আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঝরনার গল্প

একজন সাধারণ মানুষ যে সব সময় সাধারনই থাকতে চায়

সেই ভেঙে যাওয়াই হলো কিন্তু ঝরনার গল্পটা পুরোপুরি শেষ হলো না। সময় অনিশ্চিত গন্তব্যের সাথে অবিশ্বাস এক মিতালি পেতে দেখালো কি করে হারতে হয়? কি করে প্রকাশের মাত্রাটা বোতল বন্ধি করে আক্ষরিক একটি সম্পর্ক বানাতে হয়? একটি ঝরনা উৎপত্তির স্তর থেকে নিম্নমুখি হওয়ার যে রীতি চলে আসছে সভ্যতার লগ্ন ধরে সেখানে আবার তার ফিরে যাওয়ার কথাটা বড্ড বেমানান। বুঝতে পারিনা সত্যের এই হিসাবটুকু। লিখি লিখি করে শেষ সমাপনের আশায় ঝরনার গল্পটা লিখা শেষ হয়না। মনে হয় এই তো শেষ।

কিন্তু আবার শুরু হয়ে যায় তার নিজস্ব ধারায়। আমি প্রতিনিয়ই তার গতির তোরে বেসামাল হয়ে যাই। আজ যে টুকু লিখছি হতে পারে সেটা গল্পটার সামান্য কিছু উপমা। প্রতি সকালে শাওয়ারের নিচে নিজের উলঙ্গ শরীর ভিজানোর সময় একটি মিষ্টি অনুভূতি ছাড়া সারাদিনে আজকাল আর তেমন কোন অনুভূতির থাকে না। একি গন্তব্য, একি ভাবনা, একি মানুষের আশপাশ, মাঝখানে ঝরনাটা নিরবে বয়ে চলে আমাকে স্পর্শ করে।

যখন বুঝতে পারি এবার পুরোটা ভিজিয়ে দিবে লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে তখন সবার মতই সহজ সমাধানে বলি চোখে কাটা পড়েছে একটু দেখে দেবে ভাই। তার পর কিছুক্ষন অন্ধ থাকি। প্রাপ্তিতার লোভ থেকে নিজেকে আলোর উৎসের দোড়গোড়ায় নিয়ে যাওয়ার বর্ণময় উদ্দীপনার সন্ধান করি। ব্যথার সময় গুলো হয়ে যায় চারপাশের প্রকৃতি স্পন্দন, পা কাটা ভোর, দাঁড়াতে পারে হাটতে পারে না। অজানা রাত্রি সংসারে থেকে রয় কষ্টের মৃতচ্ছটিকা হয়ে।

আর তপ্ত দ্রাহ আমার ঔরসে জালায় চুল্লি। মন পুড়ে পায় সামান্য প্রলেপ জুরি বুটিকার। বেঁচে রয় কয়লা । সত্যি তাকে মৃত্যুর কোলে শোয়াতে আবার শুরু হয় উলুধ্বনি আকাশ কাপায়, বাতায় ঝাপায়, আমি পুনরায় অন্ধ হয়ে যাই। ঝরনা সংসার এভাবে আফ্রোদিতি সাজে।

মাধুকরী ঘ্রান পড়ে তার প্রতিটি কোনায় কোনায়। আমি তার গন্ধটুকুই পাই চলতে থাকি ঝরনার সাথে। কোন সংক্ষপ্তিতা যেখানে হয় না প্রয়োজন। প্রলয়ংকর থাকে কবিতার ধ্বনি (ভালোবাসা আমরণ এক রক্ত রনাঙ্গন। ) আমি অবুঝের মতো ঝরনার চলার গতিতে ঘরবাধী।

কিছু লোকজনও ডেকে আনি এখানে বসবাসের জন্য। তারা প্রতিদিনই আমার সাথে থাকে উৎসাহ দেয় উদ্দিপনা দেয় এখানে একটি জনবসতি গড়ে তোলার জন্য। আমি সাহসী থেকে দুঃসাহসি হয়ে উঠি। ভুলে যাই ফেরার কথা। একদিন ঝরনা আমাকে নদী বানিয়ে সুমুদ্রের দিকে ছুটে।

নৌকা চলে না এ নদীটায় উপর। চোখ কাটা চলে দৌড়ে দৌড়ে। নদীটা ঠিক বুকের মাপে। কাটা গুলো ঝরনা অথবা অন্ধত্ব। তারপর অনেক কাল কাটে নদীটার বুকে চর জাগে না বরং গভীরতা বাড়ে।

উৎসাহ উদ্দিপনার অতিথী পাখিরা এসে কিছুকাল থেকে চলে যায় আপন কুলোয় নদী পড়ে রয় একা জীবনসীমায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.