আমি সফল হতে চাই
. ছাত্রী লাঞ্ছিত করার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা কাওছার আলমকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের একদিন পর আজ (৬ এপ্রিল) মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) সুযোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের নির্দেশে মার্কেটিং বিভাগের চার সদস্যের ভাইভা বোর্ড জেল-হাজতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা কাওছারের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন।
শুধুমাত্র সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের কর্মী হওয়ায় তাকে এই সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বিভাগীয় ভাইবা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রী লাঞ্ছনাকারী কাওছারের স্মাতক (সম্মান) শ্রেণীর শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছিল।
ছাত্রী লাঞ্ছনার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীদের দাবির মুখে তাকে গত শনিবার বঙ্গবন্ধু হল থেকে আটক করে মতিহার থানা পুলিশ।
কিন্তু আটকের মাত্র ১০ মিনিট পর তাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে বিবিএ চূড়ান্ত বর্ষের শেষ কোর্সের পরীক্ষার পর আবার তাকে আটক করা হয়।
গতকাল উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের এক জরুরি সভায় কাওছারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কিন্তু সোমবার রাবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর কর্তৃক এক চিঠি পাওয়ার পর মার্কেটিং বিভাগের ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা দুপুর একটার দিকে জেল-হাজতে গিয়ে কাওছারের ভাইভা নেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল অথবা বহিষ্কারের একমাত্র অধিকার রাখে সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারক সিন্ডিকেট।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু সিন্ডিকেটের কোন সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে নাই সেজন্য কোর্টের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কাওছারের ভাইভা নেয়ার ব্যবস্থা করেছি।
এ ব্যাপারে মার্কের্টি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ভাইভা বোর্ড সভাপতি ড. একেএম গোলাম রব্বানী মন্ডল জানান, প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বুঝা যাচ্ছে ওই ছাত্র তার ছাত্রত্ব ফিরে পাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।