অলিগলি খুঁজে খুঁজে
ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ,
এ পাড়াতে থাকতো সে
জানেনাতো কেহ।
পাড়ার মোড়ে বকুল তলে
ভোরে ঝরা ফুল,
কুড়িয়ে নিয়ে পড়িয়ে নিতো
দুই কানে দুল।
ফ্রোগ ছেড়ে সালোয়ার জামা
দশ ছেড়ে বারো,
সেই মেয়েটি কোথায় গেল
বলতে কি কেউ পারো?
সেই মেয়েটি লিখতো চিটি
কাঁপা কাঁপা হাতে,
সেই মেয়েটি গাইতো গান
জোস্না ঝরা রাতে।
সেই মেয়েটি বসতো এসে
মা’র রান্না ঘরে,
আড় চোখে খুঁজতো আমায়
মা’র চোখে পড়ে।
লজ্জায় তার মুখটি লাল
মা’র মুখে হাসি,
এ পাড়াতে থাকতো সে
বাড়ি পাশাপাশি।
মোদের নিয়ে পাড়া পড়শি
কত কানাকানি,
দুই জানালা কপাট খোলা
এক কুয়া পানি।
এক বিকেলে জানতে পারি
ওরা গেছে চলে,
যাবার সময় কোন কথা
গেলনা সে বলে।
বছন ঘুরে বছর এলো
যেতে হলো দুর,
এ পাড়াতে রইলো পড়ে
কিছু স্মৃতি-সুর।
মাঝখানে অনেক বছর
স্মৃতিময় পাড়া,
দিবানিশি ভেতর-বাহির
পিছু করে তাড়া।
অবশেষে ঐ পাড়ায় এসে
বুকে হাহাকার,
ফুল কুড়ানো বকুল গাছ
সেথা নেই আর।
ঘুরে ফিরে এথায় সেথায়
সেই মুখ খুঁজি,
কেউ বোঝেনা নদীর জল
আমি ঠিকি বুঝি।
পাড়ায় সেই গাছটি নেই
নেই সেই মেয়ে,
আর ঝরেনা বকুল ফুল
শোকে গেছে ছেয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।