এডিট করুন
বেকুবের ভ্রমণ কাহিনী-১ পরে লেখব। কারন সেটা ট্রেনে বসে কাগজের খাতায় লেখা হয়েছে। টাইপ করতে ঝামেলা লাগতাছে। আর এই ২ নাম্বারটা বিমানে বসে ল্যাপিতে লেখা হয়েছে। কপি পেষ্ট মারলাম।
আপাতত আরাম দরকার।
আমি এখন বিমানে। ফ্লাই এমিরেটস। সময় বিকাল ছয়টা বাজে প্রায়। চারদিকে চনমনে রোদ।
বিমান দৌড়াচ্ছে। একসময় উপরে উঠতে লাগল। উপরে উঠতে ঊঠতে একসময় মেঘের উপরেও উঠে গেল। নিচের বাড়ীঘরগুলো ছোট ছোট লাগছে। আর মেঘগুলো ভূমি হতে খুব একটা উপরে নয়।
মেঘের উপরে থেকে বিমান থেকে নিচের বাড়ীঘর দেখা যাচ্ছে। প্রথমে যথারীতি ঠান্ডা ভেজ়া রুমাল দিল। মুখ ঘাড় মুছলাম। এরপর সিটের সামনের ছোট টিভি চালু করলাম। মুভি দেখছি।
ড্রাগন বল। একসময় ঘন মেঘের উপরে চলে গেল বিমান। সাদা ঘন মেঘ হিজিবিজি পাহাড়মালার রুপ নিয়েছে। অপূর্ব দৃশ্য। কিন্তু কেন যেন ভাল লাগল না।
খাওয়া দাওয়া শেষ হয়েছে। আমি যথারীতি চেয়ে চেয়ে সেভেন আপের কৌটা নিয়ে আসছি। কিন্তু আর কত যাওয়া যায়। এমন সময় এক বিমানবালা জিজ্ঞাসা করল যে, ইংরেজী জানি কিনা। বললাম, হ্যা জানি।
তখন আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিল। একটা ফরমের মত দুই ভাজ করা রঙ্গীন কাগজ। সেখানে তাদের সার্ভিস সম্পর্কে বলতে বলা হয়েছে। আমি ভাবলাম হয়তো কোম্পানী জরিপ করবে যাত্রীদের তাদের কোম্পানির প্রতি মনভাব সম্পর্কে। আমি ইচ্ছামত ফরম পুরন করলাম।
যা মনে আসছে লিখলাম। এক জায়গায় লিখলাম, তোমাদের সেভেন আপের কৌটাগুলো ১৫০ মিলি লিটারের। ১৫০ মিলি লিটার আমি এক চুমুকে খাই। আমি কতবার তোমাদের বিমানবালা, বিমানপোলাদের কাছে যাব সেভেন আপ চাইতে? আরেক জায়গায় লিখলাম তোমাদের এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম জঘন্য। কাতার এয়ারওয়েজকে দেখে কিছু শেখ।
তাদের এন্টাওরটেইনমেন্ট সিস্টেম ফলো কর। কাগজ যথারীতি জমা দিলাম এক বিমানপোলার কাছে। এক বিমানপোলা দেখি কতক্ষণ পরে আইসা হাজির। ট্রেতে পাচখান সেভেন আপের কৌটা আর একটা গ্লাস। জিজ্ঞাসা করতাছে বরফ দিব কিনা।
আমি আবার এই বিমানপোলার কাছে একটু আগে এক কৌটা সেভেন আপ চাইছিলাম। পোলা হঠাত কইরা পাচ কৌটা আনল কেন? এর মধ্যে পোলা কইতাছে যে, একটু চ্যানেল চেঞ্জ করেন, অনেক মুভি পাবেন। আমি বুইঝা গেলাম কাহিনী কি হইছে। আমি আবার ফরমে কেবিন ক্রুদের ব্যাপারে লেখছিলাম যে এদের সার্ভিস ভাল না। খুবই শরম পাইলাম।
মাত্র পাচ কৌটা সেভেন আপের দাম আর কত। এর জন্য একটা রাগা ঠিক হয় নাই। তয় এখন বইসা বইসা আরামে সেভেন আপ খাইতাছি আর লেখতাছি। আমি আবার আরেক জায়গায় লেখছিলাম যে এর পরে কাতার এয়ারওয়েজে যাব, তোমাদের এমিরেটস ভাল না। খুবই খারাপ লাগল।
এতটা কঠোর না হলেও হত। আমি আসলে ভাবি নাই যে ওরা এটা পড়বে। তবে এখন ভাল খাতির পাইতাছি। যাক মন্দের ভাল।
দুবাই আর সাতান্ন মিনিট।
বিমান এখন ৪১০০০ হাজার ফিট উপরে আছে। বিমানের গ্রাউন্ড স্পীড ৫৩২ মাইল প্রতি ঘন্টা। আর ৩৬১ মাইল বা ৫৭৯ কিলোমিটার পরে দুবাই নামব।
না বেচারারা যেভাবে খাতির করতাছে আমি বড়ই লজ্জা পাইতাছি। জীবনে আর এইসব ফরম পূরণ করব না।
মা ছাড়া আর কারো সেবা নিতে আমার ভাল লাগে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।