যা বিশ্বাস করি না, তা লিখতে-বলতে চাই না, পারবোও না। কিন্তু যা বিশ্বাস করি, তা মুখ চেপে ধরলেও বলবো, কলম কেড়ে নিলেও লিখবো, মারলেও বলবো, কাটলেও বলবো, রক্তাক্ত করলেও বলবো। আমার রক্ত বরং ঝরিয়েই দাও, ওদের প্রতিটি বিন্দুর চিৎকার আরও প্রবল শূনতে পাবে। টাইমলাইন সুত্রে জানা গেছে, বাঙালির প্রানের উৎসব, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপনা করে নেওয়া, পবিত্র হরতালের চাঁদ দেখা গেছে। কেউ কেউ এটাকে হরতালে যুদ্ধপরাধি বলার হীন প্রচেষ্টা যে চালাচ্ছে না তা হলফ করে বলা সম্ভব নয়।
তবে জাতীয় হরতাল দেখা ফাতরা কমিটি এটিকে হরতালে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিশ্চিত করেছেন।
আসন্ন এই মহোৎসবে সবাই দলে দলে যোগ দিন, আহ্বান জানিয়েছে হরতাল উৎসবের জাতীয় পুরোধা গুলাপি বেগম। ইট/পাটকেল/বাঁশ নিয়ে মহড়া/ভাঙচুর এর পাশাপাশি ফায়ারওয়ার্ক এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা বর্ধন ও সংকট নিরসনে "বাপের সম্পত্তি" মনে করে যে কারো গাড়িতে আগুন দেবার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে উচ্ছল শব্দ করা এবং জ্বলন্ত গাড়ির আসে পাসে হই হুল্লোড় করে চক্কর দেবার মামার বাড়ির আবদার গোলাপি মামী পূরণে আশ্বাস দেন।
এছাড়াও এই উৎসবের সবসময়ের প্রধান আকর্ষণ এর বিষয়েগুলো তো থাকছেই, এর মধ্যে রয়েছে গরীব মানুষের রিক্সা পুড়িয়ে/ভেঙে হুল্লোড় করা, দিনমজুরদের খাবার বন্ধ হবার বিষয়টি নিশ্চিত করণ সহ পুলিশের সাথে "ধরাধরি" ও "কানামাছি" খেলা।
কবি নজরুলের একটি লাইন মনে পড়ছে,
"ও মন ঝামেলার ওই কর্মদিবস শেষে, এলো খুশীর হরতাল...
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে সুখ হোস না আর আবাল..."
যা হোক, আগামী রবিবার দেশব্যাপী জামাতে বিএনপির ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালের প্রানঢালা শুভেচ্ছা আপনাদের সবাইকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।