জীবন যেখানে চমকে দাড়ায়...................
অপরাজেয় বাংলায় প্রকাশ্যে চুল টেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া মামাতো বোনকে লাঞ্ছিত করেছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ফুফাতো ভাই।
বুধবার দুপুরে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন, টেকনোলজি এন্ড সাইন্সের এলএলবি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজ হাসান মঞ্জু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত তার মামাতো বোনকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
এ ব্যাপারে ছাত্রীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর নিরাপত্তা প্রার্থনা করে একটি লিখিত অভিযোগনামা দাখিল করেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, মঞ্জু কয়েক বছর যাবত আমাকে উত্যক্ত করে আসছিলো। বুধবার ক্যাম্পাসে এসে সে জানায়, আমি তার বিবাহিত স্ত্রী।
এরপর সে আমাকে চুল টেনে লাঞ্ছিত করে।
মঞ্জু ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগনামায় উল্লেখ করা হয়।
তবে মঞ্জু জানায়, ২০০৮ সালের ৩০ জুন নারায়ণগঞ্জ কোর্টে আমাদের বিয়ে হয়। এরপর আমাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে মেয়েটি বদলে যেতে থাকে।
গত ১০-১৫ দিন যাবত সে ফোনও রিসিভ করছে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটি আমাকে তার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মারতে আসে। এক পর্যায়ে আমি তার চুল ধরেছি।
মঞ্জু অভিযোগ করেন, সহপাঠী জোবায়ের আহমেদের সাথে নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর থেকে মেয়েটি বদলে যেতে থাকে।
নতুন এ সম্পর্কের কথা জোবায়ের ও মেয়ে উভয়েই স্বীকার করেন।
মঞ্জু তার মামাতো বোনকে নিজের স্ত্রী হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, তার সাথে আমার বিয়ে হয়েছিলো এটা সত্য। এর প্রমাণ আমার নিকট রয়েছে। তবে সে সম্পর্কটি ভেঙে দিতে চাইলে আমি তাকে তালাক দিবো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ঘটনার শুরুতে মঞ্জু মেয়েটিকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে সে বলে আমি যদি তোমার স্ত্রী হয়ে থাকি তাহলে তোমাকে তালাক দিলাম।
এর পর সে একতালাক-দুইতালাক-তিনতালাক উচ্চারণ করে ছেলেটিকে ক্যাম্পাস ছাড়তে বলে।
তবে মেয়েটির বয়ফেন্ড জোবায়ের জানিয়েছে, বিয়ের ঘটনা সত্য হলে সে মেয়েটির সাথে সম্পর্ক ভেঙে দিবে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কে এম সাইফুল ইসমাম বলেন, ঘটনা শুনেছি আমরা উভয়ের গার্ডিয়ান ও ছেলেটির বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।