আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মার্টনেস (একটি সচেতনমূলক পোস্ট)

স্মার্টনেস বলতে মুলত মানুষের রুচিবোধকে বুজায়। একটা মানুষ কতটা রুচিশীল এবং আত্মমনা সেটাই প্রকাশ পায় স্মার্টনেস এ। আমি জানি সবাই আমার সাথেই বলবেন যে স্মার্টনেজ আসলে এইটাই। কিন্তু এইটা কি পুরোটা সত্য?? এখন যদি একটা বস্তির ছেলেকে অথবা মেয়েকে বলা হয় তুমি খুব স্মার্ট, একটু পর দেখবেন সে ইংরেজি বলা শুরু করে দিছে- ( মিস ইউ, ফিলিং লোনলি, গুড, থ্যাংকস গড ইত্যাদি)। আসলে দুঃখের সাথে বলতে হয় প্রকৃতপক্ষে কিন্তু আমরা স্মার্টনেস বলতে কে কতটা পাশ্চাত্য সংস্কৃতি অনুসরন করলো সেইটাকে বুঝি।

এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সমাজের, দেশীয় সংস্কৃতির, শিক্ষাগন থেকে শুরু করে ফ্যামিলি পর্যন্ত। একটু পার্কে গেলে নেহাত বুঝতে পারবেন সমাজ কতটা পাশ্চাতের স্মার্টনেসের কারনের অসুস্থ। একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন তো- ছেলেমেয়ের যে পর্নোম্যানিয়াতে ধরেছে এইটা পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি কিনা। ২০১১ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ৮৬% ছেলেমেয়ে ক্লাস এইট থেকে পর্নম্যানিয়াতে আক্রান্ত। বিদেশি চ্যানেলের কথা না হয় বাদই দিলাম।

দেশীয় ক্যাবল টিভিগুলোতেও পাশ্চাত্যের অসুখ খুব ভালো ধরেছে। ইদানিং নাটক সিনেমা, বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড ছাড়া হয়ই নাহ!! অচিরেই বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড শব্দটি সবার কাছে স্থান করে নিয়েছে!! সে সাথে পর্নোম্যানিয়াতে আক্রান্ত ছেলেমেয়ে সুযোগ পাচ্ছে একজন আরেকজনের সাথে মিশার। মনের মত বানিয়ে নিচ্ছে বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড। অবাধ মেলামেশায় আছন্নও হয়ে পড়ছে! পার্কের চিপা চাপার দিকে চোখ পড়লেই বুঝতে পারবেন বিষয়টা কোথায় গিয়ে দাড়াচ্ছে। মুরুব্বিরা দেখছেন কিন্তু কেওই মুখ খুলছেন নাহ ।

অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে চলে এসেছে এখন স্মার্টনেস বলতে কার কতটা গার্লফ্রেন্ড অথবা বয়ফ্রেন্ড আছে সেইটাকে বুঝা হয়। এখনকার প্রত্যেক ছেলেমেয়েই চায় তার গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড একটু বেশি স্মার্ট হোক মানে একটু বেশি পাশ্চাত্য অনুসরন করুক। সেই জন্যেই কুদ্দুস মিয়ারেও দেখা যায় তার গার্লফ্রেন্ডের লগে ইংলিশ ছাড়তাছে। মাঝে মধ্যে বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড যদি তাদের সংগির চেয়ে স্মার্ট ছেলে পায় তখন রিলেশন ব্রেকআপ করটা এখন খুবই নরমাল বিষয়। এতে করে ভালোবাসার মত পবিত্র জিনিসটা যেমন হয়েছে তুচ্ছ, তেমনি সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে কুরুচিপূর্ন।

আন্টিরাও সিরিয়ালম্যানিয়াতে আক্রান্ত, সিরিয়ালগুলাতে কয়েকটা জিনিস খুব ভালো করে লক্ষ করা যায়- একে অন্যের বদনাম করা, কে কতটা বড় হতে পারল সেটা প্রকাশ করানো, বউ-শাশুরী দন্ধ, বউ-ননদ কুন্দল। এইসব জিনিস সকল সিরিয়ালেই দেখায়, আর আমাদের আন্টিগন একটার পর একটা সিরিয়াল ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়া দেখতে থাকে!! এতে করে বাড়ছে দাম্পত্য কলহ ও সম্পর্ক ভাংগার সম্ভবনা। মজার কথা হইলেও সত্য, কয়েকদিন আগে একজন আন্টি বলতেছিল- আমি হইলাম রাশির শাশুরী ( জি-বাংলার একটি গাধামার্কা সিরিয়াল), কত ধানে কত চাল সেটা আমি বুজাই দিব!! কে কতটা স্মার্ট দেখানোর জন্যে এক আন্টি পাশের বাড়ির আন্টির সাথে কম্পিটিশনে জড়িত, গহনা, চুরি, শাড়ি এইসব নিয়া, যেগুলা নিয়া সাধারনত সিরিয়ালেও ঝগড়া হয়। আন্টির স্বামী পাশের বাড়ির আন্টির সাথে ফষ্টিনষ্টি করার পিছনে এই সিরিয়ালেরই হাত। আচ্ছা এতক্ষন যে শুধুই বক বক করলাম, আপনিই বলুনতো এই কাজগুলা কি সুরুচির কুনো মানুষের?? এইগুলা কি স্মার্টনেসের কাতারে পড়ে?? তাইলে আর দেরি কেন? আসুন আসল স্মার্ট হয়ে নিজেকে মুসলীম বলে গর্ববোধ করি আর পরবর্তী জেনারেশনকেও রক্ষা করি নতুন পুলা মাইয়াগো কিছু না কইয়া পারতেছি নাহ গোটা কয়েক ইংলিশ মুখস্ত কইরা ইংলিশ ছাইড়ো নাহ, ইংলিশে ব্যাপক পরিমানে ভুল থাকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.