ওয়েইন রুনিকে দলে ভেড়াতে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইঁ (পিএসজি)। একই সঙ্গে, রুনিকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর জায়গায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডোফস্কিকে দলে ভেড়ানোর লক্ষ্য নিয়েও এগোচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আপাতত, পিএসজি কথাবার্তা বলছে ওয়েইন রুনির এজেন্টের সঙ্গে। তারা অবশ্য ব্যাপারটি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছিল সেই ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসেই। ফেব্রুয়ারিতেই তারা রুনির ব্যাপারে যোগাযোগ করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে।
মার্চ মাসে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ না পেয়ে ক্ষুব্ধ রুনি নাকি দল ছাড়ার ব্যাপারটি একদম ঠিকই করে ফেলেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিদায়ী কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের সঙ্গেও রুনির সম্পর্কটা এই মৌসুমে ভালো যাচ্ছিল না। গোটা মৌসুমেই তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছিলেন অনিয়মিত। ডাগ আউটে বসে থাকাটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছিল ওয়েইন রুনির জন্য।
দলবদলের ব্যাপারে রুনি একরকম মনস্থিরই করে ফেলেছেন।
এখন তিনি কোথায় যাবেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা। খবরে প্রকাশ, রুনিকে দলে নিতে পিএসজির প্যাকেজটা একেবারে মন্দ নয়। তারা রুনিকে সপ্তাহে দুই লাখ ৫০ হাজার ইউরো দিতে রাজি। ব্যক্তিগত লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেলেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছেড়ে ফরাসি রাজধানীতে বসতি গাড়ার ব্যাপারটি চূড়ান্ত করবেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ ডেভিড ময়েসের সঙ্গে ওয়েইন রুনির সম্পর্কও বিতর্কিত।
এই ময়েসের সঙ্গে ঝামেলা তৈরি হয়েছিল তাঁর ছেলেবেলার ক্লাব এভারটনে থাকার সময়। ময়েস যদিও অতীতের বিষয়গুলো ভুলে রুনিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে রেখে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তবে পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে রুনির ভাবনা-চিন্তার ওপর। ময়েস হয়তো রুনির সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন, কিন্তু রুনি তাতে সায় না দিলে তো কিছুই হবে না। ময়েস ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হওয়ার কারণে রুনির ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে থাকার সম্ভাবনা আরও কমেছে বলেই মনে করেন অনেক ফুটবল বিশ্লেষক। সূত্র: সকারনেট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।