Everything in the world has an expirary date, even relationship.
[মাথায় কোন আইডিয়া নাই। তাই এই গল্পটাকে আমি আমার বিভিন্ন গল্প, অন্যের ধার করা স্টাটাস, নাটকের ডায়লগ - সবকিছু নিয়ে একটা জগাখিচুরি বানানোর চেষ্টা করছি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয় ............... ]
ছেলেটি তখন ছোট্ট ছিলো। স্কুলে যাবার ধুলো-ভর্তি মেঠো পথ, হাতে নাটাই। নাটাই-এর সুতো ছুঁয়ে আকাশে উড়ছে লাল-নীল সব ঘুড়ি।
বইপত্র হাতে স্কুলে যেতে যেতে থমকে দাঁড়ানো ছেলেটি অবাক ভাবলো, "আচ্ছা, ঘুড়িগুলো কি আকাশ ছুঁয়েছে নাকি? আচ্ছা, কেটে যাওয়া ঘুড়িগুলো সব কোথায় যায়?" স্কুল আকাশে উঠলো, বই-পত্র সব মাঠেই পড়ে রইলো ..... আর ছেলেটা সারা দুপুর ছুটে বেড়ালো কেটে যাওয়া এক নীল ঘুড়ির পিছনে, আকাশ ছুঁয়ে দেখবে বলে। ছেলেটার যে আকাশ ছোঁয়ার সাধ।
ছেলেটি ধীরে ধীরে বড় হলো। সবার মতো তার জীবনেও ভালো-লাগা এলো। একটা মেয়ের প্রেমেও পড়লো।
মেয়েটাকে ভালোলাগার কথা বলার চেষ্টা করলো। কিন্তু বলি বলি করে আর বলা হয়ে উঠলো না। একদিন ছেলেটা বাসায় শুয়ে শুয়ে আকাশ দেখছে। কি যেন মনে করে সে কাগজ-কলম হাতে নিলো। তারপর লিখে ফেললো কিছু কথা -
"খুব ভোরে উঠে যাই।
নগ্ন পায়ে নি:শব্দে নামি পথে। তোমার জানালা ছুঁয়ে ফিরে আসি আমি ঘুমন্ত লোকালয়ে। তুমি আজ-ও কেন দাঁড়িয়ে থাকো আমার পথের মাঝে? আমি স্বপ্ন দেখবো বলে? তুমি সরে দাঁড়াও। আমি দাঁড়িয়ে থাকি ঝড়ের মাঝে সরে দাঁড়াবার সব ডাক তুচ্ছ করে, যেন করতে পারি তোমায় সব স্বপ্ন সমর্পন। আমায় হয়তো চেনো, নগ্ন পায়ে হারানো, উন্মাদ একটা ছেলে।
"
তারপর ছেলেটা বিছানার নিচে রেখে দিলো মেয়েটার কাছে লেখা আর একটা চিঠি। ছেলেটা মনে মনে বললো, "তুমি দেখো, একদিন ঠিকই আমি আমার লেখা সব চিঠিগুলো তোমার কাছে পৌঁছিয়ে দিবো। " এরপর ছেলেটা আকাশ দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেলো।
কল্পনাবিলাসী ছেলেটা স্বপ্ন দেখে। একটু-আধটু কবিতাও লেখে।
তার কবিতা জুড়ে থাকে শুধু সেই মেয়েটি। আজও ছেলেটা একটা ছোট্ট কবিতা লিখলো,
"ভাবছি আমি হঠাৎ তুমি
আমার কাছে এসে,
অনেক কথা বলছো আমায়
অনেক ভালবেসে।
বলছো তুমি আমায় তোমার,
অনেক মনে পড়ে,
পাও যে কতো ব্যাথা আমায়
রাখতে অগোচরে।
শুনে আমার প্রাণ ভরে যায়
অগাধ সুখে ভাসি,
এখন আমি প্রায়-ই এমন,
কল্পে পরবাসী"
অনেক বছর পার হয়েছে। বদলে গেছে ছেলেটার জীবন।
দূরত্ব বেড়েছে ছেলেটার আর মেয়েটার মাঝে। বদলায়নি ছেলেটার স্বপ্ন দেখা, কবিতা লেখা। বদলায়নি আকাশ ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছাটাও। ছেলেটা ভাবে, "আচ্ছা, তার কি আমার কথা মনে পড়ে না। আমার জন্য সে কি কোন চিঠি লিখে না।
"
মেয়েটা চিঠি লিখে কি না তা আমার জানা নেই, তবে এটুকু জানি যে ছেলেটা আজও ভাবে, "মেঘ-পিয়নের হয়তো মন খারাপ। তাই সে আমার জন্য কোন চিঠি নিয়ে আসে না। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।