http://profiles.google.com/mshahriar
ক্ষনিকের উম্মাদনায় তুমি সেজেছিলে কবি
কাঁধে ঝোলার ব্যাগ, চোখে সুরমা, পরণে গেরুয়া পাঞ্জাবি
উৎসাহে লিখে গেলে অনেক মস্ত কবিতা
নাম ছড়াতে দেরী নাই আর
চারদিকে পরে যাবে বাহবা, অপেক্ষা শুধু প্রকাশনার৷
অতঃপর লেখার টেবিল ছেড়ে বের হলে পথে
দুরু দুরু বুকে,
কবিতার খাতা হাতে,
প্রকাশকের দুয়ারে৷
প্রকাশক হেসে বললেন- কবিতা ভালোই
তবে আগে কি প্রকাশ হয়েছে দু' চারটে বই?
চেনে কেউ আপনাকে?
মাথা নীচু করে হয়ে এলে বের
কবিতার খাতা ছুড়ে দিলে ডাস্টবিনে- হায়
এ পথ বড় দীর্ঘ, এ আমার নয়৷
আর এক সকালে
মুগ্ধ নয়নে দেখেছিলে শিশিরে ভেজা ঘাসফুল
ভাবলে- বাহ বেশ, তবে তাই হোক
আমি বরং মালিই হবো
পৃথিবীকে রাঙাবো রঙে রঙে- ফোটাবো দারুণ গন্ধ গোকুল৷
ঘাসফুল শুকালে ঘোর গেলো কেটে
রঙের মেলা পরে থাক, বড় খিদা পেটে৷
ওদিকে দ্যাখো- স্টিভ জবস? বানিয়েছে কি? ফোন?
আহা- এইতো চাই, আমিতো এমনই! ইলেক্ট্রনিক্স আমার জান৷
হবো বরং ইলেক্ট্রনিক্সের যাদুকর৷
কিন্তু একি? এ তো শুধুই নিরস অংক, কি সমাধান?
শুধু অংক কষে দিন গেলে হবে কি গান?
অতএব খোলা যাক গানের খাতা
চুলোয় যাক ইলেক্ট্রনিক্স, যতো ছাতামাতা
গান ছাড়া যায় কি বাঁচা?
দু'দিন না যেতে মনে হলো- হায়
শুধু গান গেয়ে দিন যাবে, এ কি হয়?
এমনি করে চলে গেলো অনেক প্রহর
এলোমেলো, সাধারণ অনেক বছর৷
হঠাৎ একদিন চেয়ে দ্যাখো- তোমার সতীর্থ কবি
হয়েছে অনেক বড়- পত্রিকায় ছবি৷
তুমি ফেলো দীর্ঘশ্বাস- হায়
সেদিন যদি না থামতে তবে হয়তো
তোমারও আসতো সময়৷
সাধ ছিলো, সাধ্য ছিলো, ছিলো না সাধনা
পথ ছিলো, সে পথে হেঁটে গেলো কতো জন
তুমি হাঁটলে না৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।