সভ্যচাষী ছোট সময় একটি গান গাইতাম "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী সাথী মোদের ফুলপরী" এই লাল সবুজ সৌরভূমের যখন মালিক ছিলাম তখন আমাদের দেশের নদ নদী খাল বিল কানায় কানায় ভরা থাকত পানি, আমন ধানে বাতাস ঢেউ খেলানো, পদ্মা আড়িয়াল খায় ছিল ইলিশের ছড়াছড়ি আজ সবই ইতিহাস। সোনার দেশ ছিল কিন্তু এখন অস্থিরতার ভীরে হারিয়ে গেছে স্বর্ণ। আমাদের আচরণিক পরিবর্তন এতটাই কাঙ্খিত ও স্থায়ী হয়েছে যে সর্ব সময়ে অপনারে বড় বলিতে বলিতে আত্মসম্মানের মানদণ্ড ধুলায় মিশায়ে দিয়াছি। আমরা শিক্ষিত হচ্ছি আর ভুলে যাচ্ছি বড় দের সম্মান কিভাবে করতে হয়। বড় কে? আমার পূর্বে যে এই লাল সবুজের সৌরভূমে এসেছেন তিনিই বড়, সম্মান তো তাঁরই পাওয়ার কথা কিন্তু আমাদের শিক্ষায় শিখন শেখানো কার্যাবলিতে একজন বয়সে বড় রিক্সা চালোকের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে তা শেখায় না, তবে এও সত্যি যে খারাপ আচরণ করতে বলেনা।
আমাদের শিশুদের মাঝে যদি সামাজিক, নান্দনিক, মানবিক, মানসিক, দৈহিক, আধ্যাত্মিক ও নৈতিক বিষয়াবলি বিকাশ ও উত্কর্ষ সাধন করতে ব্যর্থ হই তাহলে আগামী প্রজন্ম আজকের মত কটু কথা বলবে না তবে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। আমার প্রাণ প্রিয় মাতৃভূমিতে কাজের মানুষের বর অভাব যারা কথায় নয় কাজে বড়। আমাদের দেশের স্বার্থে রাজপথে মিছিল মিটিংয়ের দরকার নাই দরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা। তথাকথিত শিক্ষীতের হার বাড়ছে সুশিক্ষীত মানুষের অভাব রয়েই গেছে, এমন শিক্ষা চাই যে শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন সর্বোচ্চ ডিগ্রী ধারী মেথরের কাজ করতে লজ্জাবোধ না করে। নেতা, কে নেতা? নেতা কীভাবে হয়? মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখে যা আসে তা চিত্কার করে গলা ফাটিয়ে বললেই কী নেতা হওয়া যায়? আপনাদের বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন।
এই দেশেরই একজন নাগরিক আমাকে প্রশ্ন করেছিল একজন ইউএনও এর ক্ষমতা বেশি না একজন ওসির ক্ষমতা বা দাম বেশি? আমি জবাবে বলেছিলাম বাপু তোমার ক্ষমতা সম্পর্কে তুমি কি জান? তুমি তোমার চাকরের ক্ষমতা জানতে চাও এই দেশের মালিক তুমি প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে সকল সরকারী কর্মচারি তোমার চাকর। কেন না এই দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, যে দেশের জনগণ হচ্ছে দেশের প্রকৃত মালিক। তিনিত অবাক কি বলে ছেলেটা। আমার দেশের প্রকৃত মালিক ই জানে না তার ক্ষমতা কত আসলে আমাদের অস্থির দেশ পরিচালনায় যারা আছেন তারা চান না যে প্রকৃত মালিকের ঘুম ভাংতে। আরে বাবা আমরা কত দিন বাঁচব সর্বসাকুল্যে ৭০ বছর এই সীমিত সময়ে আর কত চেয়ার আকড়ে বসে থাকা।
সময় নব নবিনের জন্যে চেয়ার ছেড়ে দেওয়া সুস্থ গণতন্ত্র অনুশীলন করা। এই ভাবে চললে আমাদের ভূখণ্ড রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। আইনের প্রয়োগ নাই, কে বলে নাই আছে নির্বোধ জনসাধারণের উপর কিন্তু প্রকৃত পক্ষে বিচার কার্য মানুষ দেখে দেখে সম্পাদন করা হচ্ছে। যখন আমরা থাকবনা তখন এই তথাকথিত নেতারা কেউ থাকবে না থাবে আমাদের উত্তরসুরী তাদের মধ্য যেন কেউ বেকুব না হয় তার জন্য আমাদের কী করনিয়?
মানুষ মরণশীল একথা চিরন্তণ সত্য কিন্তু আমাদের আচরণে কী তা প্রকাশ পায়? আর আমাদের আচরণে যদি তা প্রকাশ না পায় তাহলে আমাদের শিশু কিশোরদের এই কথা মজ্জ্বাগত কীভাবে হবে?
যাদের জন্য এই পৃথিবী সেই শিশুদের মানসিক আবকাঠামো ইস্পাতের ন্যয় মজবুত করে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে এই রকম তথাকথিত নেতায় ভরে যাবে এই দেশ আর আমরা ব্যর্থতার গ্লাণী নিয়ে চোঁখ বুজব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।