আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজন নতুন টেকনোলজি

আসুন িপিছেয় পরা মনুষেদর িবষেয় ভািব

শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিভিন্ন ধরন আছে। কেউ অল্প মাত্রায় শুনতে পায়, কেউ বা একেবারেই শুনতে পায় না। এদের মধ্যে আবর অনেকে আছে যারা শুনতে পায় না, বলতে পারে না এবং চোখে দেখে না। এদের জীবন মারাত্মক রকমের কষ্টের। আপনারা কেউ কি চিন্তা করে দেখেচেন যে, আপনি যদি দেখতে না পান, শুনতে না পান এবং বলতে না পারেন তাহলে আপনার মনর ভাবগুলো আপনি কিভাবে প্রকাশ করবেন? এ সকল শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রয়োজন বিবেচনা করে বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জ নপ্রিয় যে বিষয়টি চালু করা হয়েছে তা হলো; শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ইশারা ভাষার প্রচলন।

বিভিন্ন দেশে এই ইশারা ভাষা সরকারীভাবে স্বীকৃত আর দশটি ভাষার মতোই একটি ভাষা। যেখানে শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ইশারা দোভাষীর মাধ্যমে কথোপকথন চালিয়ে নেয়। তাছাড়া ঐ সকল দেশের টেলিভিশনের সংবাদ ইশারা ভাষায় ্রচার করা হয়। পাশাপাশি টেলিভিশনের কথোপকথনগুলো সাবটাইটেল করা হয় অর্থাৎ টেলিভিশনের নায়ক নায়িকা কি কথা বলছে তা লিখিত আকারে টেলিভিশনের পর্দার নিচে লেখা আকারে প্রচার করা হয়। ফল শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ঐ লেখা পড়ে কথোপকথন বুঝতে পারে।

উন্নত দেশের টেলিফোনে টিপটওয়াই নামে একটি সেবা আছে, যার মাধ্যমে টেলিফোনে কেউ কথা বললে বক্তার কথা শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের টেলিফোনের মনিটরে লেখা আকারে মেসেজ আসে এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তা বুঝতে পারে। এ পদ্ধতি আমাদের দেশে চালু নয়। কারণ এ পদ্ধতিতে ডাটা ট্রান্সফার করার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা আমাদের টিএনটি কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের নিকট প্রদান করে না। আইন ফোনের মতো উন্নত মানের মোবাইলগুলোতে টিটিওয়াই সেবা আছে। কিন্তু এটি ব্যবহার করার পদ্ধতি মোবাইল কোম্পানীগুলো উন্মুক্ত করছে না এবং আই ফোনের মতো দামী ফোন শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কিনতে পারছে না।

এ জন্যই বেশি করে প্রয়োজন নতুন ও সহজলভ্য টেকনোলজি। যার মাধ্যমে সকল শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির যোগাযোগা সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। বর্তমানে নতুন যে উদ্ভাবনটি হয়েছে শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য, তাহলো রিলে টাইিপিং। এই টাইপিংএর মাধ্যমে বক্তার কথা একজন ষ্টেনোটাইপিষ্ট বিশেষ এক ধরনের ষ্টেনো টাইপ মেশিনে দ্রুত টাইপ করে এবং টাইপকরা লেখা কম্পিউটারে বা পর্দায় সাথে সাথে প্রদর্শীত হয়। এ সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা ওয়েব সাইটে (http://www.avsttr.org.uk/)ভিজিট করে বিস্তারিত জানতে পারেন।

এ পদ্ধতির আরো কয়েকটি ধরন আছে। আর তা হলো QWERTY, CART, Velotype, Palantype. এগুলো শুধুমাত্র শিক্ষিত শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাল কাজে লাগে কিন্তু আমাদের দেশের শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শিক্ষিত নয়। তারা লেখাপড়া খুব একটা জানে না। সে জন্য এ পদ্ধতি তাদের উপযুক্ত নয়। উপরোক্ত উপায়গুলোর সাথে বর্তমান বিশ্ব আরেকটি কাজ করতে যাচ্ছে।

তা হলো কথাকে শব্দে রূপান্তর প্রক্রিয়া করণ। এ পদ্ধতিতে বক্তার কথাকে কম্পি্উটারের মনিটরে লেখা আকারে ফুটিয়ে তোলা হবে। অর্থাৎ একজন মানুষ কি বলছে কম্পিউটারে তা দেখে একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বুঝতে সক্ষম হবেন। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার সফটওয়ার তৈরী করা অত্যন্ত ব্যয় বহুল এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাছাড়া এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে কম্পিউটারের সাথে আরো অনেক যন্ত্রপাতি যেমন রেকর্ডার, সাপোর্টিং সফটওয়ারের প্রয়োজন হতে পারে।

যা সকলের কেনার সামর্থ না থাকতে পারে। একটি সমাধান হতে পারে, এ পদ্ধতিটিকে এমন প্রযুক্তিতে করা প্রয়োজন যাতে করে মোবাইল ব্যবহারের মতো করে সকল শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এটিকে ব্যবহার করতে পারে। এর দামও যাতে সীমার মধ্যে থাকে এবং প্রযুক্তি যাতে উন্মুক্ত থাকে সবার জন্য সে বিষয়টিও লক্ষ্য রাখতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।