটও ভাববেন না যেন । অর্থাত সবার সঠিক মুল্যায়নই একজন ব্যাক্তির কাছ থেকে সবার কাম্য ।
জ্ঞানদান বর্জনীয়ঃ যতটুকু জানেন তততুকুই প্রকাশ করুন । নিজেকে জাহির করার জন্য অতিরিক্ত বলবেন না । বলা তো যাই না হিতে বিপরিতও হতে পারে ।
আপনি যা তাই প্রকাশ করুন । যেখানে সেখানে করতে গেলে আপনার কপালে বাচাল আওয়ার্ড টি জুটে যেতে পারে ।
আরও কিছুঃ
১. ধরা যাক আপনি খুব সুন্দর মানানসই পোশাক পরেছেন । কথাবারতার স্টাইল ও ভালো । কিন্তু শরীর থেকে ঘামের বিদঘুটে গন্ধ বের হচ্ছে ।
কেউতো আপনার কাছেই আসবে না । এক্ষেত্রে পারফিউমই হতে পারে আপনার একমাত্র সঙ্গি ।
২. একজন স্মার্ট মানুষের বন্ধুত্তেও হতে হবে স্মার্ট । তাই বন্ধু নির্বাচনেও খেয়াল রাখতে হবে । সে আপনার সাথে চলতে পারবে কি না? তার মানসিকতা আপনার সাথে মেলে কি না ।
কারন বন্ধুত্ত্ব হলো মনের মিলন ।
৩. অন্যকে স্মার্ট ভেবে নিজেকে ক্ষেত ভাবা উচিত নই । এতে করে হীনস্মন্যতার সৃষ্টি হয় । সবসময় সুন্দর আত্ত্ব উপলব্ধির মাধ্যমে সঠিক সিধান্ত নিন । আত্ত্বসম্মান বজায় রেখে চলা উচিত ।
৪. একজন কে নিজের আইডল হিসেবে বেছে নিন। তার মতাদর্শে নিজেকে গড়ে তুলুন । এক্ষেত্রে বাবা মাই হতে পারেন ভালো বন্ধু ।
ওয়েবসাইট অবলম্বনে……..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।